বাজারে ফটিকের সাথে দেখা। দেখলাম
ফটিক মাল খেয়ে পুরো টালমাটাল। আমি বললাম ফটিক এখন তো খুচরোর খূব অভাব তুঁই মাল
খাওয়ার টাকা কীভাবে পেলি
ফটিক- আরে মাস্টার তোমাকেও তো দেখে অন্য রকম লাগছে।
মানে তুমিও কি নেশা টেশা করেছ নাকি?
ছি ছি কি বলিস ফটিক। আমি কোনদিন ওগুলোর রাস্তাতে হাঁটি নি । কিন্তু
তোর কেন এমন মনে হল যে আমি নেশা করেছি।
ফটিক- না তোমার চোখ দুটো কেমন ঘোলা ঘোলা আর হাঁটা টা কেমন আমাদের জাতের।
আরে না না । আসলে গোটা শহরে কোন ATM থেকে টাকা পেলাম না।
কি করে চালাব জানি না। তাই আমাকে ওরকম
দেখছিস। আসলে আমি বুঝতে পারছি না মোদীজি এত ভাল একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু একটু
যদি ১০০ টাকার নোটের পর্যাপ্ত বয়বোশঠা করতেন তাহলে ভাল হত।
ফটিক- আরে মাস্টার মোদীজি তো মাল খাওয়ার
ব্যবস্থা করে দিলেন।
অ্যাই শোন বাজে বকিস না । তোকে পাবলিক
ক্যালাবে ।
ফটিক- বিশ্বাস হল না। আসলে যেখানে মাল খায় ঐ শালা সদানন্দ পাল একটা
হাড়ামীড় বাচ্চা। শালা কোনদিন ধারে মাল
দিল না। আজ বললাম সদানন্দ ভাই পোকেটে খুচরো নেই। একটু
মাল ধারে দিবি। শালা বলে তোকে এমনি মাল খাওয়াব । আমার ২ লাখ টাকা নিয়ে
যা। আর তোর নামে ব্যঙ্কে রেখে দে। কিছু দিন পর আমাকে টাকাটা ফেরত দিয়ে দিবি। তোকে
১ মাস ফ্রিতে মাল খাওয়াব। তাই সুযোগ ছাড়লাম না।
আমি বললাম এই তো তোরা
ভাল কাজের মুল্য বুঝিস না। সামান্য নেশার জন্য মোদীজী র ভাল চিন্তা ভাবনা কে মাটি
করে দিচ্ছিস।
ফটিক- মানলাম না। আমি বলছি সবাই নেশার জন্য যা কিছু করে।
আমি বললাম কিরকম?
মোদীজী- ওনার নেশা দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করবেন।
কিছু নেতা – ওনার নেশা ভাল কাজের বিরোধিতা করবেন।
আমি বললাম- অ্যাই দেখ এগুলো বিতর্কিত কথা আমি এর মধ্যে নেই। তবে একটা
কথা বলি ফুল আর বোমা দুটোই ফাটে। প্রথম জন( ফুল)
চুপিচুপি ফাটে কিন্তু শেষে সুগন্ধ দিয়ে যায়। আর বোমা জোরে জোরে ফাটে কিন্তু শেষে
বারুদের পোড়া দুর্গন্ধ রেখে যায়। তাই কে ফুল হয়ে ফুটছে আর কে বোমা হয়ে সেটা তার
নিজস্ব ব্যাপার সেখানে আমার তোর কি বলার আছে। তবে মোদীজী যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটা
যেমন ভাল। তেমনি বাজারে খুচরোর অভাবে মানুষের
অসুবিধেতে পড়েছে এটাও তো অস্বীকার করা যায় না। আচ্ছা আর বল কি
করে সবাই নেশা করে।
ফটিক- ঠিক আছে শোন।
ডাক্তার-- শালা সব থেকে নেশাখোর। ফি, অপারেশন,
চেক আপ কোথাও একটাকাও ছাড়ে না। শালারা আমার মনে হয় আমরা নেশার জন্য
বৌয়ের গয়না চুরি করি বেচি আর ওরা টাকার জন্য মালা সুদ্ধ বউকে বেঁচে দেবে।
উকিল—এদের নেশা মক্কেল কে কত দেরি করে ফয়সলা করলে তাদের
টাকা আসবে।
মাস্টার—আর তোমাদের মত মাস্টার স্কুলে কম প্রাইভেটে মন বেশী ।
তাই তোমাদের নেশাও ঘুরে ফিরে টাকা।
বিজনেস ম্যান—এদের নেশা দেশকে কর ফাঁকি দিয়ে কিভাবে টাকা ঘরে জমিয়ে
রাখা যায়। এই যেমন শালা সদানন্দ পাল।
নেতা—শালা এদের নেশা পাবলিককে কিকরে বুড়বক বানান যায়।
বুদ্ধিজীবী—আমাদের বাংলা
চ্যানেলের সন্ধ্যা বেলার পাব লিক যাদের নেশা ভুল
ভাল বুঝিয়ে ওদের চিন্তা ভাবনা আমাদের মাথাতে ঢুকিয়ে দেওয়া।
ফেসবুক—শালা আজকের সবথেকে খারাপ নেশা। নিজে খাও অপরকে
খাওয়াও। কেউ কবিতা , কেউ ফ্রিতে বানী, কেউ আবার মুখ বেঁকিয়ে সেলফি। আর সবাই শালা ওই নেশাতে বুঁদ।
আমি বললাম-বুঝলাম ফটিক। তাহলে তুঁই ভাল মতই নেশা করেছিস। নাহলে সুস্থ
ব্রেনে এত কথা বলতে পারতিস না।
ফটিক- সে তুমি যাই বল। দুমাস সুযোগ পেয়েছি। এখন আমার সবসময় নেশা
থাকবে। তাই দুমাস আমায় কিছু বোলবে না।
আমি বললাম ঠিক আছে।
ফটিক চলে গেল। আমি বাড়ীর পথে রওনা দিলাম। কিন্তু আমার মাথাটা ঝিমঝিম
করছে কেন? তাহলে কি আমার নেশা হয়ে গেল? বাজারে ফটিকের সাথে দেখা। দেখলাম
ফটিক মাল খেয়ে পুরো টালমাটাল। আমি বললাম ফটিক এখন তো খুচরোর খূব অভাব তুঁই মাল
খাওয়ার টাকা কীভাবে পেলি
ফটিক- আরে মাস্টার তোমাকেও তো দেখে অন্য রকম লাগছে।
মানে তুমিও কি নেশা টেশা করেছ নাকি?
ছি ছি কি বলিস ফটিক। আমি কোনদিন ওগুলোর রাস্তাতে হাঁটি নি । কিন্তু
তোর কেন এমন মনে হল যে আমি নেশা করেছি।
ফটিক- না তোমার চোখ দুটো কেমন ঘোলা ঘোলা আর হাঁটা টা কেমন আমাদের জাতের।
আরে না না । আসলে গোটা শহরে কোন ATM থেকে টাকা পেলাম না।
কি করে চালাব জানি না। তাই আমাকে ওরকম
দেখছিস। আসলে আমি বুঝতে পারছি না মোদীজি এত ভাল একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু একটু
যদি ১০০ টাকার নোটের পর্যাপ্ত বয়বোশঠা করতেন তাহলে ভাল হত।
ফটিক- আরে মাস্টার মোদীজি তো মাল খাওয়ার
ব্যবস্থা করে দিলেন।
অ্যাই শোন বাজে বকিস না । তোকে পাবলিক
ক্যালাবে ।
ফটিক- বিশ্বাস হল না। আসলে যেখানে মাল খায় ঐ শালা সদানন্দ পাল একটা
হাড়ামীড় বাচ্চা। শালা কোনদিন ধারে মাল
দিল না। আজ বললাম সদানন্দ ভাই পোকেটে খুচরো নেই। একটু
মাল ধারে দিবি। শালা বলে তোকে এমনি মাল খাওয়াব । আমার ২ লাখ টাকা নিয়ে
যা। আর তোর নামে ব্যঙ্কে রেখে দে। কিছু দিন পর আমাকে টাকাটা ফেরত দিয়ে দিবি। তোকে
১ মাস ফ্রিতে মাল খাওয়াব। তাই সুযোগ ছাড়লাম না।
আমি বললাম এই তো তোরা
ভাল কাজের মুল্য বুঝিস না। সামান্য নেশার জন্য মোদীজী র ভাল চিন্তা ভাবনা কে মাটি
করে দিচ্ছিস।
ফটিক- মানলাম না। আমি বলছি সবাই নেশার জন্য যা কিছু করে।
আমি বললাম কিরকম?
মোদীজী- ওনার নেশা দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করবেন।
কিছু নেতা – ওনার নেশা ভাল কাজের বিরোধিতা করবেন।
আমি বললাম- অ্যাই দেখ এগুলো বিতর্কিত কথা আমি এর মধ্যে নেই। তবে একটা
কথা বলি ফুল আর বোমা দুটোই ফাটে। প্রথম জন( ফুল)
চুপিচুপি ফাটে কিন্তু শেষে সুগন্ধ দিয়ে যায়। আর বোমা জোরে জোরে ফাটে কিন্তু শেষে
বারুদের পোড়া দুর্গন্ধ রেখে যায়। তাই কে ফুল হয়ে ফুটছে আর কে বোমা হয়ে সেটা তার
নিজস্ব ব্যাপার সেখানে আমার তোর কি বলার আছে। তবে মোদীজী যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটা
যেমন ভাল। তেমনি বাজারে খুচরোর অভাবে মানুষের
অসুবিধেতে পড়েছে এটাও তো অস্বীকার করা যায় না। আচ্ছা আর বল কি
করে সবাই নেশা করে।
ফটিক- ঠিক আছে শোন।
ডাক্তার-- শালা সব থেকে নেশাখোর। ফি, অপারেশন,
চেক আপ কোথাও একটাকাও ছাড়ে না। শালারা আমার মনে হয় আমরা নেশার জন্য
বৌয়ের গয়না চুরি করি বেচি আর ওরা টাকার জন্য মালা সুদ্ধ বউকে বেঁচে দেবে।
উকিল—এদের নেশা মক্কেল কে কত দেরি করে ফয়সলা করলে তাদের
টাকা আসবে।
মাস্টার—আর তোমাদের মত মাস্টার স্কুলে কম প্রাইভেটে মন বেশী ।
তাই তোমাদের নেশাও ঘুরে ফিরে টাকা।
বিজনেস ম্যান—এদের নেশা দেশকে কর ফাঁকি দিয়ে কিভাবে টাকা ঘরে জমিয়ে
রাখা যায়। এই যেমন শালা সদানন্দ পাল।
নেতা—শালা এদের নেশা পাবলিককে কিকরে বুড়বক বানান যায়।
বুদ্ধিজীবী—আমাদের বাংলা
চ্যানেলের সন্ধ্যা বেলার পাব লিক যাদের নেশা ভুল
ভাল বুঝিয়ে ওদের চিন্তা ভাবনা আমাদের মাথাতে ঢুকিয়ে দেওয়া।
ফেসবুক—শালা আজকের সবথেকে খারাপ নেশা। নিজে খাও অপরকে
খাওয়াও। কেউ কবিতা , কেউ ফ্রিতে বানী, কেউ আবার মুখ বেঁকিয়ে সেলফি। আর সবাই শালা ওই নেশাতে বুঁদ।
আমি বললাম-বুঝলাম ফটিক। তাহলে তুঁই ভাল মতই নেশা করেছিস। নাহলে সুস্থ
ব্রেনে এত কথা বলতে পারতিস না।
ফটিক- সে তুমি যাই বল। দুমাস সুযোগ পেয়েছি। এখন আমার সবসময় নেশা
থাকবে। তাই দুমাস আমায় কিছু বোলবে না।
আমি বললাম ঠিক আছে।
ফটিক চলে গেল। আমি বাড়ীর পথে রওনা দিলাম। কিন্তু আমার মাথাটা ঝিমঝিম
করছে কেন? তাহলে কি আমার নেশা হয়ে গেল?
______________
© অভিজিৎ মন্ডল
No comments:
Post a Comment