আলতু আদরের ন্যাপথালিন
দিয়ে সযত্নে সাজিয়ে রেখেছিল
নিজের সুপ্ত ইচ্ছের শিলালিপি
শঙ্খিনী রমণী তার হতাশার আলমারিতে ।
ষড়ঋতুর তীব্র প্রভাবও তার হতাশার আলমারিটা খুলতে পারেনি ।
খুঁজে পায় নি কাঠঠোকরার ঠোঁট আলমারিটার
গোপন লকারের চাবি ।
এরই মধ্যে হঠাত্ প্রকৃতির দূত ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে জাহির করতে লাগল
এখন থেকে ভাদুরে হাওয়াও নাকি ফণীধারী হবে!
রমণী ব্যস্ততার দরজা খুলে বাইরে উঁকি মেরে দেখতে গিয়েই দেখল ,-------
ভাদুরে হাওয়া বসে আছে তার কাব্যিক রোম্যান্সের ফণা তুলে
আর ফোঁসফোঁস করছে তার ফণীধারী ভঙ্গিমা ।
রমণী বলল ,
আমি ' শঙ্খিনী রমণী '।
নই কোন ' বেঁদেনি '।
বীণ বাঁশির সুরে তোমাকে বশ করতে পারব না।
ভাদুরে হাওয়া বলল আমি কাব্যিক রোম্যান্সের বশীভূত ।
বীণবাঁশির বাজনায় মন মজে না আমার ।
ভাদুরে হাওয়ার ফুরফুরে রোমান্টিক স্বভাবের আহ্লাদে
রমণীর হতাশার আলমারিটাও যেন গাম্ভীর্যের শক্তি হারিয়ে ফেলল
ধীরগতিতে হেঁটে বেরিয়ে আসছিল তার গোপন লকারের চাবির গোছাসমূহ
রোম্যান্টিক কৌশলে খুলে গেল তার হতাশার আলমারির গোপন লকার
ভাদুরে হাওয়া ফণীধারী থেকে গলতে গলতে গলে মুগ্ধ হয়ে গেল
রমণীর ইচ্ছের শিলালিপি পড়তে পড়তে ।
কালের নিয়মে ষড়ঋতুরা আবছা হয়ে এলেও
ভাদুরে হাওয়াই তীব্রভাবীরুপে রোম্যান্টিক আতরে দখল করেছে
প্রাকৃতিক শঙ্খিনী রমণীর হতাশার আলমারিটা।
------------- ----------© শম্পা বিশ্বাস
No comments:
Post a Comment