অফিস থেকে গ্রামে ফেরার পথে ইমনের দেখা হলো অমিতদার সাথে অনেকদিন পর। একসময় অমিতদার বৌ টুকুদির কাছে ইমন অনেক দুপুরবেলা সকলের চোখ এড়িয়ে যেত .... আর টুকুদি তাকে চুপচুপি দিত অনেককিছু...।
অমিত আর ইমন গল্প করতে করতে আসছিল। তাদের পাড়ার আগেই একটা ফাঁকা মাঠ, সুনসান।শীতের সন্ধের নিরালা অন্ধকারে ইমন নিপুনভাবে অমিতদার কন্ঠনালীটা কেটে দিল। কিছুক্ষন ধড়ফড় করে স্থির হয়ে গেল শরীরটা।
সব পরিকল্পনা মতো হওয়ায় নিশ্চিন্ত ইমন মনের সুখে এলোমেলো হাঁটা দিল। সৎমায়ের সংসারে নিত্য লাথিঝাঁটা খাওয়া ছোট একটা ছেলে নি:সন্তান টুকুদির কাছে প্রায়ই পেত ভরপেট খাবার আর অনেক মমতা। এমন ই একদিন খিড়কির দরজার ফাঁক দিয়ে সে দেখল টুকুদির নি:স্পন্দ শরীরটা সিলিংয়ে ঝুলিয়ে দিচ্ছে অমিতদা। পরে টুকুদির আত্মহত্যায় অমিতদার সে কি কান্না। ছোটদের কেই বা হিসেবে রাখে......
© নীলাঞ্জন মুখার্জ্জী
No comments:
Post a Comment