নিজের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকতে ঠুকতে
মহান এক যন্ত্রসঙ্গীতের জন্ম দিয়ে তার কম্পোজিশনের কাগজটাকে পলি ব্যাগে ভরে
চিরদিনের জন্য তার দম আটকে দিয়ে ছিলাম
আর শ্বাস রোধ করে মারা সেই সুরে বিতফেন ভুল করে বানিয়েছিলেন
সার্বজনীন অতি জাতীয়তাবাদী সঙ্গীত
যা কিনা শুধু মৃত ক্রীতদাসরাই গাইতে পারে তাদের গ্যাসচেম্বারে নিয়ে যাবার জন্য আনা ট্রাকে উঠানোর পরে
ভ্যাটিকানের ব্যালকনিতে আরাম কেদারায় বসে পোপ তার আই-পডে মাস্টার আব পাপেট শোনার বিরতিতে
চোখ বুলিয়ে নেয় সাদা এক মাদি শুয়োরের আততপক্ষ সর্মথন শুনানি পর্বে
যেখানে আর এক বুনো শুয়োর ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে কাদায় পরে গজরাতে থাকে
আর আমার শববাহী মিছিল তীব্র ঘৃণায় আমাকে ভাসিয়ে দিয়ে আসে টেমসের হাঁটু জলে
সেখানে একটা প্রজাপতি আমার কফিনের উপর বসে ভাসতে ভাসতে পৌঁছে গিয়েছিলো প্যালেস্টাইনের লাশকাটা ঘরে
আমি তখন কফিনের ভেতরে ঈশ্বর আর শয়তানের সাথে রাশিয়ান ভদকায় চুমুক দিচ্ছি
যদিও তাদের কেউই আমার ডেথ সার্টিফিকেট এমনকি বালিশের তলায় গুজে দেওয়া ধর্মগ্রন্থ নিয়ে কোন প্রশ্ন করেনি
তাদের পুরোটা সময় গিয়েছিলো ক্লাস্টার আর ড্রোনের শামুক গতি নিয়ে উপহাশ করতেই
এরপর মহামতী মোহনদাস তার নতুন শান দেওয়া ছুরি দিয়ে আমার ফুসফুস কেটে নেওয়ার পর তা টেরেসাকে দান করে শিখিয়েছিলেন অহিংসার গান
আর সুভাষ তাতে জুড়ে দিয়েছিলেন ম্যাক্সিকান স্পাইসি রেসিপি
সেই ডিনারে জন লেননও উপস্থিত ছিলেন রবিশংকরের চাদর গায়ে জড়িয়ে, ভরপেটে ইমাজিন গাইবার জন্য।
তখন দক্ষিণের কোন এক উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ফুটপাতে আর্জেন্টাইন এক রক্ত বিশারদের মুখ গেঞ্জিতে একে হোমমেড বিপ্লবীরা হয়ে উঠেছিলো সফল একেকজন ব্যবসায়ী,
আর দানোবাধিকার সংরক্ষন আইনে রামের ক্ষুদ্রাংশ বনে যায় টেররিস্ট।
তখন লাশকাটা ঘরে শুয়ে পকেট ও ফুসফুসবিহীন আমি খুব আয়েশ করে নিকোটিন চুমু এঁকে দিতে থাকি শকুনির ডানায়,যে কিনা আমার মগজ খেয়ে একটা গৃহপালিত স্পিংকসে নিজেকে বদলে ফেলেছে।
__________________________
© মোহাম্মাদ সামি
No comments:
Post a Comment