তারপর ধৃসর হলে বেগুনী চাঁদ-
চারদিকে ডানা মেলে ধরে বিবর্ণ রঙীন প্রজাপতি,
মায়াবী আলোক কণাগুলো বিবর্তিত হয়ে ওঠে নিটোল ছায়াপুরুষ।
এবং রঙধনুর ফুল হয়ে ফুটতে থাকে অন্তঃপুরে...
রাতভর চলতে থাকে ইহলৌকিক হিসাব নিকাশ...
রাতের দেহকে টুকরো টুকরো করে লোভ আর পাপের ছুরি;
যদিও প্রকৃত প্রেমকে কখনো ষড়রিপু স্পর্শ করেনা।
তবুও মৃত্যুর কন্ঠ ছুঁয়ে মানুষ জন্ম নিতে চায় বারবার,
রমনী পুরুষের এই পরিচয়টা মহাজাগতিক-
জাগতিক কোন প্রলোভন নয়- সৃষ্টির আদিম রহস্য!
আসলে জীবনের মতো সুন্দর কিছু নেই...
জীবনকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে উৎপাদনের চাকা,
যেমন জোৎস্নার গন্ধ মেখে প্রতি পক্ষে চাঁদ ঋতুবতী হয়...
জীবনকে আবিস্কার করতে হলে রাতের প্রবর হতে হয়,
নারীকে নিখাঁদ ভালোবাসতে হয়-
পুরুষেরও আপন হতে হয় রমনীর...
যদি নদী কিংবা রাতকে উচ্চারণ করা হয় নারীর উপমায়-
আকাশী রঙের যৌবনগুলো
নিখুত প্রেমে কিনে নেবে আমাদের স্বচ্ছ ছায়াপুরুষ...
__________________________________
© মোশ্ রাফি মুকুল
No comments:
Post a Comment