তার চোখের ভেতরে লেখা শব্দগুলো পড়তে চেয়েছিলাম আমি;
তবে সে নিজেকে লুকোতে চেয়েছিলো বারবার।
আমি বললাম তোমাকে চিনেছি আমি,
তুমি নীহারিকা না?
দুর থেকে যে পুঞ্জিভূত আলোক রশ্মিরাগে ভরিয়ে যায় লোকে লোকে?
মেয়েটি নিয়মভাঙার এক অদ্ভুত দাবার ছকে দাঁড়িয়ে বললো-
'নিরো আমাকে চুম্বন করো
আমাকে আলিঙ্গন করো'-
আমি হতবাক হলাম।
অতঃপর নীহার ওষ্ঠপরাগ মাখতে মাখতে-
আমার ভেতরের অনুরাগগুলোও অলৌকিক গভীরতায় ডুবতে লাগলো বিস্ময়করভাবে।
মানুষের অপেক্ষায় এতো নৈসর্গিকতা থাকতে পারে?
নারীর কোমলতায় এতো তেজস্ক্রিয়তা থাকতে পারে?
অবাক হলাম আমি।
এবং;
তারপর নীহা আমাকে একটা স্বর্গোদ্যান দেখিয়ে বললো নিরো- চলো ভিজবো;
অথচ সেখানে কোন বৃষ্টি হয়নি বিগত কয়েক শতাব্দীতেও,
নিষ্পাপ মুনি'র মতো প্রার্থনারত দু'টো
বুনো ক্যাকটাস
আর প্রেমার্দ্র দু'টি যুগল ফুল-
পায়চারী করছিলো সে মহাকালের বাগানে।
আমি বললাম চলো...
তার চোখের ভেতরে অঙ্কিত চারটি অক্ষর দিয়ে
একটি শব্দের জন্ম দিয়ে নীহারিকা বললো 'ভালোবাসি'...
রহস্যময় সে বৃষ্টির জলে ভিজতে ভিজতে-
আমিও বুকের অভিধান থেকে সবচেয়ে মধুময় শব্দটা
নীহার নিকুঞ্জে-
রেখে এসেছিলাম সেদিন।
_______________
© মোশ্ রাফি মুকুল
No comments:
Post a Comment