চল বন্ধু আরো শোনায় ফটিকের কাণ্ড
কারখানা,
ভাল যদি না লাগে তো পড়তে করি মানা।।
তার বউ বাড়ীতে গালমন্দ করছে বড্ড বেশী,
তাই ফটিকের রাগ কমাতে ভরসা হল দেশী।।
দিবারাত্র নিজের গলায় ঢালে গঙ্গাজল,
এত খেলে কি হবে তার ভাবে নাতো ফল।।
একদিন এমন সুন্দর সকাল রৌদ্র ঝলমল,
সকাল সকাল গলায় ঢেলে হল যে টলমল।।
গলা ছেড়ে কান্নাকাটি শুরু করল বউ,
পাড়ার লোক কানে শুনেও এগিয়ে এল না কেউ।।
এরপর বউএর কান্নার বাড়ল যে ভাই রেষ,
কান্নার চোটে বিষিয়ে গেল পাড়া প্রতিবেশ।।
মন গলল সবার তখন এল পাড়া প্রতিবেশী,
ফটিক আবার উলটে আছে খেয়ে নিয়ে দেশি।।
তার বউ বলল কেঁদে কেঁদে, “ দেখুন সবাই
মিলে,
আমার স্বামী কুঁকড়ে গেছে সকাল সকাল গিলে’’।।
সবাই মিলে দেখল তারে ফটিক নিকট গিয়া,
কুঁকড়ে যাওয়া সাইজ দেখে গলল তাদের হিয়া।।
মাতাল হলেও হাজার তো হোক নিজের পাড়ার লোক,
তাকে দেখে সবার মনে এল যে ভাই শোক।।
ঠিক করল তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যাবে,
তবেই তারা প্রতিবেশীকে আবার ফিরে পাবে।।
ডাক্তার বলে দেখেশুনে, “ আমার প্রশ্ন
মনে জাগে,
মাল খেয়ে কুঁজো হওয়া কেউ হয়েছে আগে ?’’।।
হটাত ডাক্তার খেয়াল করল কোন সমস্যা তো নয়
রোগটি এবার ধরা গেছে নাই কোন সংশয়।।
বলল, “ তাড়াতাড়ি ঢুকাও তাকে আমার চেম্বার এর মধ্যে,
এবার আমি ওষুধ দেব যা আছে মোর সাধ্যে”।।
সবাই মিলে ঢুকাল তারে চেম্বার ভিতর,
এর পরে সকলের চোখ কপাল উপর।।
ফটিক আসছে সোজা হয়ে ভাল মানুষ সেজে,
তাকে দেখে সকলের মনে খুশি উঠল বেজে।।
ডাঃ বলল , “ শোন সবাই ভাল করে প্রতিবেশী দল,
এমন খেলে মাঝে মাঝে হবে এরম ফল।।
নেশা করে তোমাদের করল হয়রানি,
সে প্যান্টের ফুটোয় গুঁজে দিয়েছে জামার বোতাম খানি” ।।
তাই বলছি বন্ধু সকল ফটিকের মত করো নাকো নেশা,
তাড়াতাড়ি like দাও বন্ধ করে হাসা।।
© অভিজিৎ মন্ডল
No comments:
Post a Comment