।। নাতিশীতোষ্ণ আনন্দ ।।

ধানশালিকের মতো আমিও বুঝে গেছি-
শীত এবং গ্রীষ্মের পার্থক্যকারী নাতিশীতোষ্ণ আনন্দ,
তবে রাতের কালো আর দিনের আলোর দ্রবিভুত ব্যাকরণ ও বৈশিষ্ট্য পাল্টায়নি আজো...
পাল্টেছে শুধু বৈরী উষ্ণতা।
মানুষের বাগানে মানুষ খোজে ষড়ঋতু...

তবু শীতের কাঁপনে জন্ম নেয় কুয়াশার অন্ধকার;
সূর্য-রোদে শিশিরের মৃত্যু হয় অবিরত।
তারপরও বেঁচে থাকে কিছু পরিযায়ী স্বপ্ন...

ম' ম' গন্ধরা ঘুমহীন রাতের সঙ্গী হয়-
সোনালী ধানের ঘ্রাণ আমাকে ঘিরে থাকে এই নবান্নের দেশে,
খেজুরের রসের ভাড়ে চুমুক দিয়ে মুগ্ধ হয় যুগল শালিক,
আবারও খড়কুটো খুজে আনে
বাসা বাঁধতে এই বাংলায়।

প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বাবুই পাখিরাও এখানেই
কাটিয়েছে প্রজনন মৌসুম,
বুনেছে সুখের নীড়।

তেমন'ই;
বাঙালীর সব উৎসব পালা পার্বণ-
অগ্রহায়ণের ভাঁপা পিঠার মতো
বুকের গভীরে গ্রোথিত উচ্ছ্বাস;
সব বীরত্বগাঁথা সব গৌরব,সব জয়- বিজয়;
একাকার হয়ে মিশে আছে এই সবুজ শ্যামলিমায়।

সব দুঃখকে আগলে রেখে খুজে নেবো সুখ তোমার মাঝেই,
হে আমার বাংলা মাগো জীবন দিয়ে ভালোবেসে যাবো তোমায়।

______________
© মোশ্ রাফি মুকুল