ওই সিন্দুকের চাবিটা যদি পেতে, দেখতে মুহূর্তরা অপেক্ষায় নিজেদের মেলে ধরার জন্য। হিম হয়ে থাকা কত কান্না, শতাব্দীর পরতে পরতে। যদি ছুঁতে পারতে, ওরা নিশ্চিত গলে যেত। জানি, প্লাবনে বড় ভয় তোমার। কিন্তু তারপরেও যে একটা মিষ্টি, অন্যরকম ভোর থেকে যায়, নতুন করে ভাবার, দেখার, জানার, চেনার। ওকেও, নিজেকেও।
কি বলছ? ও বড়ই অগম। হোক না, ক্ষতি কি? সূর্যোদয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা কিমবা নিতান্তই আটপৌরে চাঁদ, ওরাও তো তোমার-আমার সীমানার বাইরে। তবুও তো কি সুন্দর, কি মন ভাল করে দেয়া। ছুঁতে না পারলেও, মনে হয়না ওই লাল-সোনালি রঙ আমার জন্যে? আজকের জ্যোৎস্নাটা বড়ই খুশিয়াল, শুধু আমি দেখছি বলে?
যে মানুষটা সারাক্ষন চোখের সামনে - কলঘর, হাতা-খুন্তি, home task, রুমাল, tv, বই এবং শোয়ার ঘরের একান্ত মুহূর্তে। যাকে ইচ্ছে করলেই উল্টেপাল্টে দেখা যায় - নানা পোশাক পরিয়ে অথবা না পরিয়ে, আলো অথবা অন্ধকারে। অনায়াসেই ভিজিয়ে দিতে পার তাকে, সেও ভিজে যায়। কিন্তু কামশাস্ত্র ঘেঁটে ফেলা সঙ্গমের পরও কি মনে হয়না কি যেন পাওয়া হলনা? কিছু মহার্ঘ আজো আছে বাকি? ভেজাতে তো পারোই তুমি সহস্র কামকলায়, কিন্তু দেখেছ কি কখনো তার চোখে চোখ রেখে, তাকে বৃষ্টি হয়ে যেতে?
হয়তো জান তুমি। হয়তো তুমিও কাঁদো তার করুণ আদ্রতার ছোঁয়ায়। তাই হয়তো সমস্ত জানালা-দরজা বন্ধ করে দিয়ে, তাকে করে তুলতে চাইছ আরও তুমিময়, তুমুল বিপন্নতায়। হয়তো তাই পবিত্র ক্ষোভে মুখ ঘস পাথরের নারীতে, অমৃতের আশায়। কিন্তু এতে তো আরও ক্ষয়ে যাচ্ছ তোমরা, ক্ষইছে না শুধু চাবি না পাবার ক্ষোভ।
ওরা তো সময়ের শুরু থেকেই বসে আছে প্রতীক্ষায়, চাবিটা তুলে দেবে বলে। কিন্তু নিতেও যে জানতে হয় বন্ধু। যদি পারতে, দেখেতে - ভাঙা স্লেট পেন্সিল, ষোলোর শুকনো গোলাপ আর এখনকার নীল খামের পাশে তুমিও আছ বড়ই যত্নে।
ভালো রেখ, ভালো থাকবে তাহলে।।।
______________________________
© শোভন বাগ
No comments:
Post a Comment