Monday, 13 February 2017

।। প্রেম ও পরকিয়া ।।




কর্মক্লান্ত দিনমণি অস্থ যাবার ছলে যেমতি চুম্বন আঁকে প্রেয়সি নদীজলে, সেমতি কৃষিকাজ শেষে চাষীবৌ শুষে নেয় লাঙলের মাটি


কে আগে বাড়িয়ে ছিলো ঠোঁট
মেঘ না চাঁদ,
কে আগে বাড়িয়ে ছিলো হাত
নদী না তট

এক রাইকিশোরী দেখছিলো এসব
তাই তো বাঁশিসুরে হারিয়ে ছিলো লাজ



শীতের রোদের মতো নরম ওম লেগেছিলো ঠোটের কোনে, যদিও  চুম্বনের লোভ সামলাতে না পারা কমলালেবুর কোঁয়ার কোনো আফশোষ ছিলোনা, অথচ তাকেই কি না প্রাণ দিতে হয়েছিলো, দাঁতের নিদারুণ  প্রতিশোধে


ছেলেটিও কালো, বাঁশিটিও, শুধু সুরটা যেন মেঘলা আকাশের তামাটে চাঁদ,মহুয়া ঘ্রাণের মিশেল


মেঘের সুগন্ধ চেনে কাটা ফসলের মাঠ
পৌষালী কুঁয়াশা আড়াল করে দৃশ্যাবলি
আসলে ঐ মেঘ কুঁয়াশা আর ধুসর  একাকি কাটাফসলের মাঠ,
একে ওপরের মায়াজাল মাত্র,
শুধু চাষীবৌ জানতো এসব পরকীয়া

তাইতো নদীজলে হারিয়ে ছিলো সে,


চাঁদের অলৌকিক মায়াজাল ফুরালে, সকাল আসে


বৃষ্টি নয়, সেদিন আকাশ থেকে নোনতা জল ঝরবে, আর তুমি ছাতা খুলবে,যা তোমাকে ভিজতে দেবে না, তাও তোমার শরীর ভিজবে, তুমি টের পাবেনা, এভাবেই শয়তান তোমাকে আদর করবেন, অথচ তুমি বুঝতে পারবে না,  কারন তুমি রক্তের স্বাধ জানোনা,  যেহেতু তুমি রক্তস্বাধ জানোনা তাই তুমি বুঝতে পারবে না, তুমি ভাবতেই পারো এসব স্রেফ মনের ভূল, ফলতঃ তোমার স্বপ্ন চিরস্থায়ী হবে।।


শ্রীরাধিকার মৃতদেহটা এক টুকরো দেখে কানাই হাতে তুলে নিলেন বাঁশি, আর বাঁশি থেকে সব সুর বার করে মিশিয়ে দিলেন মাটিতে, আর চড়ে বসলেন গাছে এমন ভাবে যাতে ব্যাধের নিশানায় কোন ভুল না হয়,


শীতকালে যখন তিস্তার যৌবন থাকে না, সে সুযোগে বালির আড়ালে মিলিয়ে যায় কিশোর কিশোরি, - আর তিস্তা জলের ঘ্রান দিয়ে আগলে রাখে.....

১০
তোমার সারা শরীর জুড়ে সর্ষেফুল
কবির আর কি দোষ, অনিবার্য স্খলন

১১
বসন্তদোষে তোমার আবির ছুঁয়েছিলাম, তারপর থেকেই যাই ধরি সব রঙিন হয়ে যায়

১২
ঘন নীল আকাশ, তীব্র হলুদ সর্ষের ক্ষেত, দুদিক থেকে পরস্পর পানে স্লো মোশনে ছুটে আসছে শাহরুক আর বিদ্যা বালান, কমে আসা দুরত্বের মাঝে রেল লাইন জেগে ওঠে হঠাৎ, ছুটে আসে ট্রেন অলৌকিক, চলতেই থাকে চলতেই থাকে, চলে যেতেই থাকে

১৩

ক্রমশ কমতে থাকা দুটি ঠোঁটের দুরত্বের মাঝে লুকিয়ে ছিলো যমুনা, আর একটা নৌকা তখন রূপসী কলসিকে শোনাচ্ছিলো ঝড়ের অলীক উপাখ্যান

১৪
যেসব বরফ গতজন্মে আগুন ছিলো সেখানে ছুঁইয়ো না ঠোট -- জ্বলে যেতে পারে অভিমানি অন্তর্বাস

_____________________________
© শুভময় ভট্টাচার্য্য

No comments:

Post a Comment