১
অভিমান একশো জাহাজে পৌঁছালে - তুমিও সমুদ্র উগরে দিতে পার।শুধু পারবে না জন্ম দিতে হৃদয়।সে যে ভীষন বায়বীয়।।
অভিমান একশো জাহাজে পৌঁছালে - তুমিও সমুদ্র উগরে দিতে পার।শুধু পারবে না জন্ম দিতে হৃদয়।সে যে ভীষন বায়বীয়।।
২
লুকিয়ে রেখে করছো বিশ্বাসঘাতকতা - বরফের ছুরি।শান দাও হিমাংকের নীচে।মানুষের শরীর শূন্যের নিচে নামলেও,তাকে নাম ধরেই মানুষ ডাকে।।
লুকিয়ে রেখে করছো বিশ্বাসঘাতকতা - বরফের ছুরি।শান দাও হিমাংকের নীচে।মানুষের শরীর শূন্যের নিচে নামলেও,তাকে নাম ধরেই মানুষ ডাকে।।
৩
ভিখারি বেশে বললাম - বুদ্ধং শরণাম গচ্ছামি।তুই যুদ্ধ তুলে দিলি হাতে।যদি বলতাম - ভবতি ভিক্সাং দেহি। নিজেকে কতটা বিলোতে পারতিস - শান্তির জলে।।
ভিখারি বেশে বললাম - বুদ্ধং শরণাম গচ্ছামি।তুই যুদ্ধ তুলে দিলি হাতে।যদি বলতাম - ভবতি ভিক্সাং দেহি। নিজেকে কতটা বিলোতে পারতিস - শান্তির জলে।।
৪
রাত্রিকে বিছানায় খুজে নিতে পারি নি - তাই পুড়েছি কাঠকয়লার মতো।তোর নাম রাত্রি দিলে কতটা আপত্তি করবি।
বিছানা শেষ প্রহরে শবযাত্রা করে - মনে রাখিস।।
রাত্রিকে বিছানায় খুজে নিতে পারি নি - তাই পুড়েছি কাঠকয়লার মতো।তোর নাম রাত্রি দিলে কতটা আপত্তি করবি।
বিছানা শেষ প্রহরে শবযাত্রা করে - মনে রাখিস।।
৫
সবকিছু পুড়তে পুড়তে - ছাই হয়।
ছাই পোড়ে না।নাভি পোড়ে না।যোনীমুখি হৃদয় পোড়ে না।
তবে কেন বলিস মাটিতেই মিশে যাব।।
সবকিছু পুড়তে পুড়তে - ছাই হয়।
ছাই পোড়ে না।নাভি পোড়ে না।যোনীমুখি হৃদয় পোড়ে না।
তবে কেন বলিস মাটিতেই মিশে যাব।।
৬
সভ্যতার বিবর্তনে কত চরিত্র ইতিহাস লেখে - যতক্ষন না বেহুঁশ হই নামকরন করি।তারপর ঘুম।স্বপ্ন।ইদুরের ঠুকঠুক।স্বপ্ন আসে না সমুদ্রমন্থনের।
সভ্যতার বিবর্তনে কত চরিত্র ইতিহাস লেখে - যতক্ষন না বেহুঁশ হই নামকরন করি।তারপর ঘুম।স্বপ্ন।ইদুরের ঠুকঠুক।স্বপ্ন আসে না সমুদ্রমন্থনের।
৭
টাওয়ার থাকে না।তাই তোমাকেও বিদায় অনিশ্চিত। একদিক দিয়ে ভালোই।রোজ নতুন কিছু শেখা - নারীত্ব গোপনীয়তা। এর সাথে যদি নদীর আড়ালে চাঁদের পতন হয় - তুমি কি গর্ভবতী হবে।।
টাওয়ার থাকে না।তাই তোমাকেও বিদায় অনিশ্চিত। একদিক দিয়ে ভালোই।রোজ নতুন কিছু শেখা - নারীত্ব গোপনীয়তা। এর সাথে যদি নদীর আড়ালে চাঁদের পতন হয় - তুমি কি গর্ভবতী হবে।।
৮
আমার নীরব অভিমুখে পাথরও হয় অপারমিতা।হয়তো রসায়নে অভিযোজন বিক্রিয়া। আমি লবনাক্ত ঘামকেও রোদ চেহারায় সোনা বলে চিনেছি।তুই অন্ধ অবিকৃত কোরকের শ্বাস।।
আমার নীরব অভিমুখে পাথরও হয় অপারমিতা।হয়তো রসায়নে অভিযোজন বিক্রিয়া। আমি লবনাক্ত ঘামকেও রোদ চেহারায় সোনা বলে চিনেছি।তুই অন্ধ অবিকৃত কোরকের শ্বাস।।
৯
একটা রংমশাল - তাই অনেক পথ।আমি রোজ মিছিল ছিঁড়ে বেরিয়ে এসে তোকে ট্রামলাইনে খুঁজি।আছিস কেমন?রোজ আমাকে টিফিনে তুই এটাই বলিস।আমি মৌন থাকি।।
একটা রংমশাল - তাই অনেক পথ।আমি রোজ মিছিল ছিঁড়ে বেরিয়ে এসে তোকে ট্রামলাইনে খুঁজি।আছিস কেমন?রোজ আমাকে টিফিনে তুই এটাই বলিস।আমি মৌন থাকি।।
১০
ধর, তিন ভাগ জলের যায়গায় যদি স্থল হতো - আমরা কি এতটাই সিক্ত থাকতাম?বৃষ্টি যদি অভ্রগুড়ো হতো - তুইও কি করতিস না একটুআধটু নেশা।
সমস্ত প্রিয় ভ্রূণ জরায়ু যন্ত্রণায়
প্রতিভাত সিজারিয়ান অপারেশন।বড্ড নেশা নেশা লাগে।।
ধর, তিন ভাগ জলের যায়গায় যদি স্থল হতো - আমরা কি এতটাই সিক্ত থাকতাম?বৃষ্টি যদি অভ্রগুড়ো হতো - তুইও কি করতিস না একটুআধটু নেশা।
সমস্ত প্রিয় ভ্রূণ জরায়ু যন্ত্রণায়
প্রতিভাত সিজারিয়ান অপারেশন।বড্ড নেশা নেশা লাগে।।
১১
আমার পুরনো অভ্যাস - কিছু চাস কিছু বাদ দিস।আমার পুরনো কিছু জামাকাপড় - কিছু তুই পছন্দ করিস কিছু বাদ দিস।
আমার মনে পড়া ফুল - তুই ভ্রমরকেও ঈর্ষা করিস।তাই ফুলদানী ভাঙ্গিস অক্লেশে।।
আমার পুরনো অভ্যাস - কিছু চাস কিছু বাদ দিস।আমার পুরনো কিছু জামাকাপড় - কিছু তুই পছন্দ করিস কিছু বাদ দিস।
আমার মনে পড়া ফুল - তুই ভ্রমরকেও ঈর্ষা করিস।তাই ফুলদানী ভাঙ্গিস অক্লেশে।।
১২
সংবিগ্ন পাখিকূল আমাকে ডাকছে - তবু তোকে ছেড়ে না ওঠা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। আমি ঠোঁট জ্বরে খেয়াল করি বর্ষার স্বাদ।একটু বিষাদ একটু খামখেয়ালি। এবারে আমাকেও তুই ছিঁড়ে ফেল হাওয়ায় - রাত যে শেষ হলো।
সংবিগ্ন পাখিকূল আমাকে ডাকছে - তবু তোকে ছেড়ে না ওঠা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। আমি ঠোঁট জ্বরে খেয়াল করি বর্ষার স্বাদ।একটু বিষাদ একটু খামখেয়ালি। এবারে আমাকেও তুই ছিঁড়ে ফেল হাওয়ায় - রাত যে শেষ হলো।
১৩
আমি হাত বোলালেই তোর জটিল অমসৃনতা খাজুরাহ হয়ে যায়।কখনো কোনারক - অজন্তা - ইলোরা।আমি তোর মুখে মোনালিসা খুঁজি।শীতে কাঁপি।কাপুরুষ হই।মিথ্যাও বলি।তবু তুই অপলক উত্তাপ বাড়াস।।
আমি হাত বোলালেই তোর জটিল অমসৃনতা খাজুরাহ হয়ে যায়।কখনো কোনারক - অজন্তা - ইলোরা।আমি তোর মুখে মোনালিসা খুঁজি।শীতে কাঁপি।কাপুরুষ হই।মিথ্যাও বলি।তবু তুই অপলক উত্তাপ বাড়াস।।
১৪
গ্রহণেও অনিয়ন্ত্রক থাকি - এই সত্যি চিরকাল পর্দার ব্যবহারিতা শেখায়।তার চেয়ে নিস্পন্দ হোক তোর মৃত শরীরটার সঙ্গে শেষ মিলন।আমি দেখিয়ে দেব - অর্ধনারিশ্বর কাকে বলে।।
গ্রহণেও অনিয়ন্ত্রক থাকি - এই সত্যি চিরকাল পর্দার ব্যবহারিতা শেখায়।তার চেয়ে নিস্পন্দ হোক তোর মৃত শরীরটার সঙ্গে শেষ মিলন।আমি দেখিয়ে দেব - অর্ধনারিশ্বর কাকে বলে।।
১৫
ধূপ ধূনো বাতাসা - ঈশ্বরীয় উপাসনা।না কি তোর যোগীনির বেশ - নগ্ন যোনী। মৃত্যুর আগে একবার তোকে চরম সুখ দিতে চাই - হেমলকেও আফসোস নেই।
আমি যাকে ক্ষমা করি - সে মাটির পুতুল।।
ধূপ ধূনো বাতাসা - ঈশ্বরীয় উপাসনা।না কি তোর যোগীনির বেশ - নগ্ন যোনী। মৃত্যুর আগে একবার তোকে চরম সুখ দিতে চাই - হেমলকেও আফসোস নেই।
আমি যাকে ক্ষমা করি - সে মাটির পুতুল।।
১৬
বারুদে বিশ্বাস নেই - তাই বলে দেশলাই অনীহা।ভাবছিস কেন?এখনো দাবানল জ্বালাতে বাকি।আগ্নেয়গিরি - ওটাও বা বাদ কেন।তবে লাভার রঙ কি জানিস - নীল।জোনাকিরাও নরকে সুখী হয়।তুই স্রেফ তরল থাকিস।।
বারুদে বিশ্বাস নেই - তাই বলে দেশলাই অনীহা।ভাবছিস কেন?এখনো দাবানল জ্বালাতে বাকি।আগ্নেয়গিরি - ওটাও বা বাদ কেন।তবে লাভার রঙ কি জানিস - নীল।জোনাকিরাও নরকে সুখী হয়।তুই স্রেফ তরল থাকিস।।
১৭
এবার তোর যাবার পালা এলে
- নিশ্চিত যবনিকা পতন।
গোপন গর্ভগৃহে ঢুকি।সারিবদ্ধ মৌচাক থেকে নিংড়ে নিই মধু।খুঁজি অজস্র যৌবন।
এবার তোর যাবার পালা এলে
- নিশ্চিত যবনিকা পতন।
গোপন গর্ভগৃহে ঢুকি।সারিবদ্ধ মৌচাক থেকে নিংড়ে নিই মধু।খুঁজি অজস্র যৌবন।
সেখানে
কোনো শরীর নেই।
শুধু দুটো চোখ -
আমি অসীম পেরিয়ে অমরত্বের সন্ধান পাই।।
শুধু দুটো চোখ -
আমি অসীম পেরিয়ে অমরত্বের সন্ধান পাই।।
১৮
সর্বস্ব বিলিয়ে দেবার তাগিদে তুই অন্ধকার গায়ে মেখে আছিস - তবু মোমবাতি ঠিক দেখছে।
কিছু ফুল কিছু ভোর পারলে তুলে রাখিস।
যূপকাষ্ঠে রুপালি তাজমহল - পূর্ণতা দিস,আমারও অলক্ষে।।
সর্বস্ব বিলিয়ে দেবার তাগিদে তুই অন্ধকার গায়ে মেখে আছিস - তবু মোমবাতি ঠিক দেখছে।
কিছু ফুল কিছু ভোর পারলে তুলে রাখিস।
যূপকাষ্ঠে রুপালি তাজমহল - পূর্ণতা দিস,আমারও অলক্ষে।।
১৯
যখন তুই বিদ্যুৎ ছড়াচ্ছিলি
১ শব্দে দাসখত দিয়েছিলাম কবিতার পাতায়।
হায়,সাদা কাগজ এখনো চিনলো না চাঁদকলা রুপ।
ইঙ্গিত কেবল তোর কলঙ্কিনী মুখে
মানুষও হারিয়ে ফেলুক ক্ষমার অধিকার।।
যখন তুই বিদ্যুৎ ছড়াচ্ছিলি
১ শব্দে দাসখত দিয়েছিলাম কবিতার পাতায়।
হায়,সাদা কাগজ এখনো চিনলো না চাঁদকলা রুপ।
ইঙ্গিত কেবল তোর কলঙ্কিনী মুখে
মানুষও হারিয়ে ফেলুক ক্ষমার অধিকার।।
প্রেমিকও
যে মানুষের রুপ - ঈশ্বরীয় অভাব।।
২০
কৃষ্ণ হতে চাই নি,তাই রাধাও আজ লজ্জা পায়।যদিও কৃষ্ণকলি ভাবি আমি অচেতনে।
কৃষ্ণ হতে চাই নি,তাই রাধাও আজ লজ্জা পায়।যদিও কৃষ্ণকলি ভাবি আমি অচেতনে।
এ
শহরে রোজ কত রাধা আছে নিজেকে নষ্টা করে - সামাজিকতা করায়।
আমি
ভিন্নমতে পথ খুঁজি
একশ টাকায় সুখ দিতে দিতে
কৃষ্ণরুপী সমাজটাকে ঘেন্না করি।।
একশ টাকায় সুখ দিতে দিতে
কৃষ্ণরুপী সমাজটাকে ঘেন্না করি।।
বহুরূপী
বহুগামিতায় ভাসে আদিম শরীর।।
--------------------------------------------
শব্দরূপ : রাহুল
No comments:
Post a Comment