।। দৃষ্টি ।।

কতদিন; কেটে গেল পথ চেয়ে চেয়ে গোপন রোদনে অসীম তৃষায় নিবিড় দহনে,
বিরহিনী কোন্ রাগিনী উঠল বেজে হৃদয়দুয়ারে, পিপাসা জাগিয়ে ঝড়ের অভিসারে,
কত মেঘ চলে গেল উড়ে, ঝরেনি শ্রাবন কতযুগ প্রাণে; চোখের জলের ধারাতে,
আজ ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে আছি পথে, অভিমানে কেঁদে কেঁদে পিপাসাতে।
কতযুগ আসেনি সুর ছন্দ হয়ে স্পন্দনে, নন্দনে, তরঙ্গে-তরঙ্গে জীবন সলিলে,
সব গান গেছে হারিয়ে তোমারই সাথে দূর কোন আকাশে, হয়ত কোন বেদনাতে,
সুরের যত তার বাজত প্রাণে জীবনীসুধাতে, হাসিখেলায় প্রেমের ফাগুনে,
কোথায় গেল সব উড়ে উড়ে হারিয়ে, বসন্ত বিদায়ে মৃত এ ডালে তাপের মালা পরায়ে,
খুজেছি যখন প্রেম হে মিতা, তোমা হতে দূরে মিছে মানে; কপট বিভূতির ভূষনে;
নকল পোষাকে হেসেছি অভিনয়ে, দিনে দিনে নিজেরে বিকিয়ে ভাবের খেলাতে।
কতদিন, এই সুরনদী নাচেনি শ্রাবনের গীতিতে, খুজেছে পথ মরীচিকায় মায়াবী ভ্রমে,
সুর তাল হারিয়ে কোন্ সে লয়ে, কঠিন যত পাথরে প্রাণের তৃষায় ব্যকুল হয়ে পথে পথে,
আজ বন্ধ চোখেতে পেয়েছি তোমায় নিবিড় সে ক্ষনের চরম আনন্দের প্রবাহে,
হৃদয় যখন ভাসল শ্রাবনে চোখের জলের পুণ্য সলিলে, নতুন করে নতুন জনমে।
তবে নাও এ দৃষ্টি চোখ হতে দূরে, এসেছ যখন বন্ধ এ চোখেতে সবুজের মঞ্জুরীতে,
জীবন যখন উঠল আবার জেগে মৃত নীড় হতে, তরুন বলাকার চঞ্চল ডানায় উড়ে,
চাইনা সে দৃষ্টি এ চোখেতে, জীবনধরে টেনেছে গভীর আধারের কালো অভিশাপেতে,
বন্ধ চোখেতে এসেছ তুমি হে মিতা অনুরাগের শেষ সীমাতে, মিছে রঙের নিরঞ্জনে।
_______________
© অমরেশ দেবনাথ।