Wednesday, 30 November 2016

।। মেঘের কোলে ।।



তোমার প্রেমেই রচেছি আমি গান,
তোমাতই সঁপেছি নীরব অশ্রু বান।
ভোরের আলোয় শোভিত অংশুমান,
সুরের পরশে অলির ঘটে আগমন।
কুমুম কানন ভরে ওঠে পুষ্প সাজে,
তোমার সুর ভাসে যে হৃদয় মাঝে।
প্রেমের তরির নিস্তরঙ্গ আনাগোনা,
হলো কত প্রজাপতিদের জানশোনা।
আকাশ নীলে শ্বেত বলাকার সারি,
নির্দয় নির্মমতা আমি সইতে নারি।
অরুন উদয়ে উদ্ভাসিত স্নিগ্ধ শিখা,
তোমার প্রেমের সিক্ত মিলন রেখা।
বিহঙ্গ ডানায় লিপ্ত উড়ন্ত বাতাস,
ভালবাসায় থাকে না স্বার্থ আভাস।
সূর্যাস্ত পশ্চিম গগনে পাহাড় কোলে,
প্রেমের আধারে তখন খুশি দোলে।
মেঘের কোলে লুকিয়ে ধনুকি চাঁদ,
তারার আলোকে নাই কোন খাদ।
রাতের বিছানা স্বপ্নমুর্ছনার আকর,
গভীরতা পায় স্বাধীন প্রেম শিকর।
তন্দ্রার মাঝে তোমাকেই শুধু পায়,
তুমি ছাড়া আমার ভূমিকা নিকায়।
____________________________
© নির্মল সাহা

।। বাংলা লতিফা~~ কাছে ছিল ।।


দূরে দূরান্তে ছিল মসজিদ
কাছে ছিল আজানের ডাক ৷
মন্দির ছিল না কাছে কোথাও
কাছে ছিল – আরতি শঙ্খ ঢাক ৷

মনে পড়ায় আমাকে কেউ জীবনের ডাক এপারে রোজ
আমার একান্ত মন বলে– মৃত্যু দিনের ডাক ওপারে'ই থাক ৷
____________________________________
© অনুপ দত্ত
অবসর ঘর- কোলকাতা/২৯-১১-২০১৬ / রাত-১২টা

।। ভালোবাসতে চাই ।।



     আবার ,হ্যাঁ ঠিক আবার , ছন্দপতন
হিমালয়ের উপর বেঁয়ে চলা হিমশৈল ..গঙ্গোত্রি।।
ভালোবাসতে চাই ..আবার
বাস কিংবা স্টেশনে ..জন সমুদ্রে
মৃত্যুর মিছিলে ..মোমবাতিও ঠিক জ্বলে
মরে যায় ভালোবাসা ..আর কাছে আসার
দিন গুলি ..মিষ্টি ছোঁয়ায় উষ্ণতায়
             একশো চারের জ্বর ।
গোলাপের কাঁটায় যে ক্ষতটা রেখে গেছে
যে যন্ত্রনায় অর্ধমৃত মন ..সবটা আজ  প্রাক্তন ।।

তবে আজও
ভালোবাসি ..
হ্যাঁ আমি ভালো যে বাসতে চাই
অতীতকে নয় ..নাহ ভবিষ্যৎকে
শুধু এই বর্তমানকে
হ্যাঁ শুধু  এই বর্তমানের "তোমাকে"
             ..রিয়্যালিটিটা যে এখানেই ।।
 __________________________
© জ্যোতির্ময় রায়
৩০/১১/১৬

।। ভুলে যেতে চাই ।।


 ভুলে যেতে চাই তোমাকে
 রাখতে চাই না আর মনে ,
 সারাদিন সারাক্ষন তোমার
 মুখটা আমাকে তাড়া করে বেড়ায়
 কিছু করতে পারিনা, সব ভুল
 হয়ে যায় । তোমার কাঁজল কালো
 চোখ দুটো মিটিমিটি হাসে আর
 বলে কি হলো আবার ভুল হয়ে
 গেলতো ? কোনো দিন দেখিনি
 তোমাকে, শুধু কল্পনায় এঁকেছি ।
 একটা বৃষ্টি ঝরা রাতে কথাকে
 সঙ্গে করে মেঘের ভেলায়
 এসেছিলে আমার কাছে , জানি না
 কোথা থেকে এসেছিলে সুনামিকে
 সঙ্গে করে আমার কাছে কল্পনার
 পথ ধরে i  সুনামি হয়ে আছড়ে
 পরেছিলে আমার কামনায় ।
 ওই একটি রাতে তুমি আমাকে আমার
 যৌবনের শিখরে তুলে নিয়েছিলে I  
 রাত জাগা পাখির মতো তুমি আর    
 আমি দুজনেই দেখেছি ক্লান্ত ভোর
 হতে i আর খুঁজে পাইনি তোমাকে।
 কখনো দেখেছি শ্রাবনের কালো মেঘে
 তোমার কেশ রাশি,  তোমার চোখের
 বিদ্যুতের ঝিলিক, আবার কখনো
 পেয়েছি শান্ত স্নিগ্ধ বসন্তের দখিনা
 বাতাসে তোমার শরীরের হাসনাহানার
 গন্ধ i   আজ হটাৎ সব কিছু কেমন
 হারিয়ে গেলো,  আকাশের গায়ে আঁকা নেই
 তোমার চোখ দুটি,  বাতাসে নেই কোনো
 হাসনাহানার গন্ধ i  তুমি হারিয়ে গেছো
 আমার কাছ থেকে i  আর খুঁজবোনা
 তোমাকে, শুধুশুধু কষ্ট পাওয়া মনে i
 তার থেকে এই বেশ .......
 ভুলে যেতে চাই তোমাকে ... তবু
 থাক না একটু খানি স্মৃতির আবেশ i

 ********
©শ্যামল নিয়োগী

।। লঙ্কাকান্ড ~ দ্বিতীয় পর্ব।।


অকপট ব্রতকথা- ১৩
সংক্ষিপ্ত রামায়ন
**************
শোন শোন ভক্তজন শোন বীর গাথা।
রামায়ণে লঙ্কাকাণ্ডে পরের যা কথা ।। 

মহা সৈন্য সজ্জা করে রাবণ সমরে ।
নল, নীল, অঙ্গদ ও টিকিতে না পারে ।।

লক্ষ্মণও পারিল না রাবণের সাথে ।
ব্যতিব্যস্ত হইল সে বাণের আঘাতে ।।

শ্রীরাম ধণুক তার ধরিলেন এসে ।
দশাননে পর্যুদস্ত করিলেন শেষে ।।

সন্ধ্যা নামিলে শ্রীরাম বলে দশানন ।
"লঙ্কায় ফিরিয়া যাও ভঙ্গ করি রণ" ।।

বলিল বিশ্রাম নিতে গিয়ে তার ঘরে।
আগামীতে দেখা হবে সম্মুখ সমরে।।

ক্লান্ত অবসন্ন হয়ে ফেরে লঙ্কাপতি ।
তাছাড়া ছিলনা তার আর কোন গতি।।

বড় বড় যোদ্ধা যত রণে মারা গেল ।
তবুও রাবন রাজা ভীত নাহি ছিল ।।

যখন হারিল নিজে করে পলায়ণ ।
অতঃপর মনে ভীত হল দশানন ।।

রামকে দেবেন শিক্ষা এইকরে মনে।
স্থির করে কুম্ভকর্ণে পাঠাবেন রণে ।।

কুম্ভকর্ণ এক সাথে শত মন খায় ।
ছয়মাস জাগে আর ছ'মাস ঘোমায় ।।

একদা ছিলেন রত ব্রহ্মার সে তপে ।
কায়মনে কুম্ভকর্ণ ব্রহ্মা নাম জপে ।।

পরিতৃপ্ত হয়ে ব্রহ্মা তপস্যায় তার । 
বলিল চাহিতে বর তখন সেবার ।।

চাহিতে সে ব্রহ্মাদেবে ইন্দ্রের আসন ।
ভুল করে চেয়ে বসে তিনি নিদ্রাশন ।।

ব্রহ্মাদেবে দেবরাজ করিল চালিত ।
সরস্বতী জিহ্বা তার করে আন্দোলিত।।

ঢাক ঢোল কাঁসর কী বাজানোর ধুম ।
ছাড়িল না সেই তার অসময়ে ঘুম।।।

একশত হস্তি গাত্রে উঠে করে শোর ।
তবুও না ছাড়ে তার সে ঘুমের ঘোর।।

অবশেষে ঘুম তার ভাঙিল তা বটে।
মাংস, সুরার গন্ধে উঠে বসে খাটে ।।

ভোজন করিয়া শেষ কুম্ভকর্ণ বলে ।
জাগিয়াছে কেন তারে এখন অকালে ।।

উত্তরেতে দশানন বলিলেন তারে ।
যাইতে হবে ত্বরা তাহাকে সমরে ।।

যখন ঘুমেতে ছিল ছয় মাস কাল।
নর, বানরে লঙ্কার করে মন্দ হাল ।।

নিদ্রা হতে জাগি বীর যুদ্ধ ভূমে যায় ।
বানরেরে ধরে সবে গিলে গিলে খায় ।।

রাক্ষস তো নয় শুধু, যেন সে পাহাড় । 
বানরেরা উড়ে যায় নিশ্বাসে তাহার ।।

সুগ্রীব, অঙ্গদ তারা আসিল সমরে ।
কুম্ভকর্ণের বিক্রমে তারা ভয়ে মরে ।।

আনিয়া পাথর গাছ ছুঁড়ে মারে তারে।
সকল হইল গুঁড়ো তাহার প্রহারে ।।

লক্ষ্মণ আসিয়া তারে করিল আঘাত।
কুম্ভকর্ণ রোষে হল সে ও কুপোকাত ।।

রামেদেখি কুম্ভকর্ণ হয়ে ক্রোধমতি ।
দেখিয়া গিলিতে তারে গেল শীঘ্র অতি।।

অতঃপর রাম তাঁর ধরিল ধণুক ।
সকলের দেখে করে দুরু দুরু বুক ।।

মহা যুদ্ধ শুরু রাম করিল এবার ।
বাণে বাণে চারিদিক হল অন্ধকার ।।

হাত-পা কাটিল তার রাম দুই বাণে ।
তবুও গিলিতে গেল তাহারে সেক্ষণে।।

বিলম্ব না করে তিনি মারিলেন তীর ।
ইন্দ্র- অস্ত্রে তিনি তার উড়াইল শির ।।

মারা গেল মহাবীর কুম্ভকর্ণ রণে ।
লঙ্কায় কান্নার রোল পড়িল সেক্ষণে।।

প্রতিশোধ নিতে রামে তাদের পিতার।
কুম্ভ ও নিকুম্ভ রণে আসিল এবার ।।

মহা যুদ্ধ করে তারা সেই মহারণে ।
অবশেষে মৃত্যু হল শ্রীরামের বাণে ।।

পুনরায় ইন্দ্রজীৎ আসিল সমরে ।
ব্যতিব্যস্ত করে তোলে দুই সহদরে ।।

মেঘের আড়াল থেকে মন্ত্রপূত বাণে ।
অজ্ঞান করিল তিনি রাম ও লক্ষ্মণে ।।

তাদেরকে জ্ঞানশূণ্য দেখে বানরেরা ।
ক্রন্দন করিতে থাকে যেন পির্তৃ হারা।।

বাণরের মধ্যে ছিল জাম্ববান বীর ।
সকলকে শান্ত করে হতে বলে ধীর ।।

হনুমানে ডাকি তারে বলিলেল যেতে।
ঔষধ আনিতে বলে কৈলাশ পর্বতে ।।

কৈলাশ ,ঋষভ দুই পর্বতের মাঝে ।
মৃতসঞ্জীবনী মেলে ঔষধি এক যে ।।

তাহার নির্যাস যদি কেহ এনে দিত ।
শ্রীরাম লক্ষ্মণ তবে হইত জীবিত।।

শুনিয়া সে কথা বীর পবন নন্দন । 
এক লাফে হিমালয়ে গেলেন তখন।।

ঔষধি লহিয়া বীর ফিরিল লঙ্কায়।
তার গন্ধে দুই ভাই চক্ষু মেলে চায়।।

ঔষধের গুণে তারা উঠিয়া বসিল ।
জয় জয় রাম ধ্বনি সকলে করিল।।

অতঃপর 'মহোদর' আর 'অতিকায়'
'ত্রিশিরা' 'মকরাক্ষ' 'বীরবাহু' যায়।।

'দেবান্তক' 'নরান্তক' যত যোদ্ধা ছিল ।
একে একে রণে সবে মারা যে পরিল।।

লঙ্কার অনেক বীর রণে গেল মারা।
রাবণ 'তরনীসেনে' করিলেন খাড়া ।।

বড় ধার্মীক 'তরনী' রামে ভক্তি করে ।
রাবণ অন্নে পালিত তাই সে সমরে ।।

তার পুত্র না বলিল রামে বিভিষণ।
রাম ভাবে শত্রু কোন হবে একজন।।

মারিল তাহারে বাণ যত রঘুমনি ।
বাণেতে কাটিল বাণ সকল তরনী।।

বড় বেগ দিল রামে তরনী সে বটে ।
ইচ্ছা তার মরে যেন শ্রীরাম নিকটে।।

ধনুকেতে গুন দিয়া চালাইল তীর ।
ব্রহ্ম অস্ত্রে কাটে রাম তরনীর শির ।।

বানরেরা জয়ধ্বনী করিল তখন ।
পুত্রশোকে হাহাকার করে বিভিষণ।।

তরনীকে নিল তুলে বিভিষণ কোলে।
সর্বাঙ্গ ভাসায় তার নয়নের জলে ।।

জিজ্ঞাসিল তারে রাম কান্নার কারন।
বলিল , তরনী ছিল তাহার নন্দন ।।

করেছে কি ভুল ভেবে কাঁদে রঘুপতি।
বিভিষণ শোকে হল তিনি সমব্যাথি।।

তরনীর মৃত্যু কথা শুনে লঙ্কেশ্বর ।
রাজাসন থেকে পরে ভূমির উপর ।।

শোকাতুর দশানন ডাকে ইন্দ্রজীতে ।
বলিল যাইতে পুত্রে রামে শিক্ষা দিতে।।

রামের করিতে বধ, নিকুম্ভিলা ঘরে।
মহা এক যজ্ঞ শুরু ইন্দ্রজীৎ করে ।।

জিজ্ঞাসিল রামচন্দ্র কহো বিভিষণ ।
কিভাবেতে ইন্দ্রজীৎ হইবে নিধন ।।

মহাবীর ইন্দ্রজীৎ ব্রহ্মার সে বরে ।
তাহাকে নিধন করা কঠিন সমরে।।

যজ্ঞ তার ভঙ্গ যদি করে কোন জন।
তার হস্তে ইন্দ্রজীৎ হইবে নিধন ।।

যজ্ঞভঙ্গ করিবারে লক্ষ্মণে বলিল ।
বিভিষণ সঙ্গে সে নিকুম্ভিলা গেল ।।

দ্বার রুদ্ধ করে থাকে কাকা বিভিষন।
অস্ত্রহীন ইন্দ্রজীতে মারিল লক্ষণ ।।

নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে করি মনে পণ ।
ব্রহ্মাস্ত্রে করিল তার মস্তক ছেদন ।।

দ্যুত মুখে শুনি তার মৃত্যু সমাচার। 
পুত্র হারা দশানন কাঁদে বারবার।।

জননী চিত্রাঙ্গদার শূন্য হল কোল।
রক্ষোপুরে উঠিল যে ক্রন্দনের রোল ।।

বীর শূন্য লঙ্কাপুরী করে হাহাকার।
দশানন রনসজ্জা করিল আবার ।।

রামায়ণে সংক্ষিপ্তে করিনু বর্ণন ।
হইলনা 'লঙ্কাকাণ্ড' কথা সমাপণ ।।

'ব্রতকথা' কায়মনে যে করে শ্রবণ ।
পূণ্যলাভ হয় আর আনন্দিত মন।।

লঙ্কাকাণ্ড চলবে.....
___________
@সুব্রত অধিকারী

Tuesday, 29 November 2016

।। শিকল বাঁধা মন আমার ।।




মনটাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছি
যদি মন চলে যায়,
যদি মন উড়ে যায়,
যদি সে ভেসে যায়

মনটাকে শক্ত করে বেঁধে রেখেছি
যদি তাকে ছোঁয়া যায়,
যদি তাকে ধরা যায়,
যদি তাকে পড়া যায়

মনটাকে মুঠো করে ধরে রেখেছি
হররোজ হিসাব নিয়েছি-
ডেবিট ক্রেডিট মিলিয়ে নিয়েছি-
নিয়ত নিজেকে শাইলক করেছি
______________
© ফিরোজ আখতার

।। স্বপ্ন - রঙ ।।



মেঘগুলোকে মুঠো ক'রে যেই না ধরতে যাব ...
খিলখিলিয়ে বলে -- ' আয় তোকেই ভেজাব
বৃষ্টিজমা জলে কাগজ - নৌকো ভাসাতেই
পাল তুলে সে ডাকে ----
' হারিয়ে যেতে মানা নেই
আকাশে রাততারা যখন
একে একে মুখ দেখালো
চোখের তারাও ঝিকমিকিয়ে সেদিকেই তাকালো 
মেঘে - বৃষ্টিতে ভেসে ভিজে
' মন - মাঝির ' সাথে দেখা
বাড়ানো দুই হাতে তার ' রামধনু ' রঙ মাখা 
হাসতে হাসতে আমাকে
সে ছুঁয়ে দিল যেই ---
পলক ফেলতে পৌছে গেলাম ' স্বপ্ন সায়রে ' ই !
সায়র জোড়া স্বপ্ন - মুকুল
রাশি রাশি ফুটন্ত ....
রঙবেরঙের কোমল পেলব -- সুবাস অনন্ত !
এক এক করে স্বপ্ন - মুকুল তুলি কোঁচড় ভরে
উপচে কোঁচড় আবার
ঝরে পড়ে যায় সায়রে !
উপুড় চুপুড় স্বপ্নমুকুল বাছাই করে নিয়ে ....
আশ মিটিয়ে সায়র থেকে
পা' না বাড়াতেই ---
খালি কোঁচড় গেল কোথায় ?!
কিছুই তো নেই
এদিক ওদিক খুঁজে শেষে তাকাই নিজেতে ...
দেখি ' স্বপ্নরঙ ' যে লেগেছে
দু - চোখের পাতাতে !!


_________________
© সুচরিতা মুখোপাধ্যায়

।। নীলানুরাগ ।।



নীল - চাঁদোয়া ঢাকা শরীরের অনুভূতি

উষ্ণতায় ভরা বিছানা, বালিশে ঘুম ঘুম শব্দ
পরশে চাহিদার ছোঁয়া আর
চুম্বনে প্রেম প্রেম গন্ধ

নীল -চাঁদোয়া ঢাকা শরীরের অনুভূতি

এক পরশেই ব্যাকুল করে দেয় অভিসারিকার অভিরুচি
তীব্রতার আদরে ভরা এক অনুরক্তার
প্রেমপরশ , যা ----------
মেলে না কখনও অভ্যাসী ভার্যার কাছে
এক পরশেই যেন শ্রান্ত করে দেয়
সেই চেনা শরীরী পরশ
তীব্রব্যাকুলতাবিহীন অনুভূতি অনুভব করায়
সে রক্ষনশীল ভঙ্গিমা ...........

নীল - চাঁদোয়া ঢাকা শরীরের অনুভূতি

সবচেয়ে প্রিয় সেই তনুমহিমার আলোকদ্যুতি
তা যে এত কাছের , এত আপন যা ----
ভেঙে দিতে পারে
সামাজিক বাধ্যতার বহনীয় রীতি  ।

নীল - চাঁদোয়া ঢাকা শরীরের অনুভূতি .............


___________
© শম্পা বিশ্বাস

Monday, 28 November 2016

।। রাত জাগা পাখি ।।



যদিও আমি আটপৌরে ভাবনাগুলোকে সুতোই গাঁথতে পারিনা;
তারপরও নতুন শব্দের যৌবন আমাকে উত্তেজিত করে...

আমি রাত জাগা পাখি হই।

যে পাখি ভোরের সূর্যের নরম আলোয়-
ঠোঁট রেখে শুষে নেয় রৌদ্রর প্রখরতা,
যেন পৃথিবীর কোমল বুক না ফাটে কষ্টের ঝাঁঝে...

প্রতিদিন প্রতিজ্ঞা করি আমি
কবিতার জলসায় যাবোনাকো আর,
বাক্যের কৌমার্যে হবোনাকো বশিভূত-
তবু জানিনা কোন যাদুমন্ত্রে হই পরাভূত,
জানিনা কেনোইবা ভাঙি সে ওয়াদা প্রতিবার...

আসলে 'কবি' শব্দটাই এক ভিন্নজাতের,
এতেই মিশে আছে আজন্ম যৌবনপরাগ-
আরো আছে যেন আশ্চার্য মাদকতা,
কবিতার শরীরে ভর করে থাকে যেন অদ্ভুত সব ফ্লেভার!

গ্রহের দুষ্টচক্রে মিথুন জাতক আমি,
তাইতো কথার চাতুর্যে কখনো কখনো শব্দের মালাগাঁথি,
তবু আমার লেখাগুলো কবিতা নয়
আমাকে ভুলেও কবি বলোনা কেউ-
হে সুহৃদ সুজন হে সারথি!


______________
© মোশ্ রাফি মুকুল

।। প্রেম আধার ।।

তোমার প্রেমের সুধা করেছি অনুপান,
তোমার সাথেই শুরু যৌবন অভিযান।
আজও আমি করি তার নির্যাস চয়ন,
তাতেই গড়েছি জীবনের উন্মুক্ত অয়ন।

তুমি যখন নেমে আসো জলপ্রপাত হয়ে,
আমার খুশির প্রবাহ থাকে অপলক চেয়ে।
সাগর স্রোতের উছলতায় পবিত্র ভালবাসা,
মোহনায় মেশে নদী অববাহিকা বুদ্ধিনাশা।

পাষান হারিয়ে ফেলে নিষ্ঠুর রুক্ষ নির্মমতা,
তোমার স্নেহের পরশ কখনও চায় নির্জনতা।
বক্ষমাঝে দুর্বল আতঙ্ক ভাসে হারাবার ভয়ে,
কখনও তুমি বুঝি পরো অন্য কারর হয়ে।

ভালবাসার আধারকে দিয়োনা কভু মলিনতা,
জীবনে চরম পাওয়ায় রেখো সদা মানবতা।
তোমার সাথেই আমি চলতে চায় রাজপথে,
লোকে নাই ভয় তোয়াক্কা করিনা জনস্রোতে।

তোমাকেই পেতে চাই দিয়ে সকলি বিসর্জন,
ভালবাসি তাই করি সুপ্ত প্রেমের আবাহন।
তুমিই প্রথম প্রেম, সুখে দুখে চাই নিরন্তন,
তোমাতেই বিলায়ে সব রইবো সাথে অনুক্ষণ।



__________
© নির্মল সাহা