Monday, 13 February 2017

।। কার্তিকের দ্বিতীয় দিনে ।।



এই ভাইফোটার দিনদুটো মানে কালীপূজোর পর প্রতিপদ আর দ্বিতীয়া এই দুদিন  ছিল আমার ‘হাই রিস্ক’ ডেজ।  জনৈকা রূপসী না , তার মা  ছিলেন সাংঘাতিক । ভালো করেই বুঝতেন যে তার বাড়িতে  আমার প্রায় প্রাত্যহিক আনাগোনা ‘মাসীমার হাতের মালপোয়া খাওয়নের জন্য’ না। ফাঁকেতালে তাঁর মেয়েটির  পাণিগ্রহণের ধান্দায় থাকার সম্ভাবনা আমার  প্রবল। মুখচোখ উচ্চতা ভালো     গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল হলেও আমার  উচ্চারণে বাঙাল টান।  রোগা,হাওয়াই চটি ,পাজামা, লংশার্ট পরণে আমাকে কোনমতেই তাঁর আধুনিকা শহুরে মেয়ের মনে ধরবে না সে ব্যাপারে নিরানব্বই ভাগ সুনিশ্চিত হওয়ার পরেও বাকী একভাগ কার্যকরী করতে তার মেয়েকে দিয়ে আমাকে ভাইফোটা দেওয়াবেনই ।

আসলেই আমার অন্যান্য বন্ধুদের মত একজন প্রেমিকা জোগাড় করতে না পেরে জীবনটা যে আমার সাহারা হয়ে যাচ্ছে এ ব্যাপারে আমি নিঃসন্দেহ ছিলাম।বন্ধুদের কাছে ‘ধূর’ বলে আমি পরিচিত ছিলাম।  মেয়েদের কাছেও বোধহয ‘কেবলুশ হাঁদারাম’।        ‘গ্রহণীয় ভ্রাতার’ থেকে যে ‘প্রেমপ্রস্তাব দেওয়ার পর প্রত্যাখ্যাত’ যুবক অনেক বেশী শ্রেয় এ নিয়েও আমার কোন সন্দেহ ছিল না। কাজে কাজেই  ঐ মেযের মাএর  তার মেযের কাছথেকে ভাইফোটা নেওয়ার প্রস্তাব প্রতিবারই আমি অত্যন্ত চাতুর্যের সঙ্গে প্রায় মেসির কায়দায় ডজ্ করে এড়িয়ে যেতাম।মেয়েটিও কেমন যেন মনে হতো এ ব্যাপারে একদমই উৎসাহী না। কি জানি এলেবেলে আমাকে কি দাদার আসনে বসানোরও যোগ্য মনে করতো না?

     প্রতিপদ পড়তে না পড়তেই আমার একমাত্র বোন জয়িতাকে ঘড়ি ধরে দু ঘন্টা সময় দিযে                বলতাম,“ একমাত্র দাদাকে ফোটা দিয়ে যমদূয়ারে কাঁটা ফেলবি কি না সেটা তোর ব্যাপার। তবে দু ঘন্টার পর আমার ধনু রাশির অমৃত যোগ কিন্তু শেষ।”  দাদাঅন্ত প্রাণ আমার বেচারা বোনটা দু ঘন্টার আগেই শিশির কাজল ঘি আরো কিসব মিশিয়ে দাদাকে ফোটা দিয়ে প্রণাম করে উঠে দাঁড়াত।  আমি “ অয়ি ভগিনী ! তিষ্ঠ খনকাল।”বলে লম্বা শার্টের ঝোলা পকেট থেকে দু প্যাকেট মশলাচিড়া(আমার বোনের সবচেয়ে প্রিয় খাবার) বার করে হাতে গুঁজে দিয়ে,“ লহ! লহ! ভক্তিভরে চর্বন কর তব অক্ষম জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার এই মশলাচিড়ার স্নেহাশিষ।“ পিছন থেকে বোন,“দাদা দাদা! তক্তি নাড়ু নারকোলের সন্দেশ এত কষ্ট করে আমি আর মা কালরাতে বানালাম । মুখে দিয়ে যা!”  আমি  “ ফিরে এসে তৃতীয়ার দিন ” বলে তখন স্টেশনের রাস্তায় দৌড়াচ্ছি।  সোজা ট্রেন ধরে কালনায় পিসির বাড়ি। সেখানে আমার পিসির পাঁচ মেয়ে,কোন ছেলে নেই। মহা সমাদরে পাঁচবোনের দেওয়া ফোটা নিয়ে গাঁয়ের মাছ দুধ খেযে যখন বাড়ি ফিরতাম তখন আকাশে তৃতীয়ার ক্ষীণ চাঁদ উঠে গেছে। ভাইফোটার আবহাওয়া গজব হয়ে গেছে। কিন্তু ভবী ভোলবার না।

 যাকে ঘিরে এই কাহিনী সেই সুতপা ছিল ঐ এলাকার সবচেয়ে  সুন্দরী মেয়ে। তার পিছনে অনেক আচ্ছা আচ্ছা ছেলেরা পড়ে আছে। কিন্তু এই মেয়েটি ছিল যাকে বলে অসম্ভব রিজার্ভড। তার অপরূপ চোখ দুটো কোন ছেলের মাত্রাছাড়া কোন আচরণ দেখলেই কি করে যে অমন ঠান্ডা চাউনি নিক্ষেপ করত! তাবড় তাবড় বখাটে ছেলেও তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সম্ভ্রমে মাথা নীচু করে ফেলত। প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে তো তো করে ফিরে আসতো। ছেলেমহলে তার নামই ছিল ‘সাধ্বী সুতপা’।
এদিকে আমার প্রণয়নীতি ছিল খুবই সুদৃঢ়। সেই যে আছে ‘মারি তে গন্ডার লুটি তো ভান্ডার’।  যতই প্রেমিকার অভাবে জীবন মরুভূমি হয়ে যাক হয় সুতপাকে  আমার প্রেমিকা বানাবো।  না হলে কেউই না।
সকাল থেকে রাত অবধি সস্তার টিউশন দেওয়া , খাওয়া  শোয়া, ঘুম তারপরও দেড় দু ঘন্টা যেটুকু সময় যেদিন বাঁচাতে পারি সুতপার বাড়িতে গিয়ে পড়ে থাকা।
‘কান টানলে মাথা আসবে’ এই আপ্তবাক্য মনে রেখে  সুতপার মায়ের ফুটফরমাইশ খেটে সুতপার মন পাওযার চেষ্টা।  যেমন সুতপার মা বললেন,“মন(আমার ডাকনাম) এই তর আওনের হময় (সময়)! আমরা মা বিডি দুইটা মুড়িই খাই হন্ধ্যায়। তয় শুকনা মুড়ি। যা না বাজারে গিয়া দাঁড়াইয়া থাইকা গরম দুইখান  ফুলুরি ভাজাইয়া লইয়া আয়।”  কিংবা,“ এই বাজারে বালা(ভালো) জীয়ল মাছ উডে নাই। যা একটু বাগুইহাটি থন তর বইনের জন্য দৌড়াইয়া গিয়া মাছ লইয়া আয়।” লক্ষণীয় ভাবে আমি মনেমনে সুতপাকে যতই আমার মানসী ঠাওরাই সুতপার মা সুতপা সম্বন্ধে আমায় কিছু বলতে হলেই ‘তর বইন’ ছাড়া বলতেন না। এমনকি ‘তরা কইথে গেলে মায়ের প্যাডের ভাই বইনই।দুয়োজনেই বাপরে খাইছস।  আমি ত’ বুঝি তর কাছে জয়িতা আর সুতপার কুন পাইরথক্যই নাই।” আমার নীরবতাই তিনি সম্মতি বলে ধরে নেন। সুতপা কি ভাবে বোঝার উপায় নেই।তবে আমি ভাবতেই থাকি ‘বিধি ডাগর আখি যদি দিয়েছিলে সে কি আমার পানে ভুলে ফিরিবে না?” সে আমার দিকে তেমনভাবে চোখ তুলেও তাকায় না        
যাইহোক সেই তৃতীয়ার রাত। ভাইফোটার রেশ আর কিছু নেই। তবুও সুতপার মা আমাকে দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়লেন,“ মন! কুথায় ছিলি বাপ? তর বইন তরে ভাইফুডা দিব কইরা পতিপদ দ্বিতীয়া দুইয়ো দিন উপাস দিল। ল বইয়া পড়। তপা(সুতপার ডাক নাম) ফুডা দেওয়নের কাজল চন্দন লইয়া আয়। অখন আত(রাত) শিশির দৈ এ কাম নাই। শাঁখে ফুঁ দিয়া জুকার(জোকার) দিয়া কাম সার।”
আমি মিনমিনে স্বরে বলি,“কিন্তু এখন ভরা তৃতীয়া। ফোটা তো হয় না। ” তিনি বলেন,“আমরা হইলাম সিলেটি বারেন্দ্র বাওঁন।আমাগো তিতীয়াতে(তৃতীয়া)ও বাইফুডা  দ্যায়ন যায়। আয় তপা সব দইব্য(দ্রব্য) লইয়া            আয়।“      
মেয়ে ডাকাডাকিতেও বেরোচ্ছে না দেখে মা নিজেই মেয়েকে নিয়ে আসতে ভিতরের ঘরে ঢুকে গেলেন।  একটু পরই মা মেয়ের প্রথমে ফিসফিস  তারপর কিছুটা উচ্চস্বরেই তপ্ত কথোপকথন  আমার কানের ‘ভিতর ‘দিয়া একেবারে মরমে’ প্রবেশ করল।    
যথাঃ----          মা,“আরে ছেরি!তরে  বারম্বার কইতাছি বালায় বালায় ছেমরাডারে বাইফুডাটা দিয়া ল। তুই আমার প্যাডের(পেটের )মাইয়া তর বালার জন্যই কই। অয়ের রকসকম আমার কেমন কেমন যেন লাগে। তরে আড়ে আড়ে দ্যাহে(আড় চোখে দ্যাখে)। তর  বাপে ত' মরছে। অখন মায়ে বিডি(মা মেযে) থাহি। তয় বেকার পুলা কাম কাইয্য তেমন নাই। কথা কইলে হুনে(শোনে)। মুখছাট নাই। ”       মেয়ে,“ও গরীবের ছেলে। ভূলে গেছ হায়ার সেকেন্ডারী পরীক্ষায় পাড়ার ভাঙা স্কুল থেকে সপ্তম হয়েছিল। পয়সার অভাবে অনার্স পাশ করে বসে গেছে। টিউশন দিয়ে পরিবার চালায়। আজকাল কেমন ভ্যাবলা ভ্যাবলাও হয়ে গেছে। পাছে তোমার সুন্দরী মেয়ে ওর প্রেমে ফেঁসে যায় তাই এই প্রতিবার' ফুডা দে ফুভা দে' কর। আর ঐ চৌধুরীদের থার্ড ডিভিসনে পাশ করা ছোট ভাইটা। একটা লোফার। আমার দিকে রাস্তায় ঘাটে ইতরের মত তাকায়। যেহেতু ওরা কোটিপতি ব্যবসায়ী  ও  বাড়িতে এলে এই তুমিই আহ্লাদে গলে পড়। ”             মা,“ আরে আমি তর প্যাটে হইছি না তুই আমার?
এ দেহি(দেখি) বলদার বলদা । তয় গিয়া কয় চানদে আর কিযেতে। চৌধুরীরা হইল গিয়া রাজা। তয় গিয়া রাজপূত্র নিজে মিষ্ট হাতে লইয়া হাঁইট্যা বাড়িতে  আইল। অথিত মানুষ  কোথায় তারে বওয়াবি চা জল দিয়া আপ্যয়ন করবি। তা না গুমোর দেখাইযা রান্নাঘর গিযা বইয়া রইল। কত অপমান হইল ছি ছি ছি। ”        
মেয়ে,“ তাই না কি! ওকে পারলে আমি জুতো পেটা করতাম। রাস্তায় আমায় আঙুল দিয়ে দেখিয়ে  বলে ’এক রাতের জন্য হলেও আমার চাই। ’  ভেবেছে আমরা গরীব প্রতিবাদ করা দূরস্থান পয়সা পেলে ওর লালসার কাছে বিকিয়ে
যাবো। ”          মা,“এঃ! কথা কছ (বলিস)যেন বায়োসকোপের ফুলকুমারী। যা অহনে ওই ছ্যামড়ারে(ছেলে) ফুডা দিয়া বিদায় দে। কাইল আওনের সময় একখান ছানের(স্নানের) মগ আর পাকা একখান বেল য্যান লইয়া আহে।“    
 মেয়ে ,“ শোন মা আর একবারও যদি ঐ ফোটা ফোটা দে কর তবে শুনে রাখ। মন দিয়ে শুনে রাখ। আজ পর্যন্ত কেউ জানে না এমনকি যাকে নিয়ে আমার স্বপ্ন ঐ বাইরে কাচুমাচু হয়ে বসে আছে ঐ মানব রায়ও(আমার ভালো নাম) না।কিন্তু  শুধু ও জানবে বা তুমি জানবে তা হবে না জোরে জোরে  চীত্কার করে  মন্ত্র বলব গোটা পাড়ার লোকই শুনতে পাবে। আমি যদি ওকে ফোটা দি  তবে ভাইফোটা না। নতুন এক ধরণের ফোটা দেখতে পাবে ‘স্বামী ফোটা।’ মন্ত্রটাও খুব সোজা করে তৈরী করে নিয়েছি। শোন ,‘পতির কপালে দিলাম ফোটা।  যমদুযারে পড়ল কাঁটা ।দেখলো আমার বুকের পাটা। পতি আমার নিমতিতা। উমার হাতের ফোটা পাইয়া শিব যেমন অমর  সুতপা সান্যালের হাতের ফোটা পাইয়া তার পতি মানব রায়ও তেমন অমর। ”  

মাযের সক্রন্দন সংলাপ ,“ তুই আমার প্যাডের(পেটের) ছাঁও(ছানা) হইয়া আমারেই খাবি!গেছি রে গেছি।” কাণে যেতেই আমি ছিটকে বেরিয়ে আসি কেন না স্বপ্নলোকের চাবি আমি পেয়ে গেছি। পালকের মত হাল্কা শরীর নিয়ে ভাসতে ভাসতে বাড়ি পৌঁছোই।  সে দিনের তারিখটা আমার চিরদিনই মনে থাকবে ---দোসরা  কার্তিক

              সুতপা তখন রবীন্দ্রভারতীতে ইংরেজিতে এমএ পড়ে। পরের দিন টিউশন কামাই করে আমি গুটিগুটি পায়ে দশটা না বাজতেই সুতপার অপেক্ষায় উনিভারসিটির গেটে দাঁড়িয়ে আছি। দশটার ঠিক পাঁচ মিনিট আগে বাস থেকে নেমে ধীর পায়ে সুতপা আমার দিকে এগিয়ে এলো। যেন আমি ওখানে না দাঁড়িয়ে থাকলেই ও অবাক হতো।  বলল,“ঐ উল্টোদিকের গলিটার শেষে একটা পার্ক আছে। ওখানে গিয়ে বসুন। দু ঘন্টা পর আমার অফ আছে। আমি তখনই যা বলার বলব। ”      

আমার জীবনের প্রথম রোমান্সের দিন। বুক ধড়াস ধড়াস করছে এবং সুতপা আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল ,” তুমি মানব রায় হায়ার সেকেন্ডারিতে প্রথম দশে ছিলে। কিন্তু বাঘটা খাঁচা থেকে একবারই বেরিয়েছিল। আর  দেখা যায় নি। এখন তুমি দারিদ্র্যের বিজ্ঞাপন হয়ে ঘুরে বেড়াও। বেশ জানো দেখতে ভালো আর পুরনো ভালো ছাত্রের ইমেজ নিয়ে এখনও কিছুদিন বাজারে চলে যাবে। ” আমি তো তো করতে থাকি। ও একতরফা বলে চলে,“দারিদ্র তোমার ভূষণ তোমার গ্ল্যামার তাই না? সকাল থেকে সন্ধ্যা শস্তার টিউশন। বাকী সময় আমাদের বাড়িতে হ্যাংলার মত পড়ে থেকে আমার মায়ের মনোরঞ্জন কর। আজ কয়েতবেল কাল ডাইজিন। ভাবো আমি ভীষণ  ভীষণ খুশি  হচ্ছি। তোষামুদেদের আমি কেন কোনো মেয়েই পছন্দ করে না। একসময় ভালো  গল্প কবিতা লিখতে। সে সবও গেছে তোমার। জয়তী আমারই বয়সী। তার বিয়ে কি ভাবে দেবে তাও ভেবে দেখ না। তোমায় আমি পরিষ্কার বলে দিচ্ছি আমার ব্যাপারে তুমি যদি সত্যিই সিরিয়াস হও আগামী এক বছরের মধ্যে তোমার যোগ্য চাকরী  যোগাড় করবে আর তার ছ মাসের মধ্যে জয়তীর বিয়ে দেবে। আমি জানি তুমি চাইলে বাঘটা আবার খাঁচা ছেড়ে বেরোতে পারে এখনও। আর হ্যা আগামী দু বছর তুমি আমাদের বাড়ি যাবে না। এক পাড়ায় যখন থাকি রাস্তাঘাটে  মাঝেসাঝে যা দেখা হবে তাতেই হবে। আগামী  দু বছর আমি তোমারই থাকব।”আমি কোনোমতে বললাম,“আর তারপর?” তপা এগিয়ে যেতে যেতে বলল,“আগামী দু বছরের কথাই ভাবো।“ আমি উঠে দাঁড়ালাম।  

                টাই খুলতে খুলতে ভাবছিলাম। জীবনের অনেকটা পথ হেঁটে এলাম। আজ আমার অবসরের দিন ছিল। আমি কথা রেখেছিলাম। প্রথমবার পরীক্ষা দিয়েই সবচেয়ে সম্মানিত সর্বভারতীয় চাকরীতে নির্বাচিত হই। তার ছমাসের মধ্যে আমার বোন জয়তীর বিয়ে দি। সুতপা আমার ছত্রিশ বছরের বিবাহিতা স্ত্রী আমার কৃতী কন্যার জননী ।

আমার বিয়ের এক বছরের মাথায় আমার ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া হয়। একই সময় আমার মায়ের নিমোনিয়া কাপলড উইথ টাইফয়েড হয়। আমার  শাশুড়ী মা মানে সুতপার মা তিনরাত টানা জেগে দিনরাত সেবা করে আমাকে আমার মাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিযে এনেছিলেন। আমার মা তাঁর হাত ধরে বলেছিলেন,“ আগের জন্মে তুমি আমার মায়ের পেটের বোন ছিলে।“  এইলোকের উপর কি রাগ করে থাকা যায়? অভাবে মানুষের স্বভাবের  ক্ষয় হয়। কিন্তু ভিতরের মানুষটা হারায় না। সময়মতো ঠিক বেরিয়ে আসে।

________________________
© পৃথ্বী ব্যানার্জী 

No comments:

Post a Comment