আত্মার কালো হাত চেপে ধরেছিল তার উন্নত সুডৌল বুক,
ফালা ফালা করে দিয়েছিল ব্লাউজ-শাড়ী,
সাথে আবেগ, ভালবাসা, অহংকার, ঔদ্ধত্যের চির নির্বাসন দিয়েছিল।
জালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছিল সমস্ত ভালবাসা,
নিভিয়ে দিয়েছিল কুমারীর ব্রতের সন্ধ্যা প্রদীপ।
ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছিল গোটা আকাশ।
আকাশে বাতাস মুখরিত করেছিল সদ্য যুবতীর করুন আর্তনাদ।
সে আমার প্রেমিকা।
তবুও নির্বাক আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম।
একে একে এসে ওরা ছিঁড়ে-খুঁড়ে খেল আমাদের সাজানো বাগান।
বহু স্বপ্নের,বহু লালসার,বহু কামনার সাজান বাগান।
হ্যাঁ, আমার সামনে,
আমি নির্বাক দর্শক,
এর পরেও কি আমার বাঁচার অধিকার থাকতে পারে?
কে বলল পারে না?
আমি পুরুষ।
কোন অধিকারে আমি গিয়ে দাঁড়াব ওর সামনে?
কেন দাঁড়াব না?
আমি পুরুষ।
আমার দন্ত-নখ ভেতরে ঢুকে যায়,
প্রেমিকা যখন ধর্ষিতা হয়।
আর রাতের আঁধারে একা পেলে?
তাও বুঝি বলতে হয়?
তবুও নীলাঞ্জনা,
তুমি আমাকে ক্ষমা কর।
আমি পারিনি, তোমার সম্মান রক্ষা করতে।
কারন আমি চাইনি।
আমি ভীরু,আমি কাপুরুষ।
'কা' হলেও পুরুষ তো বটে!
নীলাঞ্জনা, পরে কোনদিন প্রেমিকা হয়ে এলে,
তুমি দৌপ্রদি হয়ে এস,
পরে কোনদিন কন্যা হলে, জনক কন্যা হয়ে এস।
এস কিন্তু।
সহ্য করতে যুগে যুগে ফিরে এস,
কালে কালে অমরত্ব লাভ করে ফিরে এস।
অপেক্ষায় থাকব, নীলাঞ্জনা।
যতই হোক আমিও তো পুরুষ।
রামায়নের উত্তরসূরি আমাদের কাহিনী।
কি করে পারব ধর্ষিতাকে সহধর্মিণী বানাতে?
বিদায় দিও, ভাল থেক।
_________________________
© রি জু
No comments:
Post a Comment