(এই প্রোজেক্ট'টার সাথে অনেক রং'র স্বপ্নই মিশে ছিলো।কিন্তু স্বপ্ন বাস্তব হওয়ার পরে স্বপ্ন গুলো সব কেমন যেন সাদা কালো হয়ে গেলো)
-------------------------------------------------
-এই যে....এই যে শুনছেন?
-মরি নি.....
-thanks god,আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম
-আমি আসলে ঘুমিয়ে পরেছিলাম
-ঘুমিয়ে পরেছিলাম মানে?কে আপনি?
-আমি?আমি একটা কাঠামো,যে একতাল মাংস সভ্যতা পোশাক ইত্যাদি ইত্যাদি বয়ে বেড়াচ্ছে।
-এসবের মানে কি?..আচ্ছা যাই হোক, রাস্তার মাঝখানে এতোসব কথার সময় নেই,আমি যাই।
-আমি মরে গেলে কিন্তু এতো সহজে আমায় ফেলে যেতে পারতেন না।
-আচ্ছা ঠিক আছে গাড়িতে উঠুন।
-উঠতে পারি, তবে একটা শর্তে, কোন প্রশ্ন করতে পারবেন না,আমি শুধু fm রেডিওতে ট্রাফিক আপডেট আর কোমল পানীয়র বিঙ্যাপন শুনবো।
-আপনি কি পাগোল?
-আমি দু:ভিক্ষের চেয়েও তিব্র।
-মানে?
-আমি একজন হতাশ মানুষ, আমি বির্যান্নেষণের আহব্বানে জন্মেছি,জুরিখের একদল বেয়ারা শিল্পীর লা'ভলতের পত্রিকার পাতায় আলপিনের খোঁচা মারতেই উনিশ শতকের জির্ণ কমর থেকে আমি বেড়িয়েছিলাম,ভারতবর্ষ'র অলিতে গলিতে আমার চোখে প্রযন্মের হাহাকার দেখে হাংরি হাংরি বলে গান তুলেছিলো একদল কবি,আমি সেবার হাংরিদের প্রতিনিধি হয়েও জন্মেছিলাম,শশশ....গাড়িতে উঠে গেছি,প্রশ্ন উত্তর দু'ই বন্ধ,এখন শুধু fm রেডিও কোমল পানীয় ট্রাফিক আপডেট বিউটিফিকেশন......
-আপনি কোথায় থাকেন বলেন আপনাকে পৌছে দিয়ে আসি,এভাবে সারাদিন তো আর গাড়িতে ঘুরলে চলবে না তাই না?এই যে....এই যে শুণছেন...........
-ভিজে গেলাম তো....
-আমি যে আপনাকে এতোক্ষণ ডাকছিলাম আপনি রেস্পন্স করছিলেন না কেনো?
-বেশ কয়েকদিন না খেয়ে মাথার ভেতর একটা ঘোর তৈরী হয়েছিলো,আমি ঘোরটা উপভোগ করতে লাগলাম
-দেখুন আমি আপনাকে কিছু টাকা দিয়ে দেই,আপনি কিছু খেয়ে নেন,আমার প্রচুর তাড়া,আমায় যেতে হবে
-আমি একজন কবি,প্রযন্মের লালা,আমাকে ভিক্ষুক ভাববার কোন কারন নেই,আপনি চাইলে আমার জন্য বার্গার সেন্ডুইচ জাতীয় বিদেশী খাবার কিনতে পারেন,ঘাসের উপর বসে আমি খেলাম,আর আপনার চোখের সামনে একজন ক্ষুদার্থ কবি'র রক্ত চলাচল বেড়ে গেলো।
----------------
-বেচারা হাসেম আজো খেতে পেলো না।
-মানে?হাসেম কে?
-আমার বন্ধু,হকার,একদিনো পত্রিকা বিক্রি করতে পারে না,সন্ধে হলেই ডাস্টবিনের আসে পাশে ঘোরে খাবারের খোঁজে...কি আপনের কি মনে হচ্ছে?ও ডাস্টবিনের খাবার খায়?....ও একটা বাটপার,ডাস্টবিনের খাবার খাবে বলে ভদ্দরলোকদের ভয় দেখায়,প্রতিদিন কেউ না কেউ ওকে চা বিস্কুট কিছু একটা খাওয়ায়।
-আপনি এভাবে কথা বলেন কেনো,খুব দু:বোধ্য লাগে।
-এই বার্গারটি কে রান্না করেছে?সে কি খুব কোমল সভাবের?খুব নরম কিন্তু।একটা বার্গার হাসেমের জন্য নিয়ে যাই।সন্ধে পর্যন্ত পচে যাবেনা তো।পচলেই বা কি,হাসেমের জন্য এই অমৃত,ডাস্টবিনের একঘেয়ে উচ্ছিষ্টতো নয়।
-আমার খুব মন খারাপ লাগছে।
-কিন্তু আমরা সুখী, বিস্ময়কর এবং হতাশ।
----------------
-----------------
--------------------
-----------------------
-এই...এই যে.....
-আমার বর্তমান নাম মুদ্রা
-তা বুঝলাম,কিন্তু আপনি এইগুলোর উপরে কেনো?
-আমি তো কংকালের পাহারাদার,এগুলোর মাংস গেছে মানুষের পাকস্থলীতে,চামড়া জুতার কারখানায় আর এগুলোর সাথে আমি।এগুলোর সাথে কিন্তু আপনারও ঘনিষ্ঠতা আছে...
-কি রকম!!
-কারখানায় গিয়ে এগুলো ভোল পালটে চিরুনি তারপর আপনার চুলে
-উফ...কি বিশ্রী গন্ধ
-আমার কিন্তু মন্দ লাগেনা..... পাঠিয়ে দিলাম,আপনার সাথে সকালটা কাটাই,আপনি কিন্তু শিমুল তুলোর মতো সুন্দর
-মানুষ কি ভাবে তুলোর মতো সুন্দর হয় সেটা বুঝলাম না
-আপনি কি প্রেম করেন?
-এইবার কিন্তু আপনি লিমিট ক্রস করছেন
-বেচারা নির্ঘাত গভর্নরের সাক্ষারের নিচে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে,মানে টাকার কাছে আর যেটা আমার বর্তমান নাম।
-মানে?
-আপনার প্রেমিক
-ওফ... ওর কথা এখানে কেনো আসছে?
-আছে তা হলে?
-হ্যা
-কিন্তু ও তো আমার মতো সুদর্শন না
-সুদর্শন!আপনি!!আচ্ছা ঠিক আছে,কিন্তু আমার বয়ফ্রেন্ড যে সুদর্শন না,সেটা আপনাকে কে বললো?
-বোঝাই যায়, তার দেহে শক্ত মেদের প্রাচীর, তক আয়নার মতো তিব্র,শহরের সবচেয়ে উচু দালান গুলো প্রতিফলিত হয় এমন আয়নার মতো তিব্র।ঠোটের পাশে শতভাগ কর্পোরেট অহংকার, হ্রতপিন্ডের পাশে কজ থেটা সাইন থেটা টেন থেটা রুট ওভার,মানে ছোটোখাটো হিসাবের মেশিন।
-তাহলে,জীবনের নিরাপত্তা খোজা কি অন্যায়?
-নিরাপত্তাই যদি শেষ কথা হতো,তাহলে মাতৃগর্ভের প্রবল নিরাপত্তার ভিতরেই থেকে যেতাম,ধুলোর পৃথিবীতে আসতাম না।
-তাহলে আমরা কেনো এসেছি পৃথিবীতে?
-সেটা জানার জন্যই কিন্তু বারবার পৃথিবীতে ফিরে আসি
-----------
----------------
----------------------
---------------------------
-আপনি চলেন আমার সাথে।
-এখন তো যেতে পারবো না।
-আচ্ছা ঠিক আছে,আমি ছবির হাটে ওয়েট করছি,আপনি কাজ শেষ করে আসুন।
-----
-কাফনের কাপড় পরেছেন কেনো?
-আমি আসলে পাখি হয়ে জন্মাতে চেয়েছিলাম,ছোট্টো চড়ুই শহুরে ম্যাগপাই।বন্দুক আবিষ্কার হওয়াতে আর পাখি হয়ে জন্মাতে সাহস হয়নি।
-মানুষ হয়ে জন্মে লাভ হয়েছে কোনো?
-এ জন্যই তো গায়ে কাফন চাপানো,বুক ফুটো হয়ে বাতাস বেড়িয়ে যেতে পারে যখনতখন, গোলমেলে ট্রাফিক নিয়মে পিশেও জেতে পারি যখনতখন, যখনতখন বাচো যখনতখন মরো।"হতাম যদি সোনালী ডানার চিল,আকাশের বিন্দু থেকে মেঘ এনে দিতাম তোমার ডানায়"।
-জীবনটা এমন কেনো?
-তোমার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মোটরযানে আমায় নিয়ে দূরে কোথাও চলো,গান শোনাব।
----------
------------
----------------
-তোমার কর্পোরেট প্রেমিক তোমাকে কনো উপহার দেয়?
-হ্যা...দেয় তো...
-কি উপহার?
-পারফিউম, ড্রেস....ডায়মন্ড রিং...
-এই নাও তোমার জন্য আমার উপহার
-পাখি!!
-চড়ুই এবং জীবন্ত
-------
----------
--------------
-এতো বড় বড় প্রজাপতি আমি আগে কখনো দেখিনি!!! পৃথিবীতে এতো বড় প্রজাপতি হয়!!!
-তোমার নিষ্পাপ বিস্মিত হাসির জন্য আমি পৃথিবীর সবকিছুকে ছোট অথবা বড় করে দিতে পারি
-তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?
-কবিরা কিছু পায় না,উপাসনালয়ের বাইরে জুতা রেখে গেলেও জুতা চুরি হয় না,বাসে চাপলে পকেটমার পকেটে ব্লেড চালায় না,নারীকে কামনা করে,স্পর্শ পায় না।তুমিতো অনেক নরম,শিমুল তুলোর মতো সুন্দর। একটা আপেল গাছের নিচে আমি হাজার হাজার বছর ধরে বসে থেকেছি,আপেল খেয়ে খেয়ে ক্লান্ত হয়েছে পাকস্থলী, কিন্তু নারীর স্পর্শ পাইনি।আমাকে নাও।
-----
---------
-------------
-নারী, তুমিও কি আমাদের মতো হতে চাও?
-জানিনা তো!
-তাহলে ডানা দু'টো কেনো?
-যে জীবন আমি যাপন করছি তা অন্য কারো,আমার চোখ দিনের পর দিন যে স্বপ্ন দ্যেখে সেটাও অন্য কারো,ফ্রেমে বন্দি ছবি হয়ে দিনের পর দিন থাকতে ভালোলাগে বলো?ডানা দু'টো নেই?উড়ে যাই বহুদূর?
-তোমার ডানা দু'টোও যে ধার করা....
-তাহলে আমি কোথায় যাব?
-মেয়ে,পৃথিবীতে ফিরে যাও, সেখানে সুন্দরের বড় প্রয়োজন...........
___________
@ মহম্মদ সামি
-------------------------------------------------
-এই যে....এই যে শুনছেন?
-মরি নি.....
-thanks god,আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম
-আমি আসলে ঘুমিয়ে পরেছিলাম
-ঘুমিয়ে পরেছিলাম মানে?কে আপনি?
-আমি?আমি একটা কাঠামো,যে একতাল মাংস সভ্যতা পোশাক ইত্যাদি ইত্যাদি বয়ে বেড়াচ্ছে।
-এসবের মানে কি?..আচ্ছা যাই হোক, রাস্তার মাঝখানে এতোসব কথার সময় নেই,আমি যাই।
-আমি মরে গেলে কিন্তু এতো সহজে আমায় ফেলে যেতে পারতেন না।
-আচ্ছা ঠিক আছে গাড়িতে উঠুন।
-উঠতে পারি, তবে একটা শর্তে, কোন প্রশ্ন করতে পারবেন না,আমি শুধু fm রেডিওতে ট্রাফিক আপডেট আর কোমল পানীয়র বিঙ্যাপন শুনবো।
-আপনি কি পাগোল?
-আমি দু:ভিক্ষের চেয়েও তিব্র।
-মানে?
-আমি একজন হতাশ মানুষ, আমি বির্যান্নেষণের আহব্বানে জন্মেছি,জুরিখের একদল বেয়ারা শিল্পীর লা'ভলতের পত্রিকার পাতায় আলপিনের খোঁচা মারতেই উনিশ শতকের জির্ণ কমর থেকে আমি বেড়িয়েছিলাম,ভারতবর্ষ'র অলিতে গলিতে আমার চোখে প্রযন্মের হাহাকার দেখে হাংরি হাংরি বলে গান তুলেছিলো একদল কবি,আমি সেবার হাংরিদের প্রতিনিধি হয়েও জন্মেছিলাম,শশশ....গাড়িতে উঠে গেছি,প্রশ্ন উত্তর দু'ই বন্ধ,এখন শুধু fm রেডিও কোমল পানীয় ট্রাফিক আপডেট বিউটিফিকেশন......
-আপনি কোথায় থাকেন বলেন আপনাকে পৌছে দিয়ে আসি,এভাবে সারাদিন তো আর গাড়িতে ঘুরলে চলবে না তাই না?এই যে....এই যে শুণছেন...........
-ভিজে গেলাম তো....
-আমি যে আপনাকে এতোক্ষণ ডাকছিলাম আপনি রেস্পন্স করছিলেন না কেনো?
-বেশ কয়েকদিন না খেয়ে মাথার ভেতর একটা ঘোর তৈরী হয়েছিলো,আমি ঘোরটা উপভোগ করতে লাগলাম
-দেখুন আমি আপনাকে কিছু টাকা দিয়ে দেই,আপনি কিছু খেয়ে নেন,আমার প্রচুর তাড়া,আমায় যেতে হবে
-আমি একজন কবি,প্রযন্মের লালা,আমাকে ভিক্ষুক ভাববার কোন কারন নেই,আপনি চাইলে আমার জন্য বার্গার সেন্ডুইচ জাতীয় বিদেশী খাবার কিনতে পারেন,ঘাসের উপর বসে আমি খেলাম,আর আপনার চোখের সামনে একজন ক্ষুদার্থ কবি'র রক্ত চলাচল বেড়ে গেলো।
----------------
-বেচারা হাসেম আজো খেতে পেলো না।
-মানে?হাসেম কে?
-আমার বন্ধু,হকার,একদিনো পত্রিকা বিক্রি করতে পারে না,সন্ধে হলেই ডাস্টবিনের আসে পাশে ঘোরে খাবারের খোঁজে...কি আপনের কি মনে হচ্ছে?ও ডাস্টবিনের খাবার খায়?....ও একটা বাটপার,ডাস্টবিনের খাবার খাবে বলে ভদ্দরলোকদের ভয় দেখায়,প্রতিদিন কেউ না কেউ ওকে চা বিস্কুট কিছু একটা খাওয়ায়।
-আপনি এভাবে কথা বলেন কেনো,খুব দু:বোধ্য লাগে।
-এই বার্গারটি কে রান্না করেছে?সে কি খুব কোমল সভাবের?খুব নরম কিন্তু।একটা বার্গার হাসেমের জন্য নিয়ে যাই।সন্ধে পর্যন্ত পচে যাবেনা তো।পচলেই বা কি,হাসেমের জন্য এই অমৃত,ডাস্টবিনের একঘেয়ে উচ্ছিষ্টতো নয়।
-আমার খুব মন খারাপ লাগছে।
-কিন্তু আমরা সুখী, বিস্ময়কর এবং হতাশ।
----------------
-----------------
--------------------
-----------------------
-এই...এই যে.....
-আমার বর্তমান নাম মুদ্রা
-তা বুঝলাম,কিন্তু আপনি এইগুলোর উপরে কেনো?
-আমি তো কংকালের পাহারাদার,এগুলোর মাংস গেছে মানুষের পাকস্থলীতে,চামড়া জুতার কারখানায় আর এগুলোর সাথে আমি।এগুলোর সাথে কিন্তু আপনারও ঘনিষ্ঠতা আছে...
-কি রকম!!
-কারখানায় গিয়ে এগুলো ভোল পালটে চিরুনি তারপর আপনার চুলে
-উফ...কি বিশ্রী গন্ধ
-আমার কিন্তু মন্দ লাগেনা..... পাঠিয়ে দিলাম,আপনার সাথে সকালটা কাটাই,আপনি কিন্তু শিমুল তুলোর মতো সুন্দর
-মানুষ কি ভাবে তুলোর মতো সুন্দর হয় সেটা বুঝলাম না
-আপনি কি প্রেম করেন?
-এইবার কিন্তু আপনি লিমিট ক্রস করছেন
-বেচারা নির্ঘাত গভর্নরের সাক্ষারের নিচে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে,মানে টাকার কাছে আর যেটা আমার বর্তমান নাম।
-মানে?
-আপনার প্রেমিক
-ওফ... ওর কথা এখানে কেনো আসছে?
-আছে তা হলে?
-হ্যা
-কিন্তু ও তো আমার মতো সুদর্শন না
-সুদর্শন!আপনি!!আচ্ছা ঠিক আছে,কিন্তু আমার বয়ফ্রেন্ড যে সুদর্শন না,সেটা আপনাকে কে বললো?
-বোঝাই যায়, তার দেহে শক্ত মেদের প্রাচীর, তক আয়নার মতো তিব্র,শহরের সবচেয়ে উচু দালান গুলো প্রতিফলিত হয় এমন আয়নার মতো তিব্র।ঠোটের পাশে শতভাগ কর্পোরেট অহংকার, হ্রতপিন্ডের পাশে কজ থেটা সাইন থেটা টেন থেটা রুট ওভার,মানে ছোটোখাটো হিসাবের মেশিন।
-তাহলে,জীবনের নিরাপত্তা খোজা কি অন্যায়?
-নিরাপত্তাই যদি শেষ কথা হতো,তাহলে মাতৃগর্ভের প্রবল নিরাপত্তার ভিতরেই থেকে যেতাম,ধুলোর পৃথিবীতে আসতাম না।
-তাহলে আমরা কেনো এসেছি পৃথিবীতে?
-সেটা জানার জন্যই কিন্তু বারবার পৃথিবীতে ফিরে আসি
-----------
----------------
----------------------
---------------------------
-আপনি চলেন আমার সাথে।
-এখন তো যেতে পারবো না।
-আচ্ছা ঠিক আছে,আমি ছবির হাটে ওয়েট করছি,আপনি কাজ শেষ করে আসুন।
-----
-কাফনের কাপড় পরেছেন কেনো?
-আমি আসলে পাখি হয়ে জন্মাতে চেয়েছিলাম,ছোট্টো চড়ুই শহুরে ম্যাগপাই।বন্দুক আবিষ্কার হওয়াতে আর পাখি হয়ে জন্মাতে সাহস হয়নি।
-মানুষ হয়ে জন্মে লাভ হয়েছে কোনো?
-এ জন্যই তো গায়ে কাফন চাপানো,বুক ফুটো হয়ে বাতাস বেড়িয়ে যেতে পারে যখনতখন, গোলমেলে ট্রাফিক নিয়মে পিশেও জেতে পারি যখনতখন, যখনতখন বাচো যখনতখন মরো।"হতাম যদি সোনালী ডানার চিল,আকাশের বিন্দু থেকে মেঘ এনে দিতাম তোমার ডানায়"।
-জীবনটা এমন কেনো?
-তোমার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মোটরযানে আমায় নিয়ে দূরে কোথাও চলো,গান শোনাব।
----------
------------
----------------
-তোমার কর্পোরেট প্রেমিক তোমাকে কনো উপহার দেয়?
-হ্যা...দেয় তো...
-কি উপহার?
-পারফিউম, ড্রেস....ডায়মন্ড রিং...
-এই নাও তোমার জন্য আমার উপহার
-পাখি!!
-চড়ুই এবং জীবন্ত
-------
----------
--------------
-এতো বড় বড় প্রজাপতি আমি আগে কখনো দেখিনি!!! পৃথিবীতে এতো বড় প্রজাপতি হয়!!!
-তোমার নিষ্পাপ বিস্মিত হাসির জন্য আমি পৃথিবীর সবকিছুকে ছোট অথবা বড় করে দিতে পারি
-তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?
-কবিরা কিছু পায় না,উপাসনালয়ের বাইরে জুতা রেখে গেলেও জুতা চুরি হয় না,বাসে চাপলে পকেটমার পকেটে ব্লেড চালায় না,নারীকে কামনা করে,স্পর্শ পায় না।তুমিতো অনেক নরম,শিমুল তুলোর মতো সুন্দর। একটা আপেল গাছের নিচে আমি হাজার হাজার বছর ধরে বসে থেকেছি,আপেল খেয়ে খেয়ে ক্লান্ত হয়েছে পাকস্থলী, কিন্তু নারীর স্পর্শ পাইনি।আমাকে নাও।
-----
---------
-------------
-নারী, তুমিও কি আমাদের মতো হতে চাও?
-জানিনা তো!
-তাহলে ডানা দু'টো কেনো?
-যে জীবন আমি যাপন করছি তা অন্য কারো,আমার চোখ দিনের পর দিন যে স্বপ্ন দ্যেখে সেটাও অন্য কারো,ফ্রেমে বন্দি ছবি হয়ে দিনের পর দিন থাকতে ভালোলাগে বলো?ডানা দু'টো নেই?উড়ে যাই বহুদূর?
-তোমার ডানা দু'টোও যে ধার করা....
-তাহলে আমি কোথায় যাব?
-মেয়ে,পৃথিবীতে ফিরে যাও, সেখানে সুন্দরের বড় প্রয়োজন...........
___________
@ মহম্মদ সামি
No comments:
Post a Comment