পাথরটাকে ভাসিয়ে রাখো
___________________
© নির্মল সাহা
বরফ ডোবাও জলে,
দেখাও দেখি লোহা কেমন
আগুন ছাড়া গলে।
জ্যোতিষ যদি এতই কাজের
জ্যোতিষী কেন মরে,
চা কফি না খেলে আবার
মাথা কেন ধরে।
খিদে পেলে ভাতের থালায়
আমরা কেন বসি,
কাগজ কলমে হয়না লেখা
লাগে কেন মসি।
তেষ্টা পেলে জলটা গলায়
ঢালতে কেন হয়,
স্কুলে গিয়ে করি পড়াশোনা
না করলেই নয়।
বিকাল বেলা খেলার ছুটি
রাত্রি বেলা ঘুম,
সন্ধ্যা বেলায় সব ঘরেতেই
চলে পড়ার ধুম।
সকাল হলেই বিছানা ছাড়ি
নইলে চলে বকা,
জীবনটাই তো হলো মাটি
খুশি যায়না দেখা।
আমোদ প্রমোদে মেতে মোরা
খিলখিলিয়ে হাসি,
গরীবের কথার দামটা বেশী
যদি হয় বাসি।
মাষ্টারমশাই রাগী কেন হয়
থাকে হাতে বেত,
মাষ্টারনীরা যখন যায় রেগে
বুঝিনা অভিপ্রেত।
আড়ি ভাবের খেলায় মাতে
পাড়ার যত মেয়ে,
ছেলেরা করে মারপিট আর
নালিশ করে গিয়ে।
দোকান বাবুরা জিনিস দিয়ে
পয়সা কেন নেয়,
এসব কথা ভাবতে বসলে
মাথা গুলিয়ে যায়।
পুজোয় কেন নতুন জামা
খাওয়া দাওয়ায় মজা,
চুরি ডাকাতি করছে যারা
পায় কেন সাজা।
মানুষ কেন করে মারপিট
কেন করে খুন,
ব্যাঞ্জন রাধতে সবসময় কেন
লাগে একটু নুন।
কারর বাড়ি জ্বলছে আলো
পাশে থাকে আঁধার,
ফুটপাতেতেই কাটায় কতলোক
কারর জায়গা ভাগার।
খাবার অভাবে শিশুরা কাঁদে
রাস্তার মাঝে বসে,
মায়েরা তাদের ভিক্ষা করে
বছরের বারোমাসে।
ডাস্টবিনে থাকে কত খাবার
নোংরা জলে ভাসে,
মানুষ কুকুর করে কাড়াকাড়ি
একই পাতায় বসে।
ডাক্তারবাবুর কাছে যেতে হয়
অসুখ বিসুখ হলে,
মারা গেলে কেউ মৃতদেহ
চিতায় কেন জ্বলে।
এমন শতেক জিজ্ঞাসা মনে
ভাসে নিত্য দিন,
এসব প্রশ্নের সদুত্তর জানবোই
কোননা কোন দিন।
___________________
© নির্মল সাহা
No comments:
Post a Comment