।। দামিনী তোর স্পর্শগুলো ।।

তোর স্পর্শগুলো আজো ঘিরে আছে চারপাশে,
হলুদ হ্যালোজেন উদ্ভাসে...
রঙীন গ্যাসের বেলুন
উড়ে উড়ে প্রতিদিন ছুঁয়ে দেয় আমার আকাশ।
আমিও রোমান্টিক প্রজাপতি
নক্ষত্রের ফুল খুলে খুলে দেখেছি কতো;
সেতো প্রজাপতিদের আদিম অভ্যাস!

জানিসতো...

যেদিন প্রথম তোর  স্পর্শগুলো বুকের উনুনে জ্বেলেছিলো আগুন-
কিছু স্ফুলিঙ্গ পতিত উল্কার মতো গেঁথে গিয়েছিলো-
তোর মেলে ধরা ইচ্ছের নরম কূপে,
দামিনী মনে করে দ্যাখ-
কিভাবে তোর গোপন স্পর্শগুলো আমার স্পর্শের কাছে দিয়েছিলি সঁপে।

তোর স্পর্শগুলো ছিলো এতোটাই সংবেদনশীল এবং সুক্ষ্ম
মিথ্যে ব্যাখ্যা করে হতে পারবোনা প্রবঞ্চক-গুরু;
আসলে আমিও আপেক্ষিকবাদ তেমন বুঝিনা;দামিনী-
সে বুঝতো শুভ্রকেশের আইনস্টাইন বুড়ো!

তোর স্পর্শগুলো ছিলো যথেষ্ট অতিবেগুনিক- রঞ্জক;
সময় ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই তা
পুড়িয়ে ফেলতে পারে অস্থিমজ্জা;
আমিও তারুণ্য পূজক আজন্ম নোটন যৌবন ময়ূর,
দে আরো দে তোর স্পর্শগুলো হাতের মুঠোয়...

তোর স্পর্শগুলোয় জমে আছে দীর্ঘ গল্পের রসায়ণ
জটিল কবিতার প্লট অতিশয় লোকলজ্জা...

তোর স্পর্শগুলোর চিবুক ছুঁলেই নাশ;
আমার সবুজ ধানে নামে সমুহ সর্বনাশ...

 তোর স্পর্শগুলো একবার ছুঁতে দে তাকে বৃদ্ধ পৃথিবীকে,
সেও হারাবে আহ্নিক গতি,
তোর স্পর্শগুলোর  তুলে রাখ-দামিনী...

ঢেকে রাখ তোর স্পর্শগুলো;
নচেৎ নেমে আসবে ধ্বংসকাল-
বিশাল বজ্রপাতের ক্ষতি।
বেঁধে যাবে দগ্ধযুদ্ধ- শোরগোল;
পুড়ে যাবো আমি পুড়ে যাবি তুই-
অতঃপর পুড়ে যাবে পৃথিবী-ভূগোল।

______________
@মোশ্ রাফি মুকুল