এভাবেও বাজি জেতা যায়!
আলতো বাঁক পেরিয়ে
এক দুই আড়াই।
বকলমে সঞ্চিত পাপ,
ছাই এর গভীরে লুক্কায়িত ধূর্ততা
উড়িয়ে দিয়ে বোঝাতে চাও
পলাশবন,বিশ্বায়নের বসন্ত কাকে বলে!
আমাদের চাওয়া পাওয়া
রিকসার চাকার মত চেনে
কিনু গোয়ালার গলি,
ফেরিওয়ালার দুপুর বেলার বাঁশি।
পাথর খুঁড়ে ইতিহাস লেখার
শাবল নেই আমাদের।
মধ্যাহ্নে ঝোল ভাতে একটা গোটা মাছ,
নরম ঘুমের ভেতর বউ এর গলা
জড়িয়ে ধরা হাত,
সরিয়ে রাখে আসন্ন বিপ্লব।
জাপানী তেলের তীব্রতা দিয়ে
আমরা মাপি যৌনতার তেজ,
আর বেবী ডলের ছবিতে চুমু
খেয়ে স্ট্রবেরী বিলাসিতা।
আমরা বাজি জিতি
সন্ধ্যায় চায়ের ভাঁড়ের মরা মশা সরিয়ে,
হারানের কাছে একটা বিড়ি পেয়ে,
রাতের বেলায় ভুঁড়ির ব্যায়ামে,
দু'মিনিট বিছানায় বউএর মুখে
মৃদু হাসি পেয়ে....
আমরা মধ্যবিত্ত বিপ্লবী,
সকাল বিকালের বাজার দর,
আর কুমড়ো পটাশের
চিন্তায় রাজনীতি করি।
গল্পগুচ্ছ, গোরা'কে বই তাকে
নিশ্চিন্তে ঘুমোতে দিয়ে,
কস্মিনকালেও না ঘেঁটে
রবিবাবুর চরিত্র নিয়ে তিনি
সস্তা বোয়াল কি
পাঙাস মাছ ছিলেন,
তার বাছ বিচার করি...
মাঝরাতে পাপের অ্যাশট্রেতে
বিলেত ফেরত বন্ধু অমলেন্দুর
দেওয়া পোড়া সিগারেট এর
বাকি অংশটুকু খুঁজি ,
আর নিজেদের ব্যারেন ফিউচার
নিয়ে ফিলিপ্পো আরিনোত্তিকে হিংসে করি....
© সৌরভ আহমেদ সাকিব
No comments:
Post a Comment