Monday, 13 February 2017

।। ছিঁচকে ধর্ষক ।।


দৃশ্য --1
********
শ্রীমতি সুপ্রিয়া মন্ডল , বয়স 37, দুই বাচ্চার মা , ছোট টিকে কাজের মেয়ের কোলে দিয়ে , নিজে বড় মেয়েটির হাত ধরে বাজারে বেড়িয়েছেন । চৌমাথার কাছে এসে দেখলেন ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে দুজন সাধারণ পুলিশও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাগজের প্যাকেট থেকে ঝালমুড়ি খাচ্ছে সেদিন । সুপ্রিয়া দেবী নিজের পরিবার কে সামলে ধীর পায়ে নির্ধারিত দোকানের দিকে এগোচ্ছিলেন । উল্টো দিক  থেকে একটা ছিঁচকে আসছিলো । হাত দশ -বারো দূরত্ব যখন তখন হঠাত্ সে পকেট থেকে খৈনির ডিবা বের করল । একটু খৈনি হাতে নিয়ে টিপতে টিপতে এগিয়ে আসছে । সুপ্রিয়া দেবীর পাশ দিয়ে পার হবার সময় ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে খৈনি টিপতে টিপতে তর্জনী টি বাড়িয়ে দিল সুপ্রিয়ার বুক লক্ষ্য করে । আড়চোখে ছিঁচকের দিকে তাকাতেই অসহনীয় অশ্লীল একটি ইঙ্গিত ! পুলিশ গুলো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করতে করতে ঝালমুড়ি খেতে লাগল । সুপ্রিয়ার মনে হল ওদের হাত থেকে মুড়ি কেড়ে নিয়ে চুড়ি ধরিয়ে দিয়ে আসে ! কিন্তু ওসব করতে গেলেই তো লোক জানাজানি হবে ! অগত্যা.......

দৃশ্য --2
********
শহরের একটি নামকরা চারতলা সরকারি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন শ্রীমতি গীতা চ্যাটার্জি । গত কাল তাঁর একটি ফুটফুটে ছেলে জন্মেছে । পাশের বেডে একজন পাঞ্জাবি ভদ্রমহিলা রয়েছেন । তাঁর একটি মেয়ে হয়েছে । আজ সকাল থেকে দুই সদ্য মায়ের মধ্যে বেশ ভাব জমে উঠেছে । কাল রাত টা তো প্রায় অচৈতন্য অবস্থাতেই কেটেছে দুজনেরই । সন্ধ্যে 8 টার সময় রাতের খাবার খেয়ে দুজনে গল্প করছিল । এমন সময় জানালার বাইরে একটি ছিঁচকের আবির্ভাব । সাদা হাফ হাতা টি সার্ট ও সাদা প্যান্ট পরা 25-30 বছরের একটি ছিঁচকে । নিজের প্যান্ট ও শর্টস প্রায় হাঁটু পর্যন্ত নামিয়ে রীতিমত হস্তমৈথুনের  কেরামতি শুরু করেছে ! সঙ্গে মুখে চোখে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি । প্রসূতি বিভাগের ওই ওয়ার্ডের 6টি বেডের সদ্য মা আর হবু মায়েরা পরিস্থিতির আকস্মিকতায় বাক্যহারা.... কিংকর্তব্যবিমূঢ় !! একজন শুধু আমতা আমতা করে বলতে পারল ------গেটের দুজন গার্ডকে টপকে ছিঁচকে টা এইখান পর্যন্ত এল কি করে ?............

দৃশ্য --3
********
কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমনা। রোজই বাসে- ট্রেনে যাতায়াত করে কলেজ করতে হয়। রোজই কিছু না কিছু অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু আজ যা হল তা আর কহতব্য নয়। দেরি হয়ে গেছে বলে একটা ভিড় বাসেই চেপে পড়েছিল সে। বসার জায়গা তো দুরস্থান ঠিকঠাক দাঁড়ানোও যাচ্ছিল না বাসটাতে। তার মধ্যেই দুটো সিটের মাঝখানে মাথার ওপরের রডটা ধরে দাঁড়িয়েছিল সে। কিছুক্ষণ ধরেই একটি হাত তার হাতের ওপর এসে হাত সমেত রড টাকে চেপে চেপে ধরছিল। প্রচন্ড ভিড়ের জন্য ব্যাপারটাকে আলাদা করে গুরুত্ব দেয় নি সে। কিন্তু এবার সেই হাতের মালিক একেবারে তার পেছনে গা ঘেঁষে এসে দাঁড়াল। তারপর শুরু হল ছিঁচকেমি। হাতে হাত ঘষা, কাঁধে মুখ ঘষা, পিঠে বুক ঘষা এমনকি সুমনার পশ্চাত্দেশে পুরুষাঙ্গ ঘষাও শুরু হল।সুমনার গা গুলিয়ে উঠল। কান -মাথা গরম হয়ে গেল।চট করে পাশের সিটের কাছে সরে যেতে গেল। কিন্তু ততক্ষনে সেই ছিঁচকে দুই হাতে দুটো সিটের রড ধরে তাকে বেরিকেডের মত ঘিরে ফেলেছে। ভিড়ে অন্য কোন যাত্রি ব্যাপারটাকে লক্ষ্যও করেনি। কাঁধে ছিঁচকের গরম নিঃশ্বাসের ফোঁসফোঁসানিতে পরিস্থিতি আরো অসহ্য হয়ে উঠল। অতঃপর সুমনা সামনের স্টপেজ আসতেই , দাঁড়ান , আমি নামব ----- বলে দরজার দিকে ছুটল এবং কলেজের প্রায় ছয়টা স্টপেজ আগেই বাস থেকে নেমে পড়ে রেহাই পেল !...........

দৃশ্য --4
********
শহরের একটি গার্লস  ইস্কুলের ক্লাস এইটের ছাত্রী রূপা। টিফিনের সময় মাঠে বান্ধবীদের সঙ্গে খেলা গল্প করছে। মাঠের মাঝখানটাতে খুব ভিড় থাকায় ওরা একটু ধারের দিকে গিয়ে বসেছিল। যেখানে ওরা বসেছিল সেখান থেকে 5-7 ফুট দূরে স্কুলের বাউন্ডারি পাঁচিল। সেই পাঁচিলেরই খানিকটা অংশ গোল করে ভাঙ্গা রয়েছে যাতে একজন মানুষ মাথা ঝুঁকিয়ে পার হতে পারে। অনেক ছাত্রীই ছুটির সময় বড় গেট দিয়ে না বেরিয়ে পাঁচিলের ওই ভাঙ্গা অংশটা দিয়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু ওরা কেউই ভাবতে পারেনি ওদের সুবিধার্থে তৈরি ঐ ভাঙ্গা অংশটার জন্য আজকে এতবড় একটা কুরুচিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। গল্প করতে করতে রূপারা দেখল একটি মাঝবয়সী ছেলে নিজের সাইকেলটাকে টেনে টেনে মাথা নিচু করে খুব কষ্ট করে পাঁচিলের ভেতরে ঢুকছে। ওরাও কিছু বুঝতে না পেরে চুপচাপ তাকিয়ে আছে। ভেতরে ঢুকে ছেলেটি কিন্তু আর এগিয়ে এল না। সাইকেলটাকে স্ট্যান্ড করে দাঁড়াল , তারপর নাগাড়ে উড়ো চুমু ছুড়তে শুরু করল রূপাদের দিকে! রূপারা ততক্ষনে হকচকিয়ে গেছে, উঠে দাঁড়িয়ে পড়েছে সবাই। হঠাত্ ছেলেটা বাম হাত দিয়ে প্যান্টের চেন খুলতে লাগল আর ডান হাত দিয়ে অশ্লীল ভঙ্গি করে রূপাদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকতে লাগল ! একটি ছেলের ঐ রকম অসভ্যতামীতে দশ-বারো জন মেয়ের একটা দল এত ঘাবড়ে গেল যে তারা সবাই ছুটতে শুরু করল ক্লাসরুমের দিকে! ছেলেটিও যথারীতি পাঁচিলের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে বেরিয়ে হাওয়া......

দৃশ্য --5
********
গোপারা আজ খুব খুশি। তাদের প্রিয় গায়কের অনুষ্ঠান আজ। অনেক কষ্ট করে দাদা টিকিট গুলো জোগাড় করে দিয়েছে। সঙ্গে এক বান্ধবীর মাও যাচ্ছে তাই কারুর বাড়ি থেকে আর আপত্তি ওঠেনি। কিন্তু বিপত্তি হল অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে! ফরাসের টিকিটে ওদের পাশেই একদল  ছেলে বসেছে। এবং অনেকক্ষণ ধরেই রীতিমত উত্ত্যক্ত করে চলেছে। প্রথমে ওরা ব্যাপারটাকে সহজ ভাবে নিয়ে কোন উত্তর করেনি। কিন্তু ওদের কাছে পাত্তা না পেয়ে ছেলেগুলো যেন বেপরোয়া হয়ে উঠল। আর শুধু হাসি তামাশা নয় ; রীতিমত অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করল। গোপাদের সঙ্গে যাওয়া কাকিমা আর সহ্য করতে না পেরে ছেলেগুলোকে বললেন , তোমাদের বাড়িতে কি মা বোন নেই ?...উল্টো দিক থেকে জবাব এল , সবই আছে শাশুড়ি মা , শুধু বৌটাই নেই !..অগত্যা কাকিমা চুপ করে বসে পড়লেন এবং তার কিছুক্ষণ পরেই অনুষ্ঠান শেষ হল। গেট দিয়ে বেরোনোর সময় গোপারা কেউ লক্ষ্যই করেনি যে সেই ছেলের দলও ঠেলাঠেলি করে তাদের সঙ্গেই বাইরে বেরাচ্ছে। হঠাত্ একটি ছেলে দুই হাত দিয়ে সজোরে গোপার দুই বক্ষ মুচড়ে দিয়ে ছুটে বেরিয়ে গেল! যন্ত্রণায় গোপা 'মাগো ' বলে মাটিতে বসে পড়ল ! কাকিমা ছুটে এলেন........

নিষ্কাশ-- 1
*********
     -----এইভাবে যদি নম্বর দিয়ে উল্লেখ করতে থাকি তাহলে একসময় হয়ত নম্বর শেষ হয়ে যাবে কিন্তু ঘটনা শেষ হবে না। ছোটবেলায় বাবার কাছে একটা ছিঁচকে চোরের গল্প শুনে খুব মজা লেগেছিল। ছিঁচকে মানে জিগ্গেস করাতে বাবা বলেছিলেন, ছিঁচকে হল তারা যারা বড় কিছু করতে পারেনা,ছোট ছোট কাজ করে বড় কাজের আশ মেটায়। বড় চুরি করতে পারছে না ছোট চুরি করছে তাই সে ছিঁচকে চোর। তা --- চোর যদি ছিঁচকে হতে পারে তাহলে তো আরো অনেক কিছু ছিঁচকে হতে পারে। যেমন -- ছিঁচকে খুনি, ছিঁচকে মাতাল, বা ছিঁচকে ধর্ষক! একটি মেয়েকে শয্যাসঙ্গিনী হিসেবে পাওয়া বা একজন মহিলার সঙ্গে সহবাস করার মত পূর্ণতা হয়ত তাদের মধ্যে নেই। অথবা অতটা সময় নেই। তাই যা পাওয়া যায় তাতেই লাভ। সম্পূর্ণ জামাকাপড়ে আচ্ছাদিত একজন মহিলার নগ্ন শরীরটা তারা কল্পনা করে ফেলে, এবং সেই শরীরের ওপর তার লালসাকে আর আটকাতে পারে না। আর তখনই শুরু করে ছিঁচকেমি।
    মানুষের একটি সহজাত স্বভাব আছে -- সুন্দরকে সব সময় নিজের মনে করা। নারী শরীর বড় সুন্দর,তাই তার ওপর লোভ মানুষের চিরকালের। আবার মানুষের আরো একটি সহজাত স্বভাব আছে---- তা হল সুন্দরকে নষ্ট করা, অসুন্দর করা। যে সুন্দর জিনিসটা আমার নয় সেটা যেন আর সুন্দর না থাকে। চেনা মেয়েকে পাবনা তাহলে তার মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারো, আর অচেনা মেয়েকে পাবনা তাহলে তার সঙ্গে ছিঁচকেমি কর!
    একবার আমি আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছি। চুল ভিজে ছিল বলে আমার কোমর পর্যন্ত লম্বা চুল খুলেই বেরিয়েছি। হঠাত্ আমার মনে হল চুলের মধ্যে কিছু একটা পড়ল।বান্ধবীকে বললাম দেখত চুলে কি পড়ল। ও কিছুই দেখতে পেল না।কিন্তু আমরা দুজনেই দেখলাম হাত দুয়েক পেছনে একটি ছেলে সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে সাইকেলের চেন ঠিক করছে। আমরা আবার হাঁটতে শুরু করলাম। ছেলেটিও সাইকেলে চেপে আমদের পেছন পেছন টুকটুক করে চালাতে লাগল। আবার আমার চুলে কিছু পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে বান্ধবীকে বললাম এবার দেখ চুলে কি পড়ল! এবার বান্ধবীও দেখেছে। এবং যা বলল তাতে আমরা দুজনেই অবাক। পেছনের সাইকেলের ছেলেটি পানমশলা চিবাচ্ছে আর তার থুতুগুলো আমার চুলে ফেলছে! আমরা দেখে ফেলেছি দেখেই সে চোঁ-চাঁ দৌড়।---- আজ এতদিন পরেও আমি বুঝতে পারিনি সেদিন ওই ছেলেটা কেন ওরকম করছিল! কি শান্তি পাচ্ছিল সে ওটা করে? এর কি কোন ব্যাখ্যা হয়? ছেলেটাকে যদি জিগ্গেস করি তাহলে সে নিজে বলতে পারবে কেন করছিল? ক্ষণিকের একটা লালসা, ক্ষণিকের একটা না পাওয়ার অতৃপ্তি! এরা কি সব মানসিক রোগী? নাহলে একজন ঘরোয়া ভদ্রলোক যে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করছে, কিন্তু বাইরে অপরের স্ত্রীর সঙ্গে ছিঁচকেমি করছে! তখন কি সে ভাবে যে তার স্ত্রীর সঙ্গেও অন্য কেউ এরকমই ছিঁচকেমি করতে পারে !! অতটা ভাবার ক্ষমতাই নেই ------তাই তো মানসিক রোগী! বা , ভাবার ইচ্ছেই নেই! আগে তো মজা লোটো! অথবা, এরা সব হিংস্র, অত্যাচারী। হিংস্র না হলে একটি মেয়ের নরম বক্ষ যখন সজোরে মুচড়ে দিয়ে যায় এবং মেয়েটি যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে তখন তারা আনন্দে হাসতে থাকে? মানুষকে শারীরিক কষ্ট দিয়ে তারা খুব আনন্দ পায়।

নিষ্কাশ--2
*********
    ---"ধর্ষণ", শব্দটা বড্ড নগ্ন। আমাদের সাধারণ বাঙ্গালী পরিবারের ছেলে-মেয়েরা এখনো বড়দের সামনে ঐ শব্দটা উচ্চারণ করতে সঙ্কোচ বোধ করে। বরং, "ইভটিজিং" শব্দটা বেশ পর্দাবৃত। সকলের সামনে সাবলীলভাবে উচ্চারণ করা যায়। কেন? বিদেশী শব্দ বলে? কিন্তু একটি নগ্ন সত্যকে কোট টাই পরিয়ে দিলে কি তার মর্মটা বদলে যায়? আচ্ছা ইভটিজিং ও ধর্ষণের মাঝখানের বেড়াটা কোথায়? মানে কতদূর পর্যন্ত ইভটিজিং হলে সেটা ধর্ষণে পরিণত হয়? যেসব পুরুষেরা মেয়েদের মুখের দিকে না তাকিয়ে বুকের দিকে তাকায় তারা তো প্রতিনিয়ত চোখ দিয়েই হাজার হাজার মেয়েকে ধর্ষণ করে দিচ্ছে! রাস্তায় হাঁটার সময় পাশ দিয়ে সাইকেল নিয়ে পেরিয়ে যাওয়া 50-55 বছরের লোকটা যখন ঈষৎ ওপরের দিকে উঠে যাওয়া ওড়নার নিচের দিকে তাকিয়ে "বাপরে কি সাইজ" বলে খ্যাক খ্যাক করে হাসতে হাসতে চলে যায় তখন কি সেই মেয়েটার নিজেকে ধর্ষিতা বলে মনে হয় না? মনে হয় না এক বাজার লোকের মাঝখানে সে নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে?
    আচ্ছা ঐ ছিঁচকে ধর্ষকদের জন্য কোন ধারা নেই? কোন সাজা? একজন ধর্ষকের মনের অবস্থা বোঝার জন্য চিকিৎসকেরা অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন, কোন পরিস্থিতিতে সে এই অপরাধ করল তা বোঝার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই ছিঁচকে ধর্ষকদের মনের মধ্যে কি চলতে থাকে যখন তারা এই ছিঁচকেমি গুলো করে? এইটা কি কোন সাইকোলজিস্ট কখনো চিন্তা করেছে?
     পৃথিবীর সমস্ত পুরুষ প্রজাতিকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।------সাধারণ পুরুষ, ধর্ষক, ছিঁচকে ধর্ষক। কিন্তু মহিলাদের একটিই শ্রেণী----ধর্ষিতা! এই পৃথিবীর প্রতিটি মেয়ে ধর্ষিতা। কেউ ধর্ষকের কাছে, কেউ বা ছিঁচকে ধর্ষকের কাছে! তা সে কালো হোক, ফর্সা হোক, মোটা হোক, পাতলা হোক, সুশ্রী হোক, কুশ্রী হোক, নাবালিকা হোক, সাবালিকা হোক,বাচ্চা হোক বা বুড়ি হোক; এইসব ছিঁচকেদের হাত থেকে কারুর রেহাই নেই!
_________________________________
© মমতা সিনহা

No comments:

Post a Comment