Sunday, 13 November 2016

।। ফ্লোরা অ্যান্ড ফনা ।।

পেরিস্কোপের চোখ দিয়ে পাখিমূলক দৃষ্টি - কমরেড দ্রোণাচার্য ঘোষ বোঝেন নি - অর্জুন ও একলব্যের তফাত।।

পিঁপড়ের পিছনে বাঁশি - কলাপাতা জবাবে - দলবদলের খেলায় বিকলাঙ্গ শিশু জন্মালেও - আক্ষেপ নেই।।

কমরেড লেনিন।ঘুম থেকে উঠুন।দেখুন কমরেড মাও ভেদবমি করছেন।।

বছরটা ১৯৭১।কাশীপুর বরাহনগর গনহত্যা - তরলের অভাবে সব সঙ্গম বিকারত্বের অগনতান্ত্রিক।।

রক্তাল্পতা আদিম নারীর গুহাপথে।।

মাটির কলসির সাথে হাত বাঁধো।সন্ধি হোক নিয়মরক্ষার আনব্ যুদ্ধে।

প্রয়োজন ছিল না স্ত্রী হয়ে মাতৃরপে স্তন্যপান করাবার।।

৯০ বা একাদশ।মিলেনিয়াম সালও প্রমাণ করেনি রাশিয়ার হত্যা ও জার্মানির আত্মমিলন।।

পলিটব্যুরোর রেপ্লিকা আগেই হতো - কিছু মানুষ বিশ্বাস করে নি সুলভ শৌচার।।

রডডেনড্রন পাগল করছে - পার্থেনিয়াম দিচ্ছে নেশা।মা-মাটি-মানুষ উত্তর দাও গত দশ বছরে কটা জমিতে দখলদারি।।

আকাশী প্রশ্নে ডেমোক্রেসীর জায়গা নেই - ডেমো আছে।।

লিঙ্গবর্দ্ধক যন্ত্রের উৎপাদনে শেয়ার মার্কেট নাচবে - কে ভেবেছিল পঁয়ত্রিশ বছর আগে।।

রুপকথা - বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ।।

নীল কবিতারা এখনো রহস্যময়।
নীল ছবিরা আত্মসার্থপর।
নীল ফুলগুলো অলস.......

বেশ কিছু পরবর্তী ব্যর্থতা পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়াই যায়।।

অশরীরী হাতের মুঠোতে ফোন - ভিডিওতে লাইভ সার্কাস - ঝরে পড়ছে কংক্রিটের দেওয়াল।।

বর্ডার ফেরীওলার ঝুলি থেকে সার্চলাইট - দুচারটে বেড়াল।।

ধোঁয়ামুখের তীব্র সুখ মৃত্যর স্থায়িত্ব দিতে পারে না - যতটা জীবনের।মনস্তাত্ত্বিক অজগর উগরে দেয় আগামীকাল - তাজমহলের স্থায়িত্ব কতদিন - কাঁচের জলসাঘর জানে।।

কাউকে কোনো প্রশ্ন নয়।পরকীয়া নয়।যথার্থ নিরপত্তায় আলিমুদ্দিন স্ট্রীটের রেপ্লিকা শুয়োরের খোঁয়াড়।।

তোমার জন্য ভিজতে চাইছি প্রচুর।।

এক পেগ গঙ্গাজলে - রেপকেসটাও নির্দিষ্ট অধক্ষেপে নির্দিষ্ট।।
- টাকা চাইনা।ইনকাম ট্যাক্স।
পারলে প্রেমিকের সামনে অশ্লীল শরীরটা দিও।ঈশ্বরীয় অভিশাপ পেলে - পুরাণের অসুরটাও দামী।।

আলমারিতে প্রজাপতিগুচ্ছের ভেজাল প্রেসেনটেশন্ - অসভ্যতার জন্য গুছিয়ে রাখা বিচারকের কাজ।।

একচোখী হরিন ও একচোখী গন্ডার সামাজিকতার অবস্থানগত  রুপ।।
একচোখী মশা।একচোখী বাদুড়।একচোখী চামচিকে।একচোখী ইঁদুর।।
মানুষের কিন্তু চারটি চোখ।
মাকড়শার আটটা।মৌমাছির অজস্র - যদিও মানুষই বিশেষ।।

শামুকের কটা চোখ - সভ্যতা খুঁজবে না শেষ দিনেও।।

ট্রামলাইনে ও রাস্তায় অন্ধকারের কুমকুম লেগে আছে।।

চেতনার প্রতিষেধক স্ববিরোধীতায় প্রতিটি পুরুষ ও নারীর সঙ্গে তৃতীয় লিঙ্গের সমকামীতা।তাসত্ত্বেও - একের মধ্যে এককের বেচে থাকার উপাদানে বহুগামিতা ও বিকৃত সম্পর্ক।।

যেন মশালের আলোয় ভাদ্দর মাসের শেষে কুকুরছানার পেটব্যথা।।
প্রসবযন্ত্রণা যেখানে বাড়ে - বড্ড ফাকাফাকা ময়লার সাথে আড্ডা।।

সভ্য মানুষের কাছে অসভ্যতার হাতছানি - সকলেই বোঝে ও ভালবাসে।তবুও গুহামানুষের ভয়ে - সামাজিকতায় সাপের ছোবল।।

মহাভারতে ছোড়া অবশিষ্ট তীর যে মানুষকে মহামানব করে তুলেছিল - সকলে পূজো করে।।

সূর্যঘড়িতে খোদাই জ্যামিতির কৌনিক মাপ - কাওকেই শান্তি পেতে বলে নি - প্রতিকী লজ্জা।।

১০
দুটুকরো রুটির সাথে কতটা সাপেনেউলে ভেজা স্বাদ। অথবা প্র্যাকটিসে - দুমুঠো ভাতের জন্য পেট।।
কলঙ্কী অভাব - দুটো ঠোঁট একটা  চুমু।এর চেয়েও ভাল - দুটো নৌকোর সংঘর্ষে উজান ও ভাটি।।

- সবই পারমাণবিক ভাঙ্গনের খেলা।মেদ ঝরলে পুনরায় কমলা যুবতী।।

১১
চলো।এবার আলু-পটল-বেগুন ছেড়ে ভুট্টার চাষ করি।।
গতবছরে খরা।এবছর বন্যা।আগামী বছরে বন্যাহীন খরা বা খরাহীন বন্যা - একশো বছর পরে নামভিত্তিক মহামারী।।

বুঝে গেছ বোধহয় - ধানক্ষেতে কীটনাশকের ব্যবহার ইদানীং বেশী।।

চলো।যে মেয়েটি পঞ্চাশটাকায় উদ্বাস্তু হতে রাজি আছে - তাকেও সঙ্গী করি।।

১২
চারিদিকে ছড়িয়েছো যত প্রাচীন চিহ্ন - আমি আদর করে বুকে টেনে নিয়েছি আদিম সোহাগ।।

অযুত আবেগে থাকা অস্তরেখা
নীল বিষে নিজেকে বিলোতে চায় অভ্যন্তরে।।

অভ্রপাতায় চুমু খাওয়া - বুঝলো না বিবাগী কবিতারা!
যত অভিমান ছেঁড়াফাটা পড়ে থাকে - তার কি সবটুকুই মানুষের?প্রয়োজনে অমনোযোগী হোক মুঠোয় ধরা গন-অভ্যুত্থান।।

১৩
মালিকানা নেই - ধপধপে সাদায় বেওয়ারিশ প্রহর।সাড়ে তিন ফুটে সব কল্পনার বিসর্জন।কি ভেবেছিলে - মঁসীহা কোনো অপরাধ করে না।কি বলেছিলে - অস্পষ্টতা আড়াআড়ি করাতের কল।।

দেখা ও স্পর্শের দ্বন্দ্বে - ডুবুরির হাতে কানা মুক্তো ডুবজলে।।

শিশির মাখছে দেখ গোপনীয় উল্লাস।।

১৪
নুন ভর্তি ঘাম - বিশ্বাসভঙ্গের কোনো প্রশ্নই নেই।নেই সমুদ্রঝড় - থাকলে বিশাল বাজারে বিকোবে অসংখ্য মাস্তুল পাঁচশো ও হাজারের নোটে।ষোড়শী মত্ত জলখেলায় - কি হয় - কি হবে!গঙ্গাজলে চিরশান্তিতে লাশকাটা ঘর।।

গেরিলাদের মাঝে বুনোফুল প্রতীক - প্রস্তাবিত প্রেমের নকশায়।।

১৫
এপাশের ভাঙ্গা ছোবলে দেওয়াল মুখে দিলে - মাঝেমাঝে পরিষ্কার করো আয়না।।
এই তো সেদিনও জলসাঘরে ঘুঙুরের শানিত বিশৃঙ্খলা।।

এখন মাটির সাথে - দুটুকরো কাঁচ।।

রাস্তার মালের পেটে চাঁদ চাইলে ডোনেশান - কংক্রিটের গ্যালারি ফেটে পড়ছে উপনিষদের বাণী শোনার জন্য।।

______
শব্দরূপ : রাহুল

No comments:

Post a Comment