দেখেশুনে বলল বিশু
কি বলব দাদা আর,
ঠিক যেন আঁকা ছবি
এমন লাগছে চমৎকার্।
দেঁতো হাসি হেসে গগন
হয়ে আহ্লাদে আটখানা,
বলে ভিতরটা দেখ ঘুরেফিরে
পছন্দ হয় কিনা?
সারা বাড়ি ঘুরে ঘুরে
দেখে শুনে শেষে,
গগনবাবুর বসার ঘরে
বসল বিশু এসে।
বুঝলে দাদা! দেখলাম যা
ঠিকই আছে সবি,
শুধু এঘরের দেওয়ালটাতে
টাঙাও একটা ছবি।
দেওয়ালটাই লাগছে আমার
একটু ফাঁকা ফাঁকা,
দামী একটা ছবি কেন
নামী শিল্পীর আঁকা।
গগন বলে , একটা ছবি!
কালই যাবে কেনা,
ধারে কাছে ছবির বাজার
আছেকি তোর জানা।
বিশু বলে ছবিতো আর
আলু পটল নয়,
চাইলে পরেই হাটবাজারে
কিনতে পাওয়া যায়।
একাডেমী অফ ফাইন আর্টসে
ঘুরে আসতে পারো,
নামীদামী শিল্পীরা সব
সেখানে হয় জড়ো।
কিনতে ছবি গগনবাবু
এলেন পরের দিনই,
তেলরঙে আঁকা ছবির
তখন চলছে প্রদর্শনী।
নানারঙের নানান ছবি
দেওয়াল জুড়ে রাখা,
মূল্য কতো তাও আছে
ছবির নিচে লেখা।
টাকার অঙ্ক দেখে গগন
ভাবেন মনে মনে,
ছবিগুলো সস্তা খুবই
লাভ হবেনা কিনে।
সব ছবি দেখার পরে
এলেন তিনি শেষে,
যেখানে শিল্পী স্বয়ং
আছেন একা বসে।
হঠাৎ দেখেন একটি ছবি
মেঝের 'পরে রাখা,
অপূর্ব সে ছবিখানি
রামধনু রঙ মাখা।
দাম শুধালে শিল্পী বলে
কি হবে এটা নিয়ে,
গগন বলে বসার ঘরে
রাখব টাঙিয়ে।
না চাইতেই তিরিশ হাজার
দিয়ে ছবির দাম,
তৃপ্ত হলেন গগন সাহা
পূর্ণ মনস্কাম।
টাকাগুলো হাতে নিয়ে
শিল্পী মনে ভাবে,
এত খেটে ছবি এঁকে
কি আর এখন হবে।
ভালো ভালো ছবিগুলো
রইল সবি পরে,
রঙ মেশানোর বোর্ড বিকালো
তিরিশ হাজার দরে।
_______
@অনাদি চক্রবর্তী
কোলকাতা ,
০৩/১১/১৬
No comments:
Post a Comment