------------------
সুদূর ওদলাবাড়ি থেকে তোমার পোস্টকার্ড লাট খেতে খেতে পঁচিশ বছরের
পথ অতিক্রম করে আসে।
আমার ঠিকানা অতিদ্রুত এক রাস্তার থেকে আর এক রাস্তায় হেঁটে যায়।
তবুও নাছোড় পোস্টম্যানরা গোটা অক্ষরে ছেঁড়া বাংলায় লেখা তোমার চিঠি আমায় পৌঁছে দেয়।
তুমি লিখেছ,“পোলা আর কতকাল বাওলাড়াপানা করবি বাপের নাহান। ত’র বাপ বাড়ি ফিরে নাই।
আমি যাই কই?”
বাউণ্ডুলে বাবা আমার বাড়ি ফেরেন নি ।
আমি আঠার বছরে ঘর ছেড়েছি আজ পঁচিশ বছর হয়ে গেল।
আমার ঠিকানা অতিদ্রুত এক রাস্তার থেকে আর এক রাস্তায় হেঁটে যায়।
তবুও নাছোড় পোস্টম্যানরা গোটা অক্ষরে ছেঁড়া বাংলায় লেখা তোমার চিঠি আমায় পৌঁছে দেয়।
তুমি লিখেছ,“পোলা আর কতকাল বাওলাড়াপানা করবি বাপের নাহান। ত’র বাপ বাড়ি ফিরে নাই।
আমি যাই কই?”
বাউণ্ডুলে বাবা আমার বাড়ি ফেরেন নি ।
আমি আঠার বছরে ঘর ছেড়েছি আজ পঁচিশ বছর হয়ে গেল।
মাগো কত আস্তানায় মাথা গুজলাম আবার পথে নামলাম।
সকরি গলি ছাতাওয়ালা লেন মহাজনটুলি বেড়াচাঁপার কোকেনঠেক ।
দেহপসারিণীদের বুকে শরীরের ঝাঁঝালো ঘামে আমি কি খুঁজে বেড়ালাম মা?
তোমাকে ছেড়ে এসে কি তোমাকেই,নাকি আমার জন্ম মুহূর্তের সেই প্রবলসংকটের থেকে সেই মহত্তম উত্তরণের বিস্মৃতি আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়!
সকরি গলি ছাতাওয়ালা লেন মহাজনটুলি বেড়াচাঁপার কোকেনঠেক ।
দেহপসারিণীদের বুকে শরীরের ঝাঁঝালো ঘামে আমি কি খুঁজে বেড়ালাম মা?
তোমাকে ছেড়ে এসে কি তোমাকেই,নাকি আমার জন্ম মুহূর্তের সেই প্রবলসংকটের থেকে সেই মহত্তম উত্তরণের বিস্মৃতি আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়!
চিরদুখিনী মা আমার, আমি চোখ বুজলেই দেখতে
পাই তোমার পলিত কেশ, কোমর তোমার ঝুঁকে গেছে l
ওদলাবাড়ির ভাঙা কুঁড়ের সামনে তূলসীমঞ্চে তুমি
নিয়ম করে আজও প্রদীপ জ্বালlও।
,করবীগাছটার থেকে কিছু ফুল আজও ঝরে পড়ে।
“পোলা অহনও ফিরা আয় গোপাল।”
তোমার কান্নায় সন্ধ্যার উঠোন ভারী হয়।
নিয়ম করে আজও প্রদীপ জ্বালlও।
,করবীগাছটার থেকে কিছু ফুল আজও ঝরে পড়ে।
“পোলা অহনও ফিরা আয় গোপাল।”
তোমার কান্নায় সন্ধ্যার উঠোন ভারী হয়।
মা আমার! ফিরে ঠিক আসব ।
একটাই ত’ পথ কিছু চলা বাকী পড়ে যায়।
আজ নয় কাল যে কোনোদিনই শেষ হয়ে যেতে পারে।
প্রণাম নিও
একটাই ত’ পথ কিছু চলা বাকী পড়ে যায়।
আজ নয় কাল যে কোনোদিনই শেষ হয়ে যেতে পারে।
প্রণাম নিও
No comments:
Post a Comment