প্রেম আছে বলেই হৃত্পিণ্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধির
পরিচয় পাওয়া
প্রেম আছে বলেই শত কষ্টের অতিথি কে বিদায় জানিয়ে
বেঁচে থাকার নতুন ঠিকানা খুঁজে পাওয়া ।
জানি না প্রেম বিনিময়ে সুখ মেলে কি না -------
শুধু জানি যে ,
প্রেমের বর্ণমালা না থাকলে অসম্পূর্ণ থেকে যায় জীবনপ্রবাহের আদর্শলিপি ।
কর্তব্যের ধারাপাত , দায়িত্বের নামতা, আর বাধ্যবাধকতার একেচন্দ্র শিখতে শিখতে
আজ বড়ই ক্লান্তি অনুভব করে
জীবন নামের এক চলন্ত রেলগাড়ি ।
তাকে চালানোর জন্য পারিবারিক তকমা আঁটা সরকারি বিদ্যুতের কোন কার্পণ্য নেই,
তবুও যেন সময় মতো যাত্রীদের স্টেশনে পৌঁছে
দেবার দায়িত্ব বহন করা ,
তার যেন এক অনিচ্ছার তিক্ত ঔষধ সেবন করা ।
প্রেম আছে বলেই জীবন নামের রেলগাড়িটা
স্বপ্ন দেখে,
স্বপ্নের রেলপথ কে বাস্তবায়িত করার ।
যে রেলপথে হাঁটবে শুধু সে আর তার এক যাত্রীবিহীন দ্বিতীয় লোকাল টি ।
অনেক দূরে যাবে রেলপথে হেঁটে হেঁটে ।
হিল্লি , দিল্লি , মক্কা, মদিনা , গয়া, কাশী ,বৃন্দাবন মথুরা, যমুনার তপোবনে
রাধিকার কৃষ্ণ কে প্রেম নিবেদন করার কৃষ্ণচূড়া ভবনের পরিধি কে প্রদক্ষিন করবে তালে তাল মিলিয়ে ।
বৃন্দাবনের ধুলোয় লুটোপুটি খেতে খেতে ওরাও শিখবে প্রেম করার কৌশল ।
ওরাও দীক্ষিত হবে প্রেমগুরুর শিক্ষায় ।
রেলগাড়ি থেকে প্রেমগাড়িতে রুপান্তরিত করবে নিজেদের ।
তারপর আবার ফিরবে ঐ রোজকারের প্যাসেঞ্জার বহনের দায়িত্ব পালন করতে ।
আবার সেই পুরনো টিকিট চেকারের আওয়াজ
টিকিট - টিকিট, দেখি টিকিট চাই ,
কখনও দুধওযালা , সব্জিওযালা , ফুলওয়ালা , কাজের লোক নামক হকারগুলো ট্রেনটাকে
শান্তি ভাবে হাওয়া খেয়ে যাত্রীবাহী হয়ে থাকতে দেয় না ।
আসলে ওরা হিংসে করে রেলগাড়িটা কে
যে হয় তো সে বুঝি খুব আনন্দে আছে
বিদ্যুতের সাহায্যে চলছে
পরিশ্রম করতে লাগে না ।
ওরে প্রেমহীন হকারের দল
তোরা কি বুঝবি রেলগাড়ির কষ্ট !
সারাদিন অন্যের জন্যই তো পরিশ্রম করে চলছে ।
তোরা তো তারই সাহায্যে রোজগার করিস
অকৃতজ্ঞ তোরা !
উপকার মনে রাখতে পারিস না ;-----------
এক এক সময় মনেই হয় খুব
যে এই জীবন নামের রেলগাড়ি টা
জীবন নামের প্রেমগাড়ী হলেই সবচেয়ে ভালো হতো ।
তাহলে এত ঘ্যানর ঘ্যান এত শোরগোল এত ঝগড়া এত হিংসার বোমা বিস্কোরণ
ভোরবেলার ঘর সংসারের মায়া ত্যাগ করা আহারের তাগিদে ছোটা ঠিকে - ঝিঁ দের অসভ্যতামি আর নারীধর্ষণের মতো অস্পৃশ্যজনক হিংস্র কাজ থেকে বিরত থাকতে পেরে নিরপরাধীর মতো সুখের বুকের পাজঁড় ফুলিয়ে প্রেমের রেলপথ অতিক্রম করতে পারতো।
আর তাতে থাকতো একদল দুখিনী অসভ্য ঠিকে- ঝিঁ এর বদলে
ভোরবেলার ফুলবাগান থেকে তুলে আনা মালিনীদের হাতে একরাশ তাজা ফোটা ফুলের ডালি ।
মিষ্টি হেসে ফুলের ডালি সামনে এগিয়ে দিয়ে বলতো এই নাও !
তোমাদের জন্য তুলে এনেছি ।
ভোরবেলার ফোটা ফুলের প্রথম সুবাসে
তোমরা মাতাও তোমাদের " প্রেমজীবন "।
এই চল সখীরা ;----
পরের স্টেশন এসে গেল যে !
নামতে হবে না ?
____________
©শম্পা বিশ্বাস
পরিচয় পাওয়া
প্রেম আছে বলেই শত কষ্টের অতিথি কে বিদায় জানিয়ে
বেঁচে থাকার নতুন ঠিকানা খুঁজে পাওয়া ।
জানি না প্রেম বিনিময়ে সুখ মেলে কি না -------
শুধু জানি যে ,
প্রেমের বর্ণমালা না থাকলে অসম্পূর্ণ থেকে যায় জীবনপ্রবাহের আদর্শলিপি ।
কর্তব্যের ধারাপাত , দায়িত্বের নামতা, আর বাধ্যবাধকতার একেচন্দ্র শিখতে শিখতে
আজ বড়ই ক্লান্তি অনুভব করে
জীবন নামের এক চলন্ত রেলগাড়ি ।
তাকে চালানোর জন্য পারিবারিক তকমা আঁটা সরকারি বিদ্যুতের কোন কার্পণ্য নেই,
তবুও যেন সময় মতো যাত্রীদের স্টেশনে পৌঁছে
দেবার দায়িত্ব বহন করা ,
তার যেন এক অনিচ্ছার তিক্ত ঔষধ সেবন করা ।
প্রেম আছে বলেই জীবন নামের রেলগাড়িটা
স্বপ্ন দেখে,
স্বপ্নের রেলপথ কে বাস্তবায়িত করার ।
যে রেলপথে হাঁটবে শুধু সে আর তার এক যাত্রীবিহীন দ্বিতীয় লোকাল টি ।
অনেক দূরে যাবে রেলপথে হেঁটে হেঁটে ।
হিল্লি , দিল্লি , মক্কা, মদিনা , গয়া, কাশী ,বৃন্দাবন মথুরা, যমুনার তপোবনে
রাধিকার কৃষ্ণ কে প্রেম নিবেদন করার কৃষ্ণচূড়া ভবনের পরিধি কে প্রদক্ষিন করবে তালে তাল মিলিয়ে ।
বৃন্দাবনের ধুলোয় লুটোপুটি খেতে খেতে ওরাও শিখবে প্রেম করার কৌশল ।
ওরাও দীক্ষিত হবে প্রেমগুরুর শিক্ষায় ।
রেলগাড়ি থেকে প্রেমগাড়িতে রুপান্তরিত করবে নিজেদের ।
তারপর আবার ফিরবে ঐ রোজকারের প্যাসেঞ্জার বহনের দায়িত্ব পালন করতে ।
আবার সেই পুরনো টিকিট চেকারের আওয়াজ
টিকিট - টিকিট, দেখি টিকিট চাই ,
কখনও দুধওযালা , সব্জিওযালা , ফুলওয়ালা , কাজের লোক নামক হকারগুলো ট্রেনটাকে
শান্তি ভাবে হাওয়া খেয়ে যাত্রীবাহী হয়ে থাকতে দেয় না ।
আসলে ওরা হিংসে করে রেলগাড়িটা কে
যে হয় তো সে বুঝি খুব আনন্দে আছে
বিদ্যুতের সাহায্যে চলছে
পরিশ্রম করতে লাগে না ।
ওরে প্রেমহীন হকারের দল
তোরা কি বুঝবি রেলগাড়ির কষ্ট !
সারাদিন অন্যের জন্যই তো পরিশ্রম করে চলছে ।
তোরা তো তারই সাহায্যে রোজগার করিস
অকৃতজ্ঞ তোরা !
উপকার মনে রাখতে পারিস না ;-----------
এক এক সময় মনেই হয় খুব
যে এই জীবন নামের রেলগাড়ি টা
জীবন নামের প্রেমগাড়ী হলেই সবচেয়ে ভালো হতো ।
তাহলে এত ঘ্যানর ঘ্যান এত শোরগোল এত ঝগড়া এত হিংসার বোমা বিস্কোরণ
ভোরবেলার ঘর সংসারের মায়া ত্যাগ করা আহারের তাগিদে ছোটা ঠিকে - ঝিঁ দের অসভ্যতামি আর নারীধর্ষণের মতো অস্পৃশ্যজনক হিংস্র কাজ থেকে বিরত থাকতে পেরে নিরপরাধীর মতো সুখের বুকের পাজঁড় ফুলিয়ে প্রেমের রেলপথ অতিক্রম করতে পারতো।
আর তাতে থাকতো একদল দুখিনী অসভ্য ঠিকে- ঝিঁ এর বদলে
ভোরবেলার ফুলবাগান থেকে তুলে আনা মালিনীদের হাতে একরাশ তাজা ফোটা ফুলের ডালি ।
মিষ্টি হেসে ফুলের ডালি সামনে এগিয়ে দিয়ে বলতো এই নাও !
তোমাদের জন্য তুলে এনেছি ।
ভোরবেলার ফোটা ফুলের প্রথম সুবাসে
তোমরা মাতাও তোমাদের " প্রেমজীবন "।
এই চল সখীরা ;----
পরের স্টেশন এসে গেল যে !
নামতে হবে না ?
____________
©শম্পা বিশ্বাস
No comments:
Post a Comment