নাফের সবুজ জল হয়ে গেছে রক্তাভ
লাল-
এখন এ জলাধারে নেই কোন হাঙ্গর তিমি এবং মাছদের আনাগোনা,
নারী পুরুষ আর দুধের শিশুর ক্ষতবিক্ষত লাশ ভাসছে জলজ শেওলার মতো...
এ সীমান্ত নদীর সমগ্র শরীরে ইতিহাসের বর্বর গনহত্যার চিহ্ন।
এ নদী এখন জল শূন্য রক্ত সরোবর...
হায়রে ধর্মের কুলাঙ্গার-
বকধার্মিক রক্তপিপাসু পশুর জারজ;
মানব রক্তের স্বাদ কি এতো প্রিয় তোদের?
হায়রে অহিংসার পূজক!
তাজা মানুষের ঝলসিত মাংস আর কতো চাই তোদের মাংসাশী হায়েনার দল?
মাংসের পোড়া গন্ধ না পেলে ঘুম আসেনা তোদের?
এবার থামরে শয়তানের প্রেতাত্মা;
থামনারে বুনো শুকুরের দল,
পৃথিবীর চোখ আর এ ভয়াল দৃশ্য দেখবেনা;
নাফ আর অসহায় আদম সন্তানের লাশ নেবেনা,
এ শান্ত নদী আর রক্তের স্রোতস্বিনী হবেনা...
নাফও বড় ক্লান্ত;
এবার থাম তোরা, থামরে ইবলিশের দোসর;
তোরা বদলে দিলি নদীর চরিত্রকেও,
এখন এখানে মাছ নেই,নেই কোন কাজল জলোচ্ছ্বাস-
চারিদিকে বইছে রক্তের ফিনকিধারা
নদীতে ভাসছে শুধু লাশ আর লাশ...
কাঁদছে মানবতা কাঁদছে নাফ!
কাঁদো নদী নাফ;তুমিও কাঁদো।
© মোশ্ রাফি মুকুল
No comments:
Post a Comment