গতকাল আমার বাড়িতে বসেছিল
এক কবিতার আসর
গুরু গম্ভীর ব্যাপার , নয় হাস্যকর
বলতে পারো সব মহিলা কবিদের জমায়েৎ
কেন ? জিজ্ঞাসা কোরেো না
দোবো না কোনো কৈফিয়ৎ
গোটা চোদ্দো জন সুসজ্জিতা মহিলা
খোঁপায় ফুল সুবসনা , সবাই ঝিংগা লালা
শুরু হল কবিতা পড়া
দেখতে হবে তো এখন কে সেরা
দুটি পুরস্কার—সেরা কবি আর সেরা সাজ
লুক টাও খুব প্রাধান্য পায় আজ
দোলটা সবে গেছে তেমন গরম নেই
সংধ্যা টা জমবে মনে হয় আজ
কবিতাই হোক, নেই আর তেমন কোনো কাজ
গোটা সাতেক কবিতার পর
শুরু হল চা পর্ব সঙ্গে ডান হাতের কাজ
চিংড়ির চপ , কেক আর চা
যাবার সময় আইসক্রিম আর ল্যাংচা
এই ছিল মেনু , শুরু হল আড্ডা , গল্প গাছা
ইস্ । চিংড়ি দারুণ , ঘটিদের মর্যাদা
কি বললি ? চেঁচিয়ে উঠল কাকলি
রাগছিস্ কেন ,চিংড়ি তো একটা পোকা
উঠে দাঁড়ালো রমা —খাস্ কেন তবে , বোকা
যাই বলিস ইলিশের জুড়ি নেই , বল্ হ্যাঁ কি না
লাফিয়ে উঠল আলো
মহাশ্বেতা ,রুমুন, সুলতানা
তোদের ইলিশ ? চরিত্রহীন বলল নাজনীন
লাফিয়ে উঠলো — সর্ব্বাণী , মেহবুবা , তনু
কচি কিশোরী ইলিশ পেটে পেটে ডিম ,
বুঝলি হনু ?
বাজার ছেয়ে গ্যাছে , সবকটা গর্ভবতী
অতঃ কিম
চেঁচালো রিমঝিম
আমার কুশন গুলো ছোঁড়াছুঁড়ি
খোঁপার ফুল এলোমেলো
ছিঁড়ে গেছে সব পাঁপড়ি
ইন্দ্রাণী বলল —ইলিশের স্বাদে
বাঙাল দের যত তেজ
মিঠু বলে —ঘটিরা শুরু কর্
এবার খাওয়া ভেজ
চিংড়ি নাকি পোকা —প্রমাণ কর , বললো কৃষ্ণা
স্প্রাইট খাব মাথা ঝিমঝিম করছে
বলল শুভ্রা আর তৃষ্ণা
কোথায় গেল কবিতার আসর
শুরু হল চেঁচামিচি , বাজছে হাজারটা কাঁসর
যাঃ ভেস্তে গেল শনিবার , তুলে রাখ্ পুরস্কার
আবার হবে আসর এখানেই সামনের রোববার
নো চিংড়ি নো ইলিশ এবার থেকে সব ভেজ ভেবে দেখো—ঘটি না বাঙাল্ কার বেশি তেজ
আইসক্রিম ল্যাংচাটা দে , খেয়ে বাড়ি যাই
যুগ যুগ জিও কবিতার আসর , টা টা বাই বাই
****************************************
©কাজল ঘোষ /কবি ঘর /সল্ট লেক /কলকাতা
No comments:
Post a Comment