লেখকঃ সুদীপ ভৌমিক
------------------------
শুভ সপ্তমীর শুভেচ্ছা জানাই সব অকপটুকে। পুজো তো ভালোই হাসি-আনন্দে
কাটছে নিশ্চই সবার!
আজ নাকি "বিশ্ব হাসি
😂 দিবস"..!
কথিত আছে 'Laughter is the best medicine'.
😁 এই শুনে আমাদের হাসিরাশি দেবী গোমড়ামুখে সাইকো-অ্যানালিস্টের
কাছে গেলেন চিকিৎসা করাতে।
চিকিৎসক- আপনি এত গম্ভীর কেন? কি সমস্যা?
হাসি- আমার কিছুতেই হাসি পায় না।
😠 সর্বদাই মনমরা।😬
-স্বামীর নাম বলুন।
-আনন্দকুমার।
-ছেলেমেয়ে আছে?
-ছেলে সুহাস, মেয়ে চুটকী।
-বাবা, মা?
-বাবা আনন্দলাল, মা রসিকাদেবী।
-মাফ করবেন। আপনার চিকিৎসা আমার দ্বারা হবে না! একমাত্র রমণীমোহন যদি সারাতে পারে, তা নাহলে রাঁচী-র একটা ঠিকানা দিচ্ছি, যোগাযোগ করে দেখুন যদি কিছু হয়..!!😟
😥
তো, হাসিরাশীদেবীর রোগ সেরেছে কিনা সেটা জানার আগে চলুন আমাদের রমনীমোহনের কিছু কাহিনী শোনা যাক। সে যখন নিচু ক্লাসে পড়ে, একদিন স্যার জিজ্ঞাষা করলেন- উদ্ভিদের সংজ্ঞা বল্ তো ?
রমনী- যা মাটি ভেদ করে ওঠে।
- গুড্! উদাহরন দে।
- কেঁচো।
- রাসকেল্! ভুমিতে উৎপন্ন দুএকটা সব্জীর নাম বল্।
- আলু, মুলো, জনকরাজার কন্যা সীতা।
- আমার শরীর খারাপ, আজ তোদের ছুটি যাঃ
****** ***** ***** ******
রমনীরমোহনের পড়াশোনায় মন নেই বলে তার বাবা গুরুকুলের স্টাইলে তাকে গরমের ছুটিতে গুরুবাড়ি পাঠালেন সেখানে থেকে পড়বে বলে।
একদিন, পড়া ফাঁকি দেবার জন্য রমনী বললো- গুরুদেব বাগানে জল দিয়ে আসবো?
গুরু- না, দেখছিস না সকাল থেকে ঝমঝম বৃষ্টি হচ্ছে!
রমনী- চিন্তা নেই গুরুদেব। ছাতা নিয়ে যাবো।
বৃদ্ধ গুরুর সাথে 'যেমন গুরু তেমন চ্যালা' সুপারহীট যাত্রাপালা দেখে মাঝরাতে রমনী বাড়ী ফিরছে। তিন ডাকাত ঘিরে ধরে গুরুকে বললো- টাকা দেবেন, না প্রাণ দেবেন।
রমনী- প্রাণটাই নিয়ে ছেড়ে দিন ওনাকে টাকাগুলো চলে গেলে এই বুড়ো বয়সে খাবেন কি?
দাদুর মারা যাবার খবর পেয়ে এগারোদিন পর রমনী গেল চুল কামাতে।
- ন্যাড়া হতে কত?
নাপিত- ন্যাড়া হতে তিরিশটাকা আর শেভ করতে দশ।
- তাহলে আমার মাথাটাই শেভ করে দাও।😇
কদিন পর বাবা ফোন করে জিজ্ঞাষা করলেন- কি রে পড়াশোনা কেমন চলছে?😯
- আচ্ছা বাবা, সবসময় এসব জানতে চাও কেন বলোতো? আমি তোমায় কখনো জিজ্ঞাষা করেছি, তোমার অফিস কেমন চলছে?😕
রমনী গ্রামের ছেলে। লেবুকে লেমু উচ্চারণ করে। গুরু বললেন- ম এর স্থানে ব উচ্চারণ করতে হয় রে গাধা।
কদিন পর সদর দরজায় ঠকঠক শুনে রমনী গেল দরজা খুলতে। খানিক পর ফিরে এসে বলল- গুরুদেব আপনার 'বাবা' এসেছেন।
- বলিস কি অর্বাচীন! পিতৃদেব তো আটবছর গত হয়েছেন, চল তো দেখি..!?
😱
দরজায় গিয়ে গুরুদেব দেখেন হরিদ্বার থেকে তাঁর 'মামা' এসেছেন।
😵
****** ***** ***** ****** *****
রমনীর কাহিনি চলতেই থাকবে। চলুন পুজোর হট্টোগোলে ঘুরে আসি।
🚃 পুজোর বাজারে ঘোরাফেরা ঠাকুর দেখা খাওয়াদাওয়া🍗
🍟 চলছে। নিরামিষ নিশ্চই খাচ্ছেন না কেউ?🍖
🍻
🍣 কাল অষ্টমী। নন্ ভেজ সারাদিন।
আসুন আজ একটু অ্যাপেটাইজ়ার বা স্টার্টার হয়ে যাক..!!😅তবে....
👽
💀বিধিসম্মত সতর্কীকরণঃ
💀
👽
ননভেজ জোক্স-এ কোষ্ঠকাঠিন্যের ধাত থাকলে দুর্বল হৃদয় বা বৈষ্ঞবভাবাপন্ন পাঠকরা এই পোষ্টের বাকী অংশ সযত্নে পরিহার করবেন।😇😈
ভিড়ে ভরা ট্রেনে নিরাপদবাবু হঠাৎ লক্ষ করলেন এক লোক তাঁর সুন্দরী স্ত্রীর দিকে অপলক তাকিয়ে।
- ও মশাই ভদ্রলোকের সম্পত্তির দিকে নজর দিতে লজ্জা করে না?
- লজ্জা কিসের? দেখুন না লেখা আছে, 'মাল নিজ দায়িত্বে রাখুন'!
- কী..!!! আমার বৌ আপনার মাল????
- না না, ভুল বুঝবেন না। আমি বদ্ধ ট্যারা। বাংকে রাখা ট্রাংকের দিকেই তাকিয়ে আছি।
কিছুসময় পরে, নিরাপদ- এবার আমার মেয়ের দিকে তাকাচ্ছেন?
- না, এবার আপনার দিকেই.. ইয়ে!!
- সে কি! আমি তো ওরকম নই!!আ- আ- আমার দিকে কেন?😯
- ইয়ে, মানে.. আপনার মুখটা না একদম আমার বউয়ের মতো। হুবহু। শুধু ওই গোঁফটুকু ছাড়া।😐
নিরাপদবাবু এবার মোটেই নিরাপদ অনুভব করছেন না।
- অ্যাঁ, সেকি? আমার তো গোঁফই নেই!!
- কিন্তু, আমার বৌএর বেশ মোটা একজোড়া আছে।
গোপাল ভাঁড় না হলে বিশ্ব হাসি দিবসটা বাসী-দিবস হয়ে যায়। তাই একটা স্যাম্পল্!
গোপালের বউএর সৌন্দর্য ও বুদ্ধিমত্তার কথা লোকমুখে শুনে রাজা কৃষ্ঞচন্দ্র দুষ্টুবুদ্ধি করে সেপাইএর হাতে তাকে একটা খালি ভাঁড় পাঠিয়ে বলে পাঠালেন, 'মহারাজের মধু খাবার শখ হয়েছে।'
গোপালের বউ সেপাইকে দুটো ডালিম দিয়ে বলল- 'এদুটো মহারাজকে দিয়ে বোলো, "মধু খেয়ে হজম করার বয়স তাঁর এখনো হয়নি, তিনি দুগ্ধপোষ্য। তাই একটা খাবেন আর অন্যটা খুঁটবেন।"
+++++++++++++++++++++
নতুন বিয়ের পর 'শীলা' দ্বিরাগমনে বাপের বাড়ি এসেছে। প্রাণের বান্ধবী 'মুন্নি' দেখা করতে এসেই অবাক.!!!
- ও মা! পাঁচদিন হলো বিয়ে, কপালে সবুজ সিঁদুর পরেছিস কেন?
- আর বলিস না, বর ট্যাক্সি-ড্রাইভার তো! লাল দেখলে আর এগোতেই চায় না!!
তা নাহয় হলো, তোর তো ছমাস বিয়ে। কপালে টিপের বদলে ট্যাটু কেন? আর কি যেন লেখা- 'Speed limit 20km only'. এ আবার কি???
মুন্নি- কপাল! আমার বর যে পাঞ্জাব ট্রাক চালায়..!!
***** ******* ****** ****** ****
অজপাড়াগ্রামের ছেলের বিয়ে হচ্ছে শহুরে আধুনিক সম্পন্ন মেয়ের বাড়িতে। বরযাত্রী প্রায় সবাই নিরক্ষর। দুরে কয়েকজন হাইহিল, স্লিভলেস ইংরেজীতে গল্পে মত্ত। বরের মেসো(পেশায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি) তাদের একজন কে জিজ্ঞেস করলো- প্লাগ না সকেট??
সেই মহিলা- মাই ফুট্! বলে সরে গেল। তখন মেশো আরেকজনের দিকে একবার হাতের মাঝের একটা আঙুল, আর একবার দুটো আঙুল ক্রস করে ইশারা করতে লাগলো। নালিশ পেয়ে সিকিউরিটি এসে চড়াও- ওনাদের খারাপ ইশারা করছেন কেন?
- আজ্ঞে খারাপ কই কত্তা, আমরা তো ইন্জিরি বুঝি না। তাই জিগাইতেছিলাম উনারা মাইয়াপক্ষ না পোলাপক্ষ.!!
যাহোক, কিছুক্ষণ পর মেয়ের বাবা এসে ছেলের বাবাকে বললেন- বেয়াই, ডিনার রেডি। আপনারা খেতে আসুন।
- না না, দিনের আমরা খেয়্যেই এস্যেছি। আখুন রেত্যের খাওন দিলেই চলবে।
- My god! বলছিলাম আপনারা সকলেই নন্ ভেজ তো?
- না না ভিজবো কেনে গো? মাগ্ মাসে কি বিষ্টি হয়, কি যে কন?
- I mean, বলছিলাম যে আপনারা কজন নিরামিষাশী, মানে সকলেই মাছ-মাংস খান কি ??
- অ, এই কতা। আগে কবেন তো! তা, আমরা
বাইশজন নিরামিষ খান#, আর বাকি সাতান্নজন আমিষ খা#কি..!! হেঁঃ হেঁঃ
+++++ ++++++ ++++++ +++
দুবছর আগে নাইনের বাংলা পরীক্ষায় ব্যকরণ বিভাগে প্রশ্ন দিয়েছিলাম- বাংলাভাষায় আগত যেকোনো একটি বিদেশী শব্দের উদাহরন দাও। কেউ লিখলো- চীনা শব্দ 'চা', কেউ- ফারসি শব্দ 'কাগজ', কেউ পোর্তুগিজ 'পাউরুটি' ইত্যাদি...
রমনীমোহন এটার উত্তর লিখতে পারলো না। ঘন্টা পড়ে খাতা জমা নিচ্ছি, রমনীর খাতা কাড়াকাড়ি করছি, দ্রুত শেষ পাতায় কি একটা
লিখে ছেড়ে দিল। দিনপনেরো পর খাতা দেখার সময় ওরটা যখন হাতে এলো দেখি, রমনী লিখেছে- ১১র ক নং প্রশ্নের উত্তরঃ 'জাপানী তেল'!!
আরে..! আপনারা দেখছি চিটেগুড়ে আঠার মতো চিপকে গেলেন!!😜 ঠাকুর দেখতে যাবেন না?
হাসিরাশীদেবীর সাথে দেখা হলে জিজ্ঞাষা করবেন, রমনী-থেরাপীতে কাজ হয়েছে কিনা?
কাল অষ্টমীর আগাম শুভেচ্ছা রইল। মেন কোর্স কাল হবে...!!
আজ নাকি "বিশ্ব হাসি

কথিত আছে 'Laughter is the best medicine'.

চিকিৎসক- আপনি এত গম্ভীর কেন? কি সমস্যা?
হাসি- আমার কিছুতেই হাসি পায় না।

-স্বামীর নাম বলুন।
-আনন্দকুমার।
-ছেলেমেয়ে আছে?
-ছেলে সুহাস, মেয়ে চুটকী।
-বাবা, মা?
-বাবা আনন্দলাল, মা রসিকাদেবী।
-মাফ করবেন। আপনার চিকিৎসা আমার দ্বারা হবে না! একমাত্র রমণীমোহন যদি সারাতে পারে, তা নাহলে রাঁচী-র একটা ঠিকানা দিচ্ছি, যোগাযোগ করে দেখুন যদি কিছু হয়..!!😟

তো, হাসিরাশীদেবীর রোগ সেরেছে কিনা সেটা জানার আগে চলুন আমাদের রমনীমোহনের কিছু কাহিনী শোনা যাক। সে যখন নিচু ক্লাসে পড়ে, একদিন স্যার জিজ্ঞাষা করলেন- উদ্ভিদের সংজ্ঞা বল্ তো ?
রমনী- যা মাটি ভেদ করে ওঠে।
- গুড্! উদাহরন দে।
- কেঁচো।
- রাসকেল্! ভুমিতে উৎপন্ন দুএকটা সব্জীর নাম বল্।
- আলু, মুলো, জনকরাজার কন্যা সীতা।
- আমার শরীর খারাপ, আজ তোদের ছুটি যাঃ
****** ***** ***** ******
রমনীরমোহনের পড়াশোনায় মন নেই বলে তার বাবা গুরুকুলের স্টাইলে তাকে গরমের ছুটিতে গুরুবাড়ি পাঠালেন সেখানে থেকে পড়বে বলে।
একদিন, পড়া ফাঁকি দেবার জন্য রমনী বললো- গুরুদেব বাগানে জল দিয়ে আসবো?
গুরু- না, দেখছিস না সকাল থেকে ঝমঝম বৃষ্টি হচ্ছে!
রমনী- চিন্তা নেই গুরুদেব। ছাতা নিয়ে যাবো।
বৃদ্ধ গুরুর সাথে 'যেমন গুরু তেমন চ্যালা' সুপারহীট যাত্রাপালা দেখে মাঝরাতে রমনী বাড়ী ফিরছে। তিন ডাকাত ঘিরে ধরে গুরুকে বললো- টাকা দেবেন, না প্রাণ দেবেন।
রমনী- প্রাণটাই নিয়ে ছেড়ে দিন ওনাকে টাকাগুলো চলে গেলে এই বুড়ো বয়সে খাবেন কি?
দাদুর মারা যাবার খবর পেয়ে এগারোদিন পর রমনী গেল চুল কামাতে।
- ন্যাড়া হতে কত?
নাপিত- ন্যাড়া হতে তিরিশটাকা আর শেভ করতে দশ।
- তাহলে আমার মাথাটাই শেভ করে দাও।😇
কদিন পর বাবা ফোন করে জিজ্ঞাষা করলেন- কি রে পড়াশোনা কেমন চলছে?😯
- আচ্ছা বাবা, সবসময় এসব জানতে চাও কেন বলোতো? আমি তোমায় কখনো জিজ্ঞাষা করেছি, তোমার অফিস কেমন চলছে?😕
রমনী গ্রামের ছেলে। লেবুকে লেমু উচ্চারণ করে। গুরু বললেন- ম এর স্থানে ব উচ্চারণ করতে হয় রে গাধা।
কদিন পর সদর দরজায় ঠকঠক শুনে রমনী গেল দরজা খুলতে। খানিক পর ফিরে এসে বলল- গুরুদেব আপনার 'বাবা' এসেছেন।
- বলিস কি অর্বাচীন! পিতৃদেব তো আটবছর গত হয়েছেন, চল তো দেখি..!?

দরজায় গিয়ে গুরুদেব দেখেন হরিদ্বার থেকে তাঁর 'মামা' এসেছেন।

****** ***** ***** ****** *****
রমনীর কাহিনি চলতেই থাকবে। চলুন পুজোর হট্টোগোলে ঘুরে আসি।




আসুন আজ একটু অ্যাপেটাইজ়ার বা স্টার্টার হয়ে যাক..!!😅তবে....




ননভেজ জোক্স-এ কোষ্ঠকাঠিন্যের ধাত থাকলে দুর্বল হৃদয় বা বৈষ্ঞবভাবাপন্ন পাঠকরা এই পোষ্টের বাকী অংশ সযত্নে পরিহার করবেন।😇😈
ভিড়ে ভরা ট্রেনে নিরাপদবাবু হঠাৎ লক্ষ করলেন এক লোক তাঁর সুন্দরী স্ত্রীর দিকে অপলক তাকিয়ে।
- ও মশাই ভদ্রলোকের সম্পত্তির দিকে নজর দিতে লজ্জা করে না?
- লজ্জা কিসের? দেখুন না লেখা আছে, 'মাল নিজ দায়িত্বে রাখুন'!
- কী..!!! আমার বৌ আপনার মাল????
- না না, ভুল বুঝবেন না। আমি বদ্ধ ট্যারা। বাংকে রাখা ট্রাংকের দিকেই তাকিয়ে আছি।
কিছুসময় পরে, নিরাপদ- এবার আমার মেয়ের দিকে তাকাচ্ছেন?
- না, এবার আপনার দিকেই.. ইয়ে!!
- সে কি! আমি তো ওরকম নই!!আ- আ- আমার দিকে কেন?😯
- ইয়ে, মানে.. আপনার মুখটা না একদম আমার বউয়ের মতো। হুবহু। শুধু ওই গোঁফটুকু ছাড়া।😐
নিরাপদবাবু এবার মোটেই নিরাপদ অনুভব করছেন না।
- অ্যাঁ, সেকি? আমার তো গোঁফই নেই!!
- কিন্তু, আমার বৌএর বেশ মোটা একজোড়া আছে।
গোপাল ভাঁড় না হলে বিশ্ব হাসি দিবসটা বাসী-দিবস হয়ে যায়। তাই একটা স্যাম্পল্!
গোপালের বউএর সৌন্দর্য ও বুদ্ধিমত্তার কথা লোকমুখে শুনে রাজা কৃষ্ঞচন্দ্র দুষ্টুবুদ্ধি করে সেপাইএর হাতে তাকে একটা খালি ভাঁড় পাঠিয়ে বলে পাঠালেন, 'মহারাজের মধু খাবার শখ হয়েছে।'
গোপালের বউ সেপাইকে দুটো ডালিম দিয়ে বলল- 'এদুটো মহারাজকে দিয়ে বোলো, "মধু খেয়ে হজম করার বয়স তাঁর এখনো হয়নি, তিনি দুগ্ধপোষ্য। তাই একটা খাবেন আর অন্যটা খুঁটবেন।"
+++++++++++++++++++++
নতুন বিয়ের পর 'শীলা' দ্বিরাগমনে বাপের বাড়ি এসেছে। প্রাণের বান্ধবী 'মুন্নি' দেখা করতে এসেই অবাক.!!!
- ও মা! পাঁচদিন হলো বিয়ে, কপালে সবুজ সিঁদুর পরেছিস কেন?
- আর বলিস না, বর ট্যাক্সি-ড্রাইভার তো! লাল দেখলে আর এগোতেই চায় না!!
তা নাহয় হলো, তোর তো ছমাস বিয়ে। কপালে টিপের বদলে ট্যাটু কেন? আর কি যেন লেখা- 'Speed limit 20km only'. এ আবার কি???
মুন্নি- কপাল! আমার বর যে পাঞ্জাব ট্রাক চালায়..!!
***** ******* ****** ****** ****
অজপাড়াগ্রামের ছেলের বিয়ে হচ্ছে শহুরে আধুনিক সম্পন্ন মেয়ের বাড়িতে। বরযাত্রী প্রায় সবাই নিরক্ষর। দুরে কয়েকজন হাইহিল, স্লিভলেস ইংরেজীতে গল্পে মত্ত। বরের মেসো(পেশায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি) তাদের একজন কে জিজ্ঞেস করলো- প্লাগ না সকেট??
সেই মহিলা- মাই ফুট্! বলে সরে গেল। তখন মেশো আরেকজনের দিকে একবার হাতের মাঝের একটা আঙুল, আর একবার দুটো আঙুল ক্রস করে ইশারা করতে লাগলো। নালিশ পেয়ে সিকিউরিটি এসে চড়াও- ওনাদের খারাপ ইশারা করছেন কেন?
- আজ্ঞে খারাপ কই কত্তা, আমরা তো ইন্জিরি বুঝি না। তাই জিগাইতেছিলাম উনারা মাইয়াপক্ষ না পোলাপক্ষ.!!
যাহোক, কিছুক্ষণ পর মেয়ের বাবা এসে ছেলের বাবাকে বললেন- বেয়াই, ডিনার রেডি। আপনারা খেতে আসুন।
- না না, দিনের আমরা খেয়্যেই এস্যেছি। আখুন রেত্যের খাওন দিলেই চলবে।
- My god! বলছিলাম আপনারা সকলেই নন্ ভেজ তো?
- না না ভিজবো কেনে গো? মাগ্ মাসে কি বিষ্টি হয়, কি যে কন?
- I mean, বলছিলাম যে আপনারা কজন নিরামিষাশী, মানে সকলেই মাছ-মাংস খান কি ??
- অ, এই কতা। আগে কবেন তো! তা, আমরা
বাইশজন নিরামিষ খান#, আর বাকি সাতান্নজন আমিষ খা#কি..!! হেঁঃ হেঁঃ
+++++ ++++++ ++++++ +++
দুবছর আগে নাইনের বাংলা পরীক্ষায় ব্যকরণ বিভাগে প্রশ্ন দিয়েছিলাম- বাংলাভাষায় আগত যেকোনো একটি বিদেশী শব্দের উদাহরন দাও। কেউ লিখলো- চীনা শব্দ 'চা', কেউ- ফারসি শব্দ 'কাগজ', কেউ পোর্তুগিজ 'পাউরুটি' ইত্যাদি...
রমনীমোহন এটার উত্তর লিখতে পারলো না। ঘন্টা পড়ে খাতা জমা নিচ্ছি, রমনীর খাতা কাড়াকাড়ি করছি, দ্রুত শেষ পাতায় কি একটা
লিখে ছেড়ে দিল। দিনপনেরো পর খাতা দেখার সময় ওরটা যখন হাতে এলো দেখি, রমনী লিখেছে- ১১র ক নং প্রশ্নের উত্তরঃ 'জাপানী তেল'!!
আরে..! আপনারা দেখছি চিটেগুড়ে আঠার মতো চিপকে গেলেন!!😜 ঠাকুর দেখতে যাবেন না?
হাসিরাশীদেবীর সাথে দেখা হলে জিজ্ঞাষা করবেন, রমনী-থেরাপীতে কাজ হয়েছে কিনা?
কাল অষ্টমীর আগাম শুভেচ্ছা রইল। মেন কোর্স কাল হবে...!!
No comments:
Post a Comment