আচ্ছা, কেউ ঈশ্বর পাটনীর গল্প পড়েছিলেন? সেই যে ঈশ্বর পাটনী? ইছামতির মাঝি? ইয়া লম্বা, চওড়া ছাতি, একটা লোক? মানুষজন কে পারাপার করত? কত লোককে বাঁচিয়েছে জল থেকে? তার গল্প?
সেবার বন্যা হল। ঈশ্বর তার বৌকে নিয়ে সাঁতরে চলল জল দিয়ে। কিন্তু হঠাৎ জলের তোড়ে আর সামলাতে না পেরে বৌকে নিয়েই ডুবতে লাগল। শত চেষ্টা করেও উপরে উঠতে পারছে না । বৌ যেন তখন তার কাছে মনে হচ্ছে একটা জগৎদল পাথর খন্ড।। এতদিনের সমস্ত আদর্শ বিসর্জন দিয়ে, দিল বৌএর গলা টিপে, ঐ জলের তলায়ই। হাল্কা হয়ে উপরে নিজে ভেসে উঠে এক বুক নিশ্বাস নিল সে। বাঁচবার আনন্দে মুখ থেকে নিজের অজান্তেই বেড়িয়ে এল প্রথম শব্দ – আআহ!
গতকাল এ টি এম এ টাকা তুলতে গিয়ে যে লোকটা চিরদিনের মত পড়ে গেল মাটিতে? আর সে উঠল না? তাকেও, শুনলাম, পিছনের মানুষগুলো অতি সন্তর্পনে ডিঙ্গিয়ে নিজের গোপন পিন কোড টিপে এ টি এম থেকে টাকা নিয়ে বেড়িয়ে গেল, তার দিকে ফিরেও তাকাল না।
পশুদের মধ্যেও একতা আছে। তারাও সংগঠিত। কিন্তু মানুষের কি তার থেকে বিচ্যুতি ঘটছে? পার্থিব আকৃতি যাই থাকুক, তাদের মানসিক কাঠামোর কি কোন বিবর্তন হতে চলেছে? জানি ব্যতিক্রম কোন নিয়ম সৃষ্টি করতে পারে না। তবুও প্রশ্ন উঁকি দেয় মনে, তারা কি এই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির বশে অন্য মানদন্ডে বিচারযোগ্য হবে, ভবিষ্যতে? একটু ভাবুন।
______________
© দেবাশীষ দাশগুপ্ত
No comments:
Post a Comment