তোমাকে কোনদিন চিঠি লেখা হয়নি -
অথচ
খাতা, পেন, সময়, উপচে পড়া ছাইদানি
জ্বলন্ত সিগারেটের ধোঁয়ার মত রাগ
মদের গ্লাসের তলানির মত অভিমান
চাঁদের মত ক্ষয়ে যাওয়া
ছিল তো সব উপকরণই -
কথা?
হ্যাঁ, সেও তো অনেক আছে।
তোমাকে সেদিন লাল শাড়িতে খুব মানিয়েছিল -
তোমার পাশের বাড়ির ছেলেটা হাঁ করে তোমায় দেখে -
খোলা ছাদে তুমি যখন দুহাত উপরে তুলে ভেজা কাপড় মেল
আমার বুকের ভেতর চা ছলকে পড়ে।
মোড়ের মা-কুকুরটা রোজ ফ্যানের আশায়
তোমার দরজায় আসে
সেই যে কবে একবার দিয়েছিলে তুমি
যেটা তুমি ভুলেই গেছ,
তারপর থেকেই -
দেওয়াল লিখনের রঙ পালটেছে
দু দুটো বিশ্বযুদ্ধ পেরিয়ে গেছে
মানুষ আরো কতরকম ভাবে মারতে শিখেছে
চাষ শিখেছে, আগুন শিখেছে, চাকা শিখেছে
তোমাকে তো বলাই হয়নি এসব।
তুমি তো এখনো দুই-বেণী -
এখনো ফুচকার জল পড়া ঝালে লাল নাকের ডগা
আর আমিও সব ভুলে লেগে থাকা ঘামের ফোঁটা
তোমাকে লেখা হয়নি,
চলে যেতে চাওয়ার মানে কতখানি আঁকড়ে থাকা
তোমাকে বোঝানো হয়নি,
খোলা বুকের মানে কাছে চাওয়া
তোমাকে বলা হয়নি,
কষ্টের বানান এখন চার অক্ষরের
তোমাকে দেখানো হয়নি,
শূন্যতায় নক্ষত্র জুড়ে দিলে কেমন কালপুরুষ হয়ে যায়
আমি গুহা পেয়েছি, ষাঁড় এঁকেছি
পোশাক পরেছি, আগুন জ্বেলেছি
চাষ জেনেছি, চাকা বুঝেছি
শুধু অনন্ত ছুঁয়ে থাকার মাঝে চিঠি লিখতে শিখিনি
তোমাকে চিঠি লিখতে পারিনি -
__________
© শোভন বাগ
No comments:
Post a Comment