ধূ ধূ করা রুক্ষ যন্ত্রণা গুলোর
ওপারে;
দাঁড়িয়ে আছে দাঁড়িয়ে
আছে
সেই থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে
আমাদের ছেলেবেলা।
ক্যাম্বিস বলের মত সময় লাফিয়েছে
ছোটবেলায় বল হারালে
দুঃখের বাবলা কাঁটা বিঁধতো হৃদয়ে
বড় বেলায় হারিয়ে ফেলা যেন
এক ফুরফুরে উৎসব
শেকড় না হারালে
কিছুতেই তোমাকে
বিক্র করা যাবে না
যাবে না বাজারে।
জিলিপির প্যাঁচের মত
জটিল এক পরিমিতি
সম্পর্ক গুলোর শরীর থেকে
উঠে আসে গন্ধ
গানপাউডারের গন্ধ
যুদ্ধ শুরুর আগের
তাজা বারুদের টাটকা সুবাস।
আবির রাঙ্গা আকাশ দেখলেই
আমার সেই হাতি মুখ ওলা
স্লিপটার কথা মনে পড়ে যায়
বার বার মনে পড়ে যায়।
পার্কে স্লিপের মাথায়
আমি বোন পাপলু
মাসির ছেলে পাপলু
জেদি বাতাসের দুলে ওঠা
আস্তে আস্তে হামাগুরি দিয়ে
নামছে সন্ধ্যে
বাড়ী ফিরে যেতে হবে
যেতে হবে ফিরে পুরনো অশ্রয়ে।
বিদ্রোহ হত খুব মনে
বড়দের মনে হতো দানব দৈত্য
স্বাধীনতার যুদ্ধে আমরা তিনজন
বোন আমি পাপলু।
সেই হাতি স্লিপের মাথা
শূরওলা হতির মাথা
আজ হারিয়ে গেছে
সময় এক আশ্চর্য্য এনাকোন্ডা
ওর মোটা পেটে জমা আছে ইতিহাস।
পাপলু বলছিল সেইদিন
আর আমরা দাদাভাই উঠতেই
পারবোনা ওইখানে
স্লিপের মাথায়
অশ্বথমা মণি দিয়ে চলে গিয়েছিল
আমাদের হাতি স্লিপ
মাথা বলি দিয়ে
আছে টিকে
এখনও টিকে আছে
সরসুনা পার্কের শরীরে।
তৈলাক্ত বাঁশ আর বাদরের গল্প
খুব প্রিয় আমার
জেদি বাদর ওপরে উঠতে চায়
বার বার পড়ে যায়
তেল বড় চালু পুরিয়া চিজ
উথ্বানকে নামিয়ে আনে পতনে।
তবু প্রগতির চাকা ঘোরে বন বন
যন্ত্রের প্রয়োজনে এসি বসে
বসে এসি অফিসে
শুধু শ্রমের মূল্যই যা কমে যায়
সব কিছু বেড়ে যায়
কমে যায় শুধু কমে যায়
শ্রমিকেরই প্রপ্য মজুরি।
এত ধাঁধার মত অন্ধকারে
সিরাপ রং এর জ্যোৎস্না
ভাল লাগে
ভাল লাগে পড়তে
মুন্সি প্রেম চাঁদ থেকে ভি আই লেনিন
মধ্যরাতে টক টক টক
দরজায় কে নাড়া দেয়
বুঝতে পারি
হারনো সময় কথা বলতে চায়
বুঝতে পারি যন্ত্রণারা
কথা শুনতে চায়
শব্দ শুনতে চায়।
কথা বলার এখন হাতে
বিশেষ কিছুই নেই।
শুধু স্বাধীনতা বড় ভাল লাগে
নাম না জানা এক লোক কবি লিখেছিল
" মানুষ কল! কলের বাপ
চৈতন্য নিহিত মূলে"
নিজকে চিনি আমি
এ আকাশ লেখার ক্ষমতা নেই
নেই আমার এ আকাশ আঁকার কোনও ক্ষমতা।
তবু মেঘ মাখা মধ্যরাতকে বলি
চৈতন্যের পূর্ণ স্বরূপ
মানুষের সর্বিক স্বাধীনতা
স্বাধীনতা বড় ভাল লাগে।
© দেবাশিস চক্রবর্তী
No comments:
Post a Comment