Sunday, 5 February 2017

।। ভালো থাকার চলচ্ছবি ।।

ভালো থাকা অনেকটা লোকাল বাসের গায়ে লেখা "মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখুন" কথাটার মতো।সবাইকে নিজ দায়িত্বে ভালো থাকতে হয়।আপনার ভেতরে যতই ঝড় তুফান বয়ে যাক না কেন, আপনাকে হাসি খুশি থাকতে হবে।
আমি এই মুহূর্তে ক্লিনিকে একজন মুমূর্ষু মানুষের শয্যার পাশে দাঁড়িয়ে।দাঁড়িয়ে কারণ বসার ব্যবস্থা রোগীর আত্মীয়-স্বজনেরা দখল করে রেখেছে।আমি রোগীর আত্মীয় বা ওই টাইপের কেউ নই।আমি এসেছি আমার প্রয়োজনে।রোগীর কাছে দুই ব্যাগ রক্ত বিক্রি করে টাকা নিয়ে চলে যাব।খুব বেশী হলেও ঘন্টা খানেকের উপর সময় লাগার কথা না।আমি সারে চার ঘন্টা হলো তার কেবিনে আছি।
ডাক্তার সাহেব বলেছিলেন রোগীর অবস্থা তেমন একটা সুবিধার না,যে কোনো সময় তিনি এক্সপায়ার্ড হয়ে যেতে পারেন।এক্সপায়ার্ড হওয়ার ব্যাপারটা প্রথমে বুঝতে পারিনি।এক্সপায়ার্ড শব্দের ব্যবহার বিস্কুট চানাচুর এইগুলোর ক্ষেত্রে  শুনে অভ্যস্ত যে কোনো মানুষ তাদের জীবনের অন্তিম সময়টাকে এই বিশেষণে বিশেষায়িত করতে শুনলে ধাক্কার মতো খেয়ে যাওয়ার কথা।
কত সহজেই না বলে দেয়া যায় ইটজ ওভার,সাব্জেক্ট এক্সপায়ার্ড।
ডাক্তার রোগীকে বলছে, "মিস্টার কাশেম,আপনার লিভার ফেইল করেছে,ইউ উইল বি এক্সপায়ার ইন ওয়ান মান্থ"।
তখন এক্সপায়ার্ড হতে যাওয়া লোকটির কি বলা উচিৎ?সেও কি এতো সহজ ভাবেই তার মৃত্যুকে মেনে নিতে পারবে?পারা উচিৎ।
-"ওহ নো..শিট ডক...প্লিজ রিনিউ মি ফর মোর সেভেন ইয়ার,আই জাস্ট ম্যারিড লাস্ট সান ডে,হাউ কুড আই...."
-"ইয়া, আই ক্যান ফিল ইওর ডিজায়ার,এন্ড আই ডান অল হুইচ আই ক্যান....বাট ইওর লিভার অলমোস্ট নাইন্টি সেভেন পারসেন্ট ফাকড বাই অ্যালকোহোল...হোয়াই ইউ ডোন্ট ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড, ইউ ****"
-"ফাক ইউ ডক"
-"সেম হেয়ার ব্রো"।

প্রায় ছুটতে ছুটতে একজন ভদ্র মহিলা এসে কেবিনে ঢুকলেন।তাকে ঢুকতে দেখেই চেয়ারে বসা মেয়েটা চেয়ার ছেড়ে উঠে আমার পাশে এসে দাঁড়ালো। অনেকটা নিরুপায় হয়েই আমার পাশে তাকে দাঁড়াতে হয়েছে।কেবিনে গিজগিজে মানুষ। আমার পাশেই যা একটু খালি জায়গা ছিল।
চেয়ারে বসেই লম্বা লম্বা শ্বাস ফেলতে ফেলতে শাড়ীর আঁচল দিয়ে হাত পাখার মতো নিজেকে বাতাস করতে লাগলেন ভদ্রমহিলা।যদিও কেবিনে এ.সি ২৪ ডিগ্রীতে ছাড়া আছে।রোগীর পায়ের কাছে বসা বছর তিরিশেক বয়েসি ভদ্রলোক সম্ভবত রোগীর বড় ছেলে ভদ্র মহিলাকে ঢুকতে দেখেই আধশোয়া অবস্থা থেকে উঠে সোজা হয়ে বসলেন। এতক্ষণ তিনি ফোনে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলছিলেন। খেলা মঝ পথে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তিনি কিঞ্চিত বিরক্ত।
-স্লামালেকুম বড় আপা
-ওই, ফ্যান, ফ্যান কই, ফ্যান ছাড় তো কেউ
-রানু, এ.সি টা বাড়িয়ে দে
রানু আমার অন্য পাশে রাখা টেবিলের উপর থেকে রিমোটটা নিলো।
পিট পিট শব্দে রুমের টেম্পারেচার আরো দুই ডিগ্রী কমে গেলো।আমার এখন রীতিমত ঠান্ডা লাগছে।চাদর টাদর কিছু একটা পেলে ভালো হতো।
-বাশার,তোদের আক্কেল কবে হবে শুনি...কতবার করে বললাম গাড়ি পাঠাতে, আমার কথা কি তোরা কেউ আমলে নিস !গাধা এক একটা। ঢাকা শহরে CNG পাওয়া মানে আলাদীনের চ্যারাগ পাওয়ার কাছাকাছি তা তো তোরা বুঝবি না...উহ বাবা!!!মাজা গেলো...
-স্যরি বড় আপা
-তোর স্যরি আমি তোর......
-আহ! বড় আপা,বিহ্যাব উওরসেল্ফ

মানুষের স্বভাব হলো নিজের ভেতরে বয়ে যাওয়া ঝড় আশেপাশে থাকা সবার উপর দিয়ে বইয়ে দেওয়া।ঝড় বয়ে যেতে দিলে ঝড়ের গতি কমে যায়। ঝড় পুষে রাখলে কঠিন নিম্নচাপ প্রলয়ে রূপ নেয় । ঝড় সামাল দেওয়া যায়, ক্ষয় ক্ষতিও কম হয়।কিন্তু প্রলয় সামাল দেওয়া সহজ ব্যাপার না।বিপুল ক্ষয় ক্ষতি নিয়ে তখন ত্রাণের আশায় ভাঙা বাঁধের আশেপাশে বসে থাকতে হয়।
বড় আপা ভস্ম করে দেওয়া দৃস্টি নিয়ে রানুর দিকে ফিরলেন
-চুপ মাগী...তুই আমারে ভদ্রতা শিখাস!!থাপড়ায় তোর দাঁত ফেলে দিবো হারামজাদী।
রানু হতবাক!!বড় আপার মুখে বকা খেয়ে বেচারি পুরো তব্দা মেরে গেছে। ছোটোদের উপর বড়রা অনেক রকমের শাসন প্রয়াগ করে। কারণে, অকারণেও। কিন্তু এই শাসন মেনে নেওয়ার প্রক্রিয়া একান্ত ব্যক্তিগত পরিবেশে হয়ে থাকে। কিন্তু এই রকম একটা প্রায় পাব্লিক প্লেসে যেখানে আমার মতো একজন বাইরের লোক,কিছু বাচ্চাকাচ্চা আর মুখটিপে হেসে ফেলা নার্স আয়া বুয়া মিলে এক হুলস্থুল অবস্থা সেখানে এই শাসন হজম করা মোটেও সহজ ব্যাপার না।
রানুর গাল লাল হয়ে উঠেছে,নাকের পাটা তিরতির করে কাঁপছে। যে কোন মুহূর্তে কেঁদে ফেলতে পারে মেয়েটা।আমার দিকে চোখ পড়তেই প্রায় দৌড়ে রানু বারান্দায় চলে গেলো। বড় আপার ব্যবহারে মেয়েটা কঠিন অপমানিত হয়েছে। সব কিছু মেনে নেওয়া যায় কিন্তু অপমান মেনে নেয়া যায় না। দূর্বলের দ্বারা অপমান হলে সাথে সাথে অ্যাকশন স্বরূপ অবস্থা ভেদে ধমক বা কিল চড় ঘুষি কিছু একটা ঝেড়ে শোধ নেয়া যায়। কিন্তু সবলের দ্বারা অপমানিত হলে তা ছাইচাপা আগুনের মতো সে অপমান ধিকিধিকি বয়ে বেরাতে হয় অনেক দিন।
-মাগীর ঢং দেখো
-ছাড়ো তো বড় আপু,বাচ্চা মেয়ে কি বলতে কি বলে ফেলেছে..
-তুই আমারে বাচ্চা মেয়ে চিনাস? ওর সমান বয়সে আমি দুই বাচ্চার মা হইছি।আমারে বাচ্চা মেয়ে চিনাইতে আইছে...
-বড় আপা,দুলাভাই কোথায়?
-উনার কি আর আমার জন্য সময় আছে! কাল রাতেও তারে বললাম "বাবার এখন তখন অবস্থা,বড় জামাই হিসাবে তোমার একবার শেষ দেখাটা তো অন্তত দেখে আসা তো উচিৎ ", পাশ ফিরে দেখি ও মা! আমি কাকে কি বলতেছি,ভদ্রলোক সুন্দর নাকের বাঁশীতে কুঞ্জবন মাতায় ফেলছে। আস্ত হারামীর বাসা।সকালে ঘুম ভেঙে উঠে দেখি নাই, নাই তো নাই, ফোন দিলাম হারামজাদা বলে কি সে চিটাগাং পোর্টে বসে ডিমভাজি দিয়ে পরোটা খাচ্ছে। মাল খালাশ করে ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যাবে, টেবিলের উপর তার ডাক্তার বন্ধুর ঠিকানা রেখে গেছেন ফোন করলেই এসে বাবাকে আজরাইলের ঝোলা থেকে নিজের কোলে তুলে নিবে। বদের বদ।
-দুলাভাইয়ের এতো বড় ব্যাবসা,একা হাতে দেখে,তাকে দোষ দেওয়াটাও অযৌক্তিক,অনেক ঝামেলার মধ্যে থাকে বেচারা।
-থাক,তোর আর তার হয়ে উকিলগিরী করতে হবে না,ওকালতি তোর কাজ না,তুই কালা কোট পরা উকিল না,তুই একটা ঘুষ খাওয়া হোতকা পেটের ম্যাজিস্ট্রেট...এই ছেলে কে?এই ছেলে কে তুমি? কি কর এইখানে? নাম কি তোমার? বাশার কে এই ছেলে?
-উনি ডোনার,বাবার ইমার্জেন্সী রক্তের দরকার হতে পারে তাই উনাকে হায়ার করা হয়েছে।
-এই ছেলের গায়ে রক্ত! ইচা শুটকির মতো একটা ছেলে,দেখেলেই তো মনে হয় রক্ত শুণ্যতায় ভুগতেছে...কি সব কালেকশন একএকটা! এই ছেলে নাম কি তোমার?
-জ্বি,পাভেল
-কোথায় থাকো?
-ফকিরাপুলের একটা মেসে থাকি।
-কাজ কাম কি কর? নাকি পড়াশুনা?
-পড়াশুনা করি, সাথে দুইটা টিউশানিও করি।
-এতটুকূ একটা বাচ্চা ছেলে রক্ত দিতে আসছো, তারপর তুমি অসুস্থ হয়ে পরলে কে দেখবে তোমাকে?
-আমি নিজেই নিজেকে দেখতে পারবো বুবু। আমার অভ্যাস আছে।
-তুমি কি আমাকে বুবু বলছো ! আমি তোমার কোন জন্মের বুবু?
-আপনি দেখতে ঠিক আমার বুবুর মতো।আপনি যখন আঁচল দিয়ে বাতাস নিচ্ছিলেন তখন আমার মনে হচ্ছিলো আপনি না, বুবু যেন  চেয়ারটায় বসে আছে।নদী ভাঙনে বাড়ী ভেসে যাওয়ার পর যখন আমি আর বুবু ঢাকায় চলে আসি তখন বেগুনবাড়ির বস্তিতে আমরা উঠেছিলাম। তখন ছিলো ভাদ্র মাস। দুপুরের দিকে ঘরে অসহ্য গরমে টেকা যেতো না। বুবু তখন আমাকে এভাবে আঁচল দিয়ে বাতাস করতো আর আমি একসময় ঘুমিয়ে পরতাম।
-তুমি যদি মনে করে থাকো তোমার এই সব ইমোশনাল গল্প দিয়ে আমাকে ভুজুং ভাজুং দিবে তাহলে ভুল করেছো। আমি ভুজুংভাজুং খাওয়ার মেয়ে না।ডোন্ট ট্রাই এনি হাংকি পাংকি উইথ মি,ওকে?
-জ্বি বুবু ওকে।
-আবার বুবু বলে,পাজি ছেলে...আর কখনো আমাকে বুবু বলবি না,আমি তোর বুবু না,বুঝলি?
-জ্বি বুবু, আর কখনো বুবু বলবো না..

ভদ্রমহিলা অবাক হয়ে আমার দিকে চেয়ে আছেন।মাত্রাতিরিক্ত অবাক হবার কারণে মুখ সামান্য হাঁ হয়ে আছে। চটপট নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন...
-তোর মুখ এতো শুকনো দেখাচ্ছে কেনো?সকাল থেকে নিশ্চই না খেয়ে কলা গাছ হয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছিস
-জ্বি বুবু,খুব ক্ষিদে পেয়েছে
-দেখেতো মনে হচ্ছে পকেটে দুই টাকার স্কস্টেপ মারা নোটও নেই,যাহ কিছু খেয়ে আয়
ভদ্রমহিলা দু'টা একশ টাকার নোট আমার দিকে বাড়িয়ে দিলেন। আমি খুব সহজ ভাবে  টাকাগুলো নিয়ে কেবিন থেকে বের হয়ে আসলাম।
আগে কেউ টাকা দিলে নিতে লজ্জা পেতাম,এখন আর লজ্জা টজ্জা করে না।রক্ত বেচে পেট চালানো মানুষদের লজ্জা পেতে নেই। অবশ্য এমন অনেক মানুষ আছে যারা ঘোরোতর লজ্জাজনক কাজ করে হাসি মুখে সাদা বেনসন ফুকে। অথচ শহরের বিউটিফিকেশনের  জন্য হানিকারক তালিকায় জায়গা পাওয়া ছোটো ভাইটাকে কোলে নিয়ে যে সব বুবুদের আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়,শিশুর ফাঁকা পাকস্থলীর দেওয়ালে ক্ষুধার শিং মাছের মতো বিধিয়ে দেয়া কাঁটার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে ভদ্রসমাজের কাছেই যাদের প্রতি রাতে অভদ্র হতে হয়, একদিন তারাই কেনো লজ্জার কালি গায়ে মেখে চলন্ত রেলের চাকার নিচে লুকাতে চায়?

-চলে যাচ্ছেন
রানু বারান্দায় রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে।চোখের কোণে জল শুকোনোর দাগ দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব কেঁদেছে সে।
-জ্বি
-আর আসবেন না
-আমাকে আর আপনাদের দরকার হবে না
-সেকি! বাবার রক্তের দরকার পরলে তখন আপনি না থাকলে আমাদের কি হবে একবার ভেবে দেখেছেন?
-রানু, তোমাকে একটা কথা বলি,শোনো,তোমার বাবা আর নেই
-মানে!!!কি বলছেন এ সব!আপনার মাথা ঠিক আছে তো!!!
-পিতার মৃত্যু সন্তানের জন্য মেনে নেওয়া খুব একটা সহজ ব্যাপার না,কিন্তু আমাদের মেনে নিতে হয়,মানুষ হিসাবে মেনে নেওয়াই আমাদের বৈশিষ্ট্য, যে যত বেশী মেনে নিতে পারে সে তত ভালোভাবে টিকে থাকতে পারে,বেঁচে থাকতে পারে। নিজেদের নিয়ে তোমরা এতো বেশী ব্যস্ত ছিলে যে উনার স্যালাইনের পাইপে ড্রপিং যে কখন বন্ধ হয়ে গেছে তা তোমরা কেউই খেয়াল করো নি। আমি যখন কেবিনে ঢুকেছিলাম তখনি ব্যাপারটা আমি খেয়াল করেছিলাম।

রানু দৌড়ে কেবিনে গিয়ে ঢুকলো। কেবিনের ভিতর থেকে গুমরে উঠা কান্না এক সময় বুক ফাটা আর্তনাদে রূপ নেয়।
আমি ক্লিনিক পেছনে রেখে রাস্তায় এসে দাঁড়াই।

ইলেক্ট্রিক পোলে একটা হলুদ পাখি বসে অবাক হয়ে মহাসড়ক দিয়ে বয়ে যাওয়া ঢাকার রক্ত চলাচল দেখছে। দেখার মতোই দৃশ্য বটে। সাঁই সাঁই করে ছুটতে থাকা গাড়ীর মিছিল দুম করে থেমে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে আবার বয়ে যেতে যেতে আবার গতি পাচ্ছে, কোথাও আবার  আন্ধা গীট্টু লেগে বেরাছেরা অবস্থা।তখন শুরু হচ্ছে অন্য এক বেঁচে থাকার গল্প।

চিপ্স,লজেন্স,পপকর্ণ,পেপার নিয়ে কেউ কেউ থেমে থাকা লোকাল বাসে উঠে যাচ্ছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যাক্তিগত মোটোর যানের গ্লাসে গ্লাসে আকুতি নিয়ে ঘুরছে উদোম গায়ের শিশু। অসাবধানে ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে সেলফোন,নেকলেস, মানিব্যাগ। কমবয়সী কোনো দম্পতী CNG রিক্সার কোলে চালকের চোখ ফাঁকি দিয়ে আদর মেখে দিচ্ছে একে অন্যের অধরে। কিন্তু সবার চোখ হয়তো ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়না। প্রাপ্তবয়স্ক এই প্রেমের টুকরো চিত্র আধ-পলক দেখে নিয়ে পাশ দিয়ে নিশ্চুপ হেটে যাওয়া জ্বরাগ্রস্থ বৃদ্ধ কোনো ভিখারির স্বল্পমেয়াদী  পাওয়া সেই সব মধুর দিনগুলোর কথা ফের মনে করিয়ে দেয় তাকে।
একচিলতে হাসি ফুটে ওঠে ভাঁজ পড়া গালের চামড়ায়।
হাসিখুশি থাকার দায়িত্বটা বিশাল দায়িত্ব। যারা হাসিখুশি থাকে তাদের কোনো দুঃখ থাকেনা, থাকলেও দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে তারা নিজের অজান্তে হেসে ফেলে।।
________________________
© মোহাম্মাদ সামি

No comments:

Post a Comment