১
চার অক্ষরে কবি কখনোই মানুষ প্রজাতির নয় - যদিও কবিতায় তরঙ্গিত আলোর
কুচি।।
পুড়ে যাওয়া শ্মশানের নেশাগ্রস্ত চিতা - আশ্রয় নিতে পারে সভ্য ছাকনীতে
থাকা থাকা যথেষ্ট নিম্নবর্গীয়।।
চার অক্ষরে কবির কাছে অর্থবহ সর্বনাশের ইঙ্গিত।।
কবি বাঁচতে চায় নি - চেয়েছিল একমাত্র কবিতা জীবন হোক।।
২
একটি মশা ও একটি সিন্ধঘটকের বিনিময় মূল্য কতো - এ.টি.এম এ দুটো দরজাই
সহজলভ্য।।
ময়াল সাপটা ফিডিং বোতল হতেও তো পারে - কখনো টক কখনো মিস্টি।।
যাই ঘটুক - কসমিক অ্যানালাইশিশে মানুষমাত্রই এক - উৎপাদিত কাগজের
মন্ড।।
৩
সূতির লুঙ্গিটা খুলে পর্দার আড়াল - ভেতরে অধিকাংশই গোপনীয়।শালীনতা
বজায় রাখতে রাখতে কবিতা বড়ো ক্লান্ত - ছুটি চাইছে পাঁচ টাকার খদ্দের।।
গনসঙ্গমের যৌথ খামারে যে শিশুরা আজ ফসল - ঘিলু বদলে মাথায় একখন্ড
মানচিত্র ও একখানা কাঁচের গ্লোব.....
৪
আবহাওয়া বাকি রেখে জঙ্গি বিষয়ক যাবতীয় তথ্য চূড়ান্ত অগোছালো - অতএব
মাঝামাঝি দায়ভাগ নেই।মসৃন চাঁদের পিঠে - যে সতীরা শিবলিঙ্গে জল দেয় - জলবায়ুর খবর
তাদের কাছে।।
হিরোশিমা-নাগাসাকি-চেরনোবিল-পোখরান - অকথিত সংশয় ও ভয়ে মৌসুমিবায়ু।
ক্ষমতাসীন দল।একটু গেরুয়াকরন।তেজস্ক্রিয়তা গ্রামকে গ্রাম - শহরকে শহর
শিবনেত্র সন্ধানে।।
মাকড়শারজাল প্রবল গতিবেগে অক্টোপাসের শুড়।।জীবনের চালচিত্র - অপারেশন
টেবিলে।
প্রসব যন্ত্রনা বাড়ে - আবির মাখতে ব্যস্ত সভ্যতা।।
৫
অনিয়মিত কোলাজে দূরবীনে চোখ - টুপিস বিকিনি পরা শেখাচ্ছে লিঙ্গভেদ।।
যে মাতৃত্বে বিচারক নেয় নি রেপকেস - ডাইমেনশনাল চুকিতকিত খেলায়
শুভ্রতা বাড়ে।।
ওদিকে ফুলশয্যার তোড়জোড় - মোৎসার্ট বাজাচ্ছে সানাই।।
কাল রোদেজলে - শূন্য ও শীত ঘড়ির কাটায় কাটায় - মেনে নেওয়া যায় না
আদিম পুংকেশরের সমকামী অবস্থান।।
৬
রেসোলিউশনে মাঝামাঝি বারান্দা ভাল - প্রমানাভাবে একটু শীতার্ত হোক
দিন।
মরফিন শূন্যতায় যে ময়ুরী বাঁশিসুরে ডেকেছিল - অকাল যৌবনে তাকেই
বৃষ্টি বোঝা বৈচিত্র্য ভুল।
এগুলো সবকিছুতেই হয় - এগিয়ে চলে অপরাধ - সারিবদ্ধ ফুসফুস যোগানে।।
পৃথিবী মার্কা ব্ল্যাকবোর্ড ফ্যাক্টরিতে - প্রোডাক্ট তিনভাগ জল ও এক
ভাগ স্থল।।
এ তত্ত্ব অনেকটা অচল পয়সার মতো - অর্থনৈতিক পাজামায় দড়ি বাঁধে হরেক
কিসিমের মোমের পুতুল - মানুষ ও মৌমাছি কবিতায় এক।।
৭
বোবা চিঠির ভাষায় কবিতা আপাদমস্তক ভবঘুরে হলে - ইস্কুল ছুটি।।টিংটিং
ঘন্টা বড্ডো রোগা - জ্যামিতিক বাঁকগুলো যখন সত্যিই রেশনের লাইনে চা-জল চায়।।
জল পড়ে...... বৃষ্টি হলেই বা শিশিরে - এতটা দিকভ্রান্ত নাবিক নয়
কেউই।।
সমাজতাত্ত্বিক উপাদানে - কাগজ জমানো বেলুনওয়ালার হাতে শুকতারা মাখা
কম্পাস।।
প্রতি মুহুর্তে গনতান্ত্রিক সংবিধান - নিষিদ্ধ বন্ধু খোঁজে।।
৮
বিন্দুবিন্দু প্রবাহের দুর্ঘটনায় আকস্মিক বক্তব্য রাখতে বললে -
একমাত্র ব্রিগেড।সারিবদ্ধ লাইন নিয়ন্ত্রণে একজাতীয় পরজীবী অতিভুজ।
পাস্কেলের সূত্রে - যাবতীয় চাপ যে কোনো কেন্দ্রে অভিন্ন।ভোটারের লাইন
প্রমাণ স্বীকার করে না।
পরিকল্পনায় একমুঠো কবিতা থাকলে - একমুখী রুদ্রাক্ষমালায় দেবরাজের
সিংহাসন বেশ্যালয়ে দাম পায় না।।
জল-নদী-আকাশ-পাহাড়-প্রেম ও আলো - ক্রমশঃ পেন্ডুলামের আবর্জনায় বেগ
দেয় রাত্রি এসেছে - এখন গোপন হাসপাতাল বাধ্যতামুলক।।
পেটে ভাতের অভাব - কবিও বলিইডি হিরোইনকে জানাচ্ছে শরীরী আমন্ত্রণ।।
৯
ভাবনাকে চেতনার নিয়ন্ত্রণে আনলে - কবিতায় চূড়ান্ত দ্বন্দ্ব।
কুন্তীর পেটে কটা পরিচয়হীন কর্ণ - মাতৃত্বের ভিক্ষা দেয় নিঃস্বার্থ
পুঁজিবাদে।।
এ সকালে কোনো ক্ষোভ নেই।
এ রাতের কোনো আয়তন নেই।
চাই যেটা খোলশ বদলে কোনো একপেশে সীমারেখা।।
চাদরের তলায় গোপন - প্রকাশ্য সামাজিক।।
ঋণশোধে খেলায় মাতে - অশ্লীল সাম্যবাদ।। খোচড়ের বিষ নিঃশ্বাসে
প্রস্ফুটিত ফুলের গন্ধ।।
পৃথিবীরও গন্ধকের সাথে প্রতীবাদি সহবাস।।
১০
উড়ন্ত নাবিকের খোজে - বেকারত্বের সন্ধান।সন্ধি হয় আজন্ম যুদ্ধ
শেষে।গাঢ় তত্ত্ব - জলের অভাব মেটায় বাষ্প।।
কুয়াশায় শরীরটার অভাব বড্ডো প্রজাতান্ত্রিক।সমাজ পিন্ডদানে বসলে -
দেশের কথা হোক।
লাটাইতে পাক খেলানো সুতোয় - কখন যে কার গলা কাটে।সাবেকি কোলাহলে -
কবি ও মুখোমুখি ফসফরাস - আতরের গন্ধ মানেই সময়ের তাড়া।।
ব্যারিকেড গঢ়া মানববন্ধন অনেকটা হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মতো।।
১১
শুরুতেই চারপেয়ে সুপ্রভাত - শতাংশের হিসাবে আলোর তোরঙ্গ অনেক
পিছিয়ে।লকআউট - লকআউট।মুড়ি।চানাচুর।ঝুরি ভাজা।লাল চা।স্বপ্নিল ইতস্তত - যেন এক
বটগাছ গিলে ফেলছে আস্ত একটা বাড়ি।মাটির উপর জেগে থাকা দূর্বাঘাস ও হলুদ গাঁদার
মালা - সমবায় চুনকামে সস্তার শরীরটা থেকে কমলা ফ্লেভার।।
মনে পড়ছে কি - থালা ভর্তি ভাত নিয়ে শিশুদেরও মাঠে ফুটবল।।
অন্যমনস্কতার সুযোগে - বিকল ভোট মেশিনে বিদ্রোহ সিঁধ কাটে - ঘুণপোকার
সাতবাসি পেটে।।
১২
নিয়মের বাইরে ডিসকোয়ালিফাই - তিতাস একটি নদীর নাম।মৃত লাশ।সোনার হরিন
- হুহুম না হুহুম না।
স্মৃতিতে তুমি নেই - কেন যে অগোছালে লু।পেট্রোলে হীরার আকরিক।।
নষ্টা বলেছিলে যাকে - ঘুড়ির ভীড়ে শেষ করে জীবন।।
হাইপোথেসিস অভ্যাস - কবি রঙীন হলে - কবিতায় বিপর্যয়।।
মাদুলিকে এঁচোড়ের ঘন্ট করে টিপটিপ - কন্টিনেন্টাল খবর।।
স্টার আনন্দ বা বিবিসি - কথায় কথায় জীবন্ত লাদেন।
জবাফুল ত্রাসে - মুখ খুঁজছে অশরীরী জলপরি।।
১৩
আত্মহননের মাঝেও হত্যার চিন্তা - অজাতশত্রুুর মোবাইলে ব্যালেন্স
কম।ব্যয়ভার যথেষ্ট - যে সীমানায় ছিলে - আজও উপেক্ষিত।
শেষ পর্যন্ত লর্ড ম্যাকলের শিক্ষাগত উপপাদ্য - তৈলাক্ত বাঁশে বাঁদরের
ওঠানামা।।
ঐকিক নিয়মে - কবিতায় ইস্পাত - কিছু মানুষ দেশদ্রোহী হয় -
লিঙ্গ নাড়ালে।।
১৪
লেখাটাই দায় - কে কি বললো নয়।হেলানো তালগাছে ঝোলে বদ্বীপ ও তিমি।রঙীন
সার্থকতা ডুবোজাহাজও বোঝে না - ভেজা ইঁটে আবদ্ধ থাকে না আষাঢ়।
কিছুটা নয় অনেকটাই - সকলেই সাংসারিক পথচলতি ভুল ভেবে।
সংসদে তরজা - সময় নষ্ট করে ঝাঁঝালো কবিতা - কোক ও পেপসি বিকল্পতায়।।
মন খারাপের দিন - চাঁদঠোঁটের নীলাভ আবেদন - দুকষ বেয়ে নামে মোম ও
অ্যালকোহল।।
১৫
শুশুকের মাথায় অস্ত্রপ্রচার - হাসপাতালি সোহাগে সমুদ্রের সব নুনে
খিদে মিটবে - প্রলাপ ছাড়া কিছুই না।আবছা ধোয়ায় বাকি রাখা অপরাধ - জটিলতর হয়েও -
কবিতায় ফর্সা পাগলাগারদ।।
গোডাউনের চালভর্তি বস্তার স্বপ্নগুলো কে কবে দেখেছিল?জানতে
ইচ্ছে করে।।
ব্যাঙ্কের কোষাগারে পোশাকি হরির লুঠ - পোয়াতির পেট জুড়ে বাতিল নোট
অজস্র।।
___________
শব্দরূপ : রাহুল
No comments:
Post a Comment