Thursday, 17 November 2016

।। কাউন্টার কবিতা ।।


চার অক্ষরে কবি কখনোই মানুষ প্রজাতির নয় - যদিও কবিতায় তরঙ্গিত আলোর কুচি।।
পুড়ে যাওয়া শ্মশানের নেশাগ্রস্ত চিতা - আশ্রয় নিতে পারে সভ্য ছাকনীতে থাকা থাকা যথেষ্ট নিম্নবর্গীয়।।

চার অক্ষরে কবির কাছে অর্থবহ সর্বনাশের ইঙ্গিত।।
কবি বাঁচতে চায় নি - চেয়েছিল একমাত্র কবিতা জীবন হোক।।

একটি মশা ও একটি সিন্ধঘটকের বিনিময় মূল্য কতো - এ.টি.এম এ দুটো দরজাই সহজলভ্য।।
ময়াল সাপটা ফিডিং বোতল হতেও তো পারে - কখনো টক কখনো মিস্টি।।

যাই ঘটুক - কসমিক অ্যানালাইশিশে মানুষমাত্রই এক - উৎপাদিত কাগজের মন্ড।।

সূতির লুঙ্গিটা খুলে পর্দার আড়াল - ভেতরে অধিকাংশই গোপনীয়।শালীনতা বজায় রাখতে রাখতে কবিতা বড়ো ক্লান্ত - ছুটি চাইছে পাঁচ টাকার খদ্দের।।

গনসঙ্গমের যৌথ খামারে যে শিশুরা আজ ফসল - ঘিলু বদলে মাথায় একখন্ড মানচিত্র ও একখানা কাঁচের গ্লোব.....

আবহাওয়া বাকি রেখে জঙ্গি বিষয়ক যাবতীয় তথ্য চূড়ান্ত অগোছালো - অতএব মাঝামাঝি দায়ভাগ নেই।মসৃন চাঁদের পিঠে - যে সতীরা শিবলিঙ্গে জল দেয় - জলবায়ুর খবর তাদের কাছে।।

হিরোশিমা-নাগাসাকি-চেরনোবিল-পোখরান - অকথিত সংশয় ও ভয়ে মৌসুমিবায়ু।

ক্ষমতাসীন দল।একটু গেরুয়াকরন।তেজস্ক্রিয়তা গ্রামকে গ্রাম - শহরকে শহর
শিবনেত্র সন্ধানে।।

মাকড়শারজাল প্রবল গতিবেগে অক্টোপাসের শুড়।।জীবনের চালচিত্র - অপারেশন টেবিলে।

প্রসব যন্ত্রনা বাড়ে - আবির মাখতে ব্যস্ত সভ্যতা।।

অনিয়মিত কোলাজে দূরবীনে চোখ - টুপিস বিকিনি পরা শেখাচ্ছে লিঙ্গভেদ।।
যে মাতৃত্বে বিচারক নেয় নি রেপকেস - ডাইমেনশনাল চুকিতকিত খেলায় শুভ্রতা বাড়ে।।

ওদিকে ফুলশয্যার তোড়জোড় - মোৎসার্ট বাজাচ্ছে সানাই।।

কাল রোদেজলে - শূন্য ও শীত ঘড়ির কাটায় কাটায় - মেনে নেওয়া যায় না আদিম পুংকেশরের সমকামী অবস্থান।।

রেসোলিউশনে মাঝামাঝি বারান্দা ভাল - প্রমানাভাবে একটু শীতার্ত হোক দিন।
মরফিন শূন্যতায় যে ময়ুরী বাঁশিসুরে ডেকেছিল - অকাল যৌবনে তাকেই বৃষ্টি বোঝা বৈচিত্র্য ভুল।
এগুলো সবকিছুতেই হয় - এগিয়ে চলে অপরাধ - সারিবদ্ধ ফুসফুস যোগানে।।

পৃথিবী মার্কা ব্ল্যাকবোর্ড ফ্যাক্টরিতে - প্রোডাক্ট তিনভাগ জল ও এক ভাগ স্থল।।

এ তত্ত্ব অনেকটা অচল পয়সার মতো - অর্থনৈতিক পাজামায় দড়ি বাঁধে হরেক কিসিমের মোমের পুতুল - মানুষ ও মৌমাছি কবিতায় এক।।

বোবা চিঠির ভাষায় কবিতা আপাদমস্তক ভবঘুরে হলে - ইস্কুল ছুটি।।টিংটিং ঘন্টা বড্ডো রোগা - জ্যামিতিক বাঁকগুলো যখন সত্যিই রেশনের লাইনে চা-জল চায়।।

জল পড়ে...... বৃষ্টি হলেই বা শিশিরে - এতটা দিকভ্রান্ত নাবিক নয় কেউই।।

সমাজতাত্ত্বিক উপাদানে - কাগজ জমানো বেলুনওয়ালার হাতে শুকতারা মাখা কম্পাস।।

প্রতি মুহুর্তে গনতান্ত্রিক সংবিধান - নিষিদ্ধ বন্ধু খোঁজে।।

বিন্দুবিন্দু প্রবাহের দুর্ঘটনায় আকস্মিক বক্তব্য রাখতে বললে - একমাত্র ব্রিগেড।সারিবদ্ধ লাইন নিয়ন্ত্রণে একজাতীয় পরজীবী অতিভুজ।

পাস্কেলের সূত্রে - যাবতীয় চাপ যে কোনো কেন্দ্রে অভিন্ন।ভোটারের লাইন প্রমাণ স্বীকার করে না।

পরিকল্পনায় একমুঠো কবিতা থাকলে - একমুখী রুদ্রাক্ষমালায় দেবরাজের সিংহাসন বেশ্যালয়ে দাম পায় না।।

জল-নদী-আকাশ-পাহাড়-প্রেম ও আলো - ক্রমশঃ পেন্ডুলামের আবর্জনায় বেগ দেয় রাত্রি এসেছে - এখন গোপন হাসপাতাল বাধ্যতামুলক।।

পেটে ভাতের অভাব - কবিও বলিইডি হিরোইনকে জানাচ্ছে শরীরী আমন্ত্রণ।।

ভাবনাকে চেতনার নিয়ন্ত্রণে আনলে - কবিতায় চূড়ান্ত দ্বন্দ্ব।
কুন্তীর পেটে কটা পরিচয়হীন কর্ণ - মাতৃত্বের ভিক্ষা দেয় নিঃস্বার্থ পুঁজিবাদে।।

এ সকালে কোনো ক্ষোভ নেই।
এ রাতের কোনো আয়তন নেই।
চাই যেটা খোলশ বদলে কোনো একপেশে সীমারেখা।।

 চাদরের তলায় গোপন - প্রকাশ্য সামাজিক।।

ঋণশোধে খেলায় মাতে - অশ্লীল সাম্যবাদ।। খোচড়ের বিষ নিঃশ্বাসে প্রস্ফুটিত ফুলের গন্ধ।।

পৃথিবীরও গন্ধকের সাথে প্রতীবাদি সহবাস।।

১০
উড়ন্ত নাবিকের খোজে - বেকারত্বের সন্ধান।সন্ধি হয় আজন্ম যুদ্ধ শেষে।গাঢ় তত্ত্ব - জলের অভাব মেটায় বাষ্প।।

কুয়াশায় শরীরটার অভাব বড্ডো প্রজাতান্ত্রিক।সমাজ পিন্ডদানে বসলে - দেশের কথা হোক।

লাটাইতে পাক খেলানো সুতোয় - কখন যে কার গলা কাটে।সাবেকি কোলাহলে - কবি ও মুখোমুখি ফসফরাস - আতরের গন্ধ মানেই সময়ের তাড়া।।

ব্যারিকেড গঢ়া মানববন্ধন অনেকটা হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মতো।।

১১
শুরুতেই চারপেয়ে সুপ্রভাত - শতাংশের হিসাবে আলোর তোরঙ্গ  অনেক পিছিয়ে।লকআউট - লকআউট।মুড়ি।চানাচুর।ঝুরি ভাজা।লাল চা।স্বপ্নিল ইতস্তত - যেন এক বটগাছ গিলে ফেলছে আস্ত একটা বাড়ি।মাটির উপর জেগে থাকা দূর্বাঘাস ও হলুদ গাঁদার মালা - সমবায় চুনকামে সস্তার শরীরটা থেকে কমলা ফ্লেভার।।

মনে পড়ছে কি - থালা ভর্তি ভাত নিয়ে শিশুদেরও মাঠে ফুটবল।।

অন্যমনস্কতার সুযোগে - বিকল ভোট মেশিনে বিদ্রোহ সিঁধ কাটে - ঘুণপোকার সাতবাসি পেটে।।

১২
নিয়মের বাইরে ডিসকোয়ালিফাই - তিতাস একটি নদীর নাম।মৃত লাশ।সোনার হরিন - হুহুম না হুহুম না।
স্মৃতিতে তুমি নেই - কেন যে অগোছালে লু।পেট্রোলে হীরার আকরিক।।

নষ্টা বলেছিলে যাকে - ঘুড়ির ভীড়ে শেষ করে জীবন।।

হাইপোথেসিস অভ্যাস - কবি রঙীন হলে - কবিতায় বিপর্যয়।।

মাদুলিকে এঁচোড়ের ঘন্ট করে টিপটিপ - কন্টিনেন্টাল খবর।।

স্টার আনন্দ বা বিবিসি - কথায় কথায় জীবন্ত লাদেন।
জবাফুল ত্রাসে - মুখ খুঁজছে অশরীরী জলপরি।।

১৩
আত্মহননের মাঝেও হত্যার চিন্তা - অজাতশত্রুুর মোবাইলে ব্যালেন্স কম।ব্যয়ভার যথেষ্ট - যে সীমানায় ছিলে - আজও উপেক্ষিত।
শেষ পর্যন্ত লর্ড ম্যাকলের শিক্ষাগত উপপাদ্য - তৈলাক্ত বাঁশে বাঁদরের ওঠানামা।।
ঐকিক নিয়মে - কবিতায় ইস্পাত   - কিছু মানুষ দেশদ্রোহী হয় - লিঙ্গ নাড়ালে।।

১৪
লেখাটাই দায় - কে কি বললো নয়।হেলানো তালগাছে ঝোলে বদ্বীপ ও তিমি।রঙীন সার্থকতা ডুবোজাহাজও বোঝে না - ভেজা ইঁটে আবদ্ধ থাকে না আষাঢ়।

কিছুটা নয় অনেকটাই - সকলেই সাংসারিক পথচলতি ভুল ভেবে।

সংসদে তরজা - সময় নষ্ট করে ঝাঁঝালো কবিতা - কোক ও পেপসি বিকল্পতায়।।

মন খারাপের দিন - চাঁদঠোঁটের নীলাভ আবেদন - দুকষ বেয়ে নামে মোম ও অ্যালকোহল।।

১৫
শুশুকের মাথায় অস্ত্রপ্রচার - হাসপাতালি সোহাগে সমুদ্রের সব নুনে খিদে মিটবে - প্রলাপ ছাড়া কিছুই না।আবছা ধোয়ায় বাকি রাখা অপরাধ - জটিলতর হয়েও - কবিতায় ফর্সা পাগলাগারদ।।
গোডাউনের চালভর্তি বস্তার স্বপ্নগুলো কে কবে দেখেছিল?জানতে ইচ্ছে করে।।

ব্যাঙ্কের কোষাগারে পোশাকি হরির লুঠ - পোয়াতির পেট জুড়ে বাতিল নোট অজস্র।।

___________
শব্দরূপ : রাহুল

No comments:

Post a Comment