Monday, 7 December 2015

হ্যালুসিনেশন

টাটকা অনুভূতি 
**************

হঠাৎ করে মিনিট দশেকের জন্য চোখটা লেগে গেছিল। পুকুর ধারের জানলাটার ফাঁক দিয়ে আসা এক পলকা ঠান্ডা বাতাসে শিহরিত হতেই ঘোরটা কেটে গেল।
 

আজ একটু তাড়াতাড়িই স্কুল থেকে ফিরলাম। এই পরীক্ষা সিজিনে এই প্রথমই মনে হয় একটু তাড়াতাড়ি ফিরলাম। নাহলে পরীক্ষা শেষ হলেও আমাদের কাজ শেষ হয় না। রোজ সেই চারটেতেই স্কুল থেকে ফেরা।

আজ ফিরেই আমার দ্বিতীয় মায়ের হাতে গরম গরম ডিম-এ-খাস চেখে ওপরে আমার চিলেকোঠায় এলাম। এক আজব নিস্তব্ধতা সারা ঘর জুড়ে আমার। নিজের নিঃশ্বাসের আওয়াজও শুনতে পাই আমি। খাতা জমা দেওয়ার তাড়া আছে তাই গায়ে গোলাপী চাদর টা জড়িয়ে নাইনের খাতার বান্ডিল খুলে বসলাম। খাতা নিয়ে একটু বসতেই সকাল থেকে ভার হয়ে থাকা মাথা আরো যেন ভার হতে লাগলো। "চশমাটা পরা উচিত"- এই ভেবে উঠলাম আর শুরু হলো চশমা খোঁজা। সাইড ব্যাগের সব চেন খোঁজা হলো,বইয়ের তাক খুঁজলাম-কোথ্থাও পেলাম না। আনমনে নীলু(আমার বোন)কে ডাকতে লাগলাম,"নীলু আমার চশমাটা কই রে..!!"তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো,"এখানে নীলু কোথায়..!! আমি তো একাই.." শেষ পর্যন্ত না পেয়ে হতাশ হয়ে আলমারির সামনে বসলাম। চোখ তুলে আলমারির আয়নায় দেখতেই দেখলাম যে চশমা তো আমার চোখেই। কখন পরেছি মনেও নেই। মনে করার চেষ্টাও করে পারলাম না। তারপর বেশি না ভেবে খাতা নিয়ে বসলাম। খাতা দেখতে দেখতে কখন যে বালিশে এলিয়ে পড়লাম আর ঘোরে আচ্ছন্ন হলাম কে জানে !!

সে যাই হোক, মিনিট দশেকের ঘোর কাটতেই দেখলাম বিছানায় এক বড় কালো মাকড়সা হাঁটছে। একটু হঠকারিতা নিয়ে উঠে বসে দেখি কিনা সেটা আর নেই। চোখের সামনে এক্ষুনি ছিল আবার এক্ষুনি নেই। সত্যিই কোনো মাকড়সা ছিল কিনা সে বুঝে উঠতে পারলাম না।

আজ আরো এক আজব অনুভূতি হলো। স্কুলে আজ 'ইস্কন',নদীয়া থেকে একজন সাধক বিভিন্ন বই নিয়ে এসেছিলেন-সোজা কথায় বিক্রি করতে। ভগবৎ গীতা, শ্রীকৃষ্ণ কথা, শ্রী চৈতন্য চরণামৃত ইত্যাদি নানা ধর্মীয় বই ছিল ওনার কাছে। প্রতিটা বইই আমার সামনে বসে আমার হাতেই দিচ্ছিলেন তিনি। একটা আজব গন্ধ বইয়ের পাতাগুলোতে। ওনার কাছে ধূপের প্যাকেটও ছিল। সম্ভবত সেই ধূপেরই গন্ধ পাতাগুলোতে। বইয়ের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে সেই গন্ধ আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল আর কেন যেন মনে হচ্ছিল কোনো মৃত্যু বাড়িতে কোনো মৃতদেহের সামনে জ্বালানো ধূপের কাছে বসে আছি। বারবার এই অনুভূতিতে সারা গা গুলিয়ে উঠলো। আমি পাশের দিদিমনির হাতে বইগুলো ধরিয়ে উঠে পড়লাম আর বাইরে চলে গেলাম।কিন্তু সেই গন্ধ ও তার অনুভূতি... স্কুল থেকে ফেরার পথে রাস্তাতেও পেলাম, রুমে ফিরে এসে পেলাম আর এখনো লিখতে লিখতে পাচ্ছি।
এক একটা অদ্ভুত অনুভূতি আসছে আর তার কারণ কী জানি না ।

হ্যালুসিনেশন ঘটে শুনেছি। আমার সাথে কি তাই ঘটছে...!! যে জিনিস নেই দেখতে পাচ্ছি, যে বস্তু নেই তার ঘ্রাণও পাচ্ছি। আনমনে এমন সব কাজ করছি যা সত্যিই পরে ভাবাচ্ছে ।

হ্যালুসিনেশন হোক আর নাই হোক এইসকল অনুভূতির কী কোনো ব্যাখ্যা আছে....!!!
.
.
কে জানে......!!!!!

~ শেহনাজ আলম


Thursday, 3 December 2015

নিরুত্তরের বাস

টাটকা অনুভূতি 
**************

সকালে অনলাইন থেকেই জানলাম যে আজ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস। প্রথমেই মনে হল আজ তো আমারই দিবস। একটু স্মিত হাসি মুখ নিয়ে স্কুল বেরোতে বেরোতে 
Malabika দি কে বললামও "দেখ আজ আমার বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস, মানে আমারও দিবস । সেও আমাদের স্বভাবসিদ্ধ খুনসুটি তে বুক বাঁকিয়ে দিল। তারপর চললাম স্কুল। সারাদিন পরীক্ষার ইনভিজিলেশন ও একটু আধটু ফেসবুকে উঁকিঝুঁকি করে দুপুর গড়ালো।
কদিন যাবৎ শরীরটাও আর তেমন সাথ দেয় না।
তাও কিছু রুটিন কাজ তো করতেই হয়।
আজ বৃহস্পতিবার, তাই আজ আমার মনের শান্তির খোঁজে পাড়ি দেওয়ার দিন আমার এক অতি আপন স্হানে মানসিক প্রতিবন্ধকতা জয়ের উদ্দেশ্য। আসলে সবই এক বাহানা নিজেকে ভালো রাখার।
ফেরার পথে এক অল্প বয়স্ক যুবককে রাস্তার ধারে গান গাইতে শুনলাম। বেশ সুরেলা গলায় কোনো এক গান গাইছে। কথা বুঝতে পারা যাচ্ছে না কিন্তু সুর কানে লাগছে তার। আধফাটা জামা, দারিদ্র্যতা ঠিকরে ঠিকরে পড়ছে তার সমস্ত অবয়ব থেকে। কিন্তু তার মুখে এক অদ্ভুত প্রশান্তি। হঠাত্‍ করে আমার নজর থামলো তার পায়ে, দুটো পা-ই তার গোড়ালি থেকে নেই। মাটির ওপর যেন দুটো বাঁশ তার দেহের ওপরের অংশকে ধরে রেখেছে। প্রকৃত এক প্রতিবন্ধীকেই দেখলাম আজ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে।
আমরা নজর ঐ যুবকেই আটকে থাকলো বেশ কিছুক্ষণ। এত বড় শারিরীক প্রতিবন্ধকতা তবু সে কত প্রাণোচ্ছল ; হয়তো অনেক সমস্যা তাকে ঘিরে বাস করছে। সে হয়তো তার প্রতিবন্ধকতা কে জয় করতে পেরেছে। কেমন যেন অস্থির হয়ে উঠলাম এসব ভাবতে ভাবতে।
তারপর অজস্র চিন্তা ঘিরে ধরলো। মুহূর্তে মানসিক প্রতিবন্ধকতা তার স্বরূপ নিয়ে হাজির হলো আমার মনের আঙিনায়। মৃদু মৃদু শীতল বাতাসে চোখের কোণে উষ্ণতা ঝরে পড়লো।
তারপর..........
আসলে প্রতিবন্ধকতা প্রতি পদে পদেই এসে দাঁড়ায়। আমি একা নয়, প্রতিটা মানুষের জীবনেই চলে নিজের নিজের সমস্যার প্রতিবন্ধকতা । কেউ জয় করে, কেউ কেউ জয় করার চেষ্টা করে, আর কেউ বা হাজার চেষ্টা করেও জয় করে উঠতে পারে না।
 

ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে এলো। মনে একটাই প্রশ্ন বেশ কয়েকবার ঘুরপাক খেল, "কে বেশী প্রতিবন্ধী ; আমি না সেই রাস্তার ধারের পা হীন যুবক....!!!"

উত্তর পেলাম না..........

~ শেহনাজ আলম 

Thursday, 5 November 2015

অকৃত্রিম অনুভূতি

টাটকা অনুভূতি 
**************

ছুটিতে বাড়িতে বসে বসে আশেপাশের কোনো টাটকা অনুভূতি আজকাল আর মন ছুঁয়ে যায় না বলে গত কয়েকদিন মনটা একটু উসকুস করছিল।

কিন্তু আজকেই এক অকৃত্রিম অনুভূতি অনুভব করলাম।
--------------------------------------------------

আমার মা, বয়স প্রায় পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই । কিন্তু নানা রোগ আর সাংসারিক সমস্যার ভার বহন করতে করতে মা বয়সের অনেক আগেই পঞ্চাশ পেরিয়েছে। অন্তত চোখেমুখের ছাপ তাই বলে। প্রত্যেকের মায়ের মতোই আমার মাও আমাদের কাছে অতি প্রিয়। হ্যাঁ অনেক মান-অভিমান আছে দু'দিক থেকেই তাও কখনো স্নেহের ঘাটতি হয়নি।
 
মা প্রায়ই অসুস্থ থাকে এবং তার নিয়মিত চিকিৎসাও চলছে। গত রাত থেকে মা ভীষণভাবে জ্বরে ভুগছে। কিন্তু মায়ের এবারের অসুস্থতা আমাকে এক অন্য অনুভূতি অনুভব করালো।

আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রায় নিশাচর। প্রায় ঘুম নেই বললেই চলে। কিন্তু গত রাতে দুটোর পর আমি এমন ঘুমিয়েছি যে অসুস্থ গলায় মায়ের ডাকও শুনতে পেলাম না। এদিকে বোনও মড়ার মতো ঘুমিয়ে। অনেক ডাকের পর যখন আমি উঠলাম দেখি মায়ের গা পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে,সঙ্গে তীব্র মাথার যন্ত্রণা । সঙ্গে সঙ্গে যা যা করণীয় করলাম। তারপর এক ভাবনা আমায় নাড়া দিল।

মনে মনে বললাম ," আচ্ছা আমাদের যখন জ্বর হয় বা শরীর অসুস্থ হয়,তখন তো মাকে ঘুম থেকে ওঠাতে হয় না..! সে নিজেই সারারাত মাথায় হাত বুলোতে থাকে নিরলসভাবে। 'ক্ষিদে পেয়েছে' বলার আগেই খাবার হাজির।" আমি যখন সপ্তাহান্তে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে হাতমুখ ধুয়ে শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিই তখন যে মা কীভাবে বুঝে যায় আমার পা টা যন্ত্রণা করছে..!! সঙ্গে সঙ্গে তার কোমল হাতের পরশ আমার পায়ে। এইতো একবছর আগে যখন নার্সিংহোমে তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছি এই মা-ই তো আমায় এক মুহূর্ত ছাড়েনি। সেই যন্ত্রণা যেন সেও প্রতি মুহূর্তে অনুভব করেছিল। মায়ের ঋণ কি আর হিসেব করা যায়..!! ছোট থেকে আমাদের সব যন্ত্রণা বুকে শোষণ করেছে আর আমি.....!!!!

আজ সেই মা যখন অসুস্থ আমি কেন অনুভব করতে পারলাম না..!! সন্তান হিসেবে মায়ের যন্ত্রণায় কেন একাত্ম হতে পারলাম না...!!!
 

এই অনুভূতি নাড়িয়ে দিল এক মুহূর্তে..........

হয়তো সত্যিই মায়ের যোগ্যা মেয়ে হয়ে উঠতে পারলাম না.............!!!!
 

- শেহনাজ আলম
 

Saturday, 3 October 2015

দুই বোনের গল্প


টাটকা অনুভূতি
 


ফারহা ও মাহী দুইবোন - একজনের বয়স ছয় আর একজনের তিন এর একটু বেশী । আমারও সম্পর্কে বোন হয় তারা। ফারহা একটু বড় হয়েছে, একটু পারিপার্শ্বিক বুদ্ধিও হয়েছে, কাকে কখন কি বলতে হবে আর কি বলতে হবে না - সেটুকু সে তার মায়ের কাছে রপ্ত করেছে । আর পুচকি মাহী একেবারে ঠোঁটকাটা । যা মনে থাকে কোনো রাখঢাক না করে একেবারে অকপটে বলে দেয় সব ।
কিছুদিন আগেই কুরবানীর ঈদ গেল । বাড়িময় তো শুধু মাংস
 আর মাংস । বলা বাহুল্য গরুর মাংসই বেশী । ফারহাদের বাড়িতেও গরু কুরবানী হয়েছে তথাকথিত রেওয়াজ মেনেই । 

সে যাইহোক, এখন কথা হচ্ছে দুই বোনকেই বাড়িতে টিউশন পড়াতে আসেন এক বনেদী হিন্দু পরিবারের মধ্যবয়সী এক ভদ্রমহিলা । আমারো বেশ পরিচিত উনি। সারা বছর ধরেই পড়ান কিন্তু কুরবানীর পরে কয়েক সপ্তাহ ওনার একটু বিতৃষ্ণা দেখা যায় বাড়িতে পড়াতে আসার ব্যাপারে। কারণ টা কি সে তো বুঝতেই পারছেন। কিন্তু যাঁদের পেটের দায়ে টিউশন করতে হয় তাদের হাজার বিতৃষ্ণা থাকলেও পড়াতে তো আসতেই হবে। নাহলে ইনকামে মিনিমাম হাজার দুয়েক লস তো হবেই হবে।

কুরবানীর পরদিনই ফারহা আর মাহীর মা তার মেয়েদেরকে মাংস ভাত খাওয়াতে খাওয়াতে বোঝাচ্ছে, " বাবু স্কুলের মিস বা বাড়ির মিস যদি জিজ্ঞেস করে কুরবানীর কথা তোমরা কী বলবে...!!!" ফারহা তক্ষুনি তার বিচক্ষণতা নিয়ে বললো, " বলবো আমাদের ছাগল কুরবানী হয়েছে ।" তখন ওর মা বলে," একদম ঠিক।" কিন্তু মাহী যে ঠোঁটকাটা তার মা খুব ভালো করেই জানে । সে তো আপনমনে মুখে ভাত রেখে আধো আধো ভাবে বললো," কেন..!! আমাদের তো গলু কুলবানী হয়েছে।" যেই বলা ওমনি তার মা ধমক দিয়ে বলে, " ঐরকম বলতে নেই। তাহলে লোকে খারাপ বলবে।" আর সেইসময় চুপচাপ দাঁড়িয়ে মা ও মেয়েদের কথোপকথন শুনছিলাম আর অজানা কারণেই মনে মনে হাসছিলাম ।

আজ এলাম তাদের বাড়ি। আসতেই শুনলাম মাহীর কীর্তি ।
 
তিনদিন আগের ঘটনা......
তাদের মিস পড়াতে এসেছেন আর যথারীতি দুইবোন বইখাতা নিয়ে পড়ার চেষ্টায় । হঠাত্‍ খাতায় পেন্সিলের আঁকিবুকি টানতে টানতে পুচকি মাহী র মাথায় গরু ভর করলো আর তখনই বলে উঠলো , " জানো তো মিস আমাদের কুলবানী হয়েছে ।" কিছু বলার আগেই মিস একটু বিব্রত হয়ে বললেন , " মাহী... আগে লেখা শেষ করো।" একথা শুনে মাহী তার অসম্পূর্ণ কথাটা মনে রেখেই আবার আঁকিবুঁকি টানতে লাগলো। এদিকে ফারহা যথেষ্ট সিরিয়াসলি তার লেখা লিখছে , মাহীর কথায় বিশেষ কান দেয়নি। কিন্তু বিচ্ছু মাহীর পেটে তো তার অসম্পূর্ণ কথা ঘুরঘুর করছে, দুলাইন লিখে আবার বলে ওঠে, " জানো তো মিস আমাদের কুলবানী হয়েছে, কুলবানী তে কী হয় জানো...!!!" এটুকু কথা সে মুহূর্তে ফারহার কানে যায় এবং সে অতি দ্রুততার সাথে বলে ওঠে," মিস আমাদের ছাগল কুরবানী হয়েছে ।" মিস প্রায় নিশ্চুপ। তখনই সেই নিশ্চুপতা ভেঙে মাহী তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলে ওঠে , " না গো মিস , আমাদের গলু কুলবানী হয়েছে। দুটো এই বড় বড় গলু। কত মাংছ । আমি লোজ খাই।" ফারহা বেগতিক দেখে বলে , " না মিস, আমাদের ছাগল কুরবানীই হয়েছে, মাহী জানে না।" মিস বেচারী গরু-ছাগলের আবর্তে পড়ে ভীষণ তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠেন, এমনিতেই একটু এই কদিন কুরবানীর জন্য পড়াতে আসতে একটু বিব্রতই হোন। তার ওপর মাহীর এমন অকপট স্বীকারোক্তি। সব কারণের মিশেলে রাগান্বিত হয়ে দিয়ে দিলেন আর কি স্কেলের বাড়ি দুই বোনকেই । ফারহা চুপ করে সহ্য করে আবার খাতার দিকে মনোনিবেশ করে আর মাহী....................

কাঁদতে কাঁদতে বলে ওঠে, " মিস আমি গলুল চর্বি খেতে খুউউউব ভানোবাসি ।"



------- শেহনাজ
 
03.10.2015


Monday, 24 August 2015

অকপট কথা


উন্মাদের সাথে অনেকে মিলে লেখা

আপনি কি ঘটে চলা কোন রাজনিতীর ঘটনা পরম্পরায় খুশী? বা বিতৃষ্ণ!! বা আহ্লাদিত?? ধর্মের ভারী ভারী বানী গুলো ব্যাখ্য করতে পারছেন না? বা আপনার ব্যাখ্যা আর সকল কে জানাতে চান? নতুন কোনো গল্প পড়লেন? সদ্য দেখা কোনো ফিল্মের বিষয় নিয়ে আপনার মতামত ভাগ করতে চাইছেন ? সামাজিক অবক্ষয় আপনার মনে নারা দিয়ে যাচ্ছে? কোন একটা বিষয় কে যুক্তির জালে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধতে চাইছেন? বা কোন যুক্তি কে খন্ডন করতে চাইছেন, তর্ক দিয়ে?

চেনা অচেনা গানের সুর চোখ বুজলেই শুনতে পাচ্ছেন ? একা ঘরে বসে সঙ্গী পাচ্ছেন না? আপনার মাথায় একটা গল্পের প্লট ঘুরঘুর করছে? বা মাঝরাত্রে কবিতা পেয়েছে? প্রেমে পাগল হয়ে যাচ্ছেন, আর বলার লোক নেই? মনের মধ্যে আদিরসের সঞ্চার হয়েছে? বৃহন্নলার রমন সুখে ঘৃতাহুতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রবল আদিরসাত্বক ঢামালি সহকারে? নিশ্চই আপনার ভবম হাজামের মত অবস্থা??

তাহলে আর ভাবনা কেন? আপনি সঠিক গন্তব্যেই তো এসেছেন। মন খুলে আপনার মনের ভালো লাগা মন্দ লাগা চিৎকার করে ব্যাক্ত করুন, সাদা কালো অক্ষরে। ভালো লাগলে গৌরিসেন হয়ে যান, মন খুলে প্রশংসা করুন  অপছন্দ হলে? মনের ঝাল মিটিয়ে নিন চুটিয়ে সুললিত খিস্তি সহকারে ।

এটা ফেসবুক, পুরাকালের চণ্ডীমণ্ডপ বা রক কালচারের এক আধুনিক রূপ। এখানে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়। রোজ তো আমরা রাজনিতী-শিক্ষা- শিল্প প্রভৃতি বিষয়ের সমালোচনা করে চলেছি । এখন দিনকাল পাল্টে গেছে । নবরত্ন সভার এক রত্ন হবার সকলেই যোগ্য দাবিদার। এখন সবাই আঁতেল সবাই তর্ক রত্ন, যুক্তি থাকনা কমবেশি অকপটে।

জ্ঞানী হলে যুক্তি দিয়ে গপ্পো বা প্রবন্ধ লিখুন, আর তার্কিক হলে আর অন্যের লেখা কে খন্ডন করুন। আর জ্ঞানপাপী হলে চুলকিয়ে আমোদ করুন। কুমরোপটাস কে পছন্দ হলে মেঘমুলুকে ঝাপসা রাতে আবৃত্তি করতে করতে মজারু জোকসের তালে তালে নাচতে নাচতে হাসতে থাকুন, হাসতে হাসতে তক্কো করুন । আমরা-ওরা আপাড়া-বেপাড়া, বেয়াড়া-আঁতেল, সক্কলের জন্য একটাই হুঁকো, দাও টান গড়গড়ায়, ভরা বাজারে না বলতে পারা কথাগুলো কে দিন প্রসব করে অকপটে। গলার থুরি পেনের জোরের পরীক্ষা করে নিন, কিসমে কিতনা হ্যায় দম।
কারো কোন পোস্টে ব্যক্তি আক্রমণ, কদর্য বা অশালীন ভাষা প্রয়োগ বা সাম্প্রদায়িকতা, ধর্ম ও জাতি নিয়ে বিদ্বেষমূলক পোস্ট ছারা যা খুশি করতে থাকুন।

আমাদের আসরাফুল ভাইয়ের কথায়ঃ-
************************************ 
"
এটা অকপট community -- মন খুলে কথা বলার জায়গা !! তার মানে এখানে যে post গুলো থাকবে সেটা সবার মনোঃপুত নাও হতে পারে, আপনার/আমার ideology-র সঙ্গে নাও মিলতে পারে -- এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে যে আমদের সবার চিন্তাধারা কোন না কোন ideology-র দ্বারা প্রভাবিত; যেমন atheism বা apoliticality এর মতো চিন্তাধারাও ideology-র উর্দ্ধে নয়, কেননা mainstream socio-religious/political ideology-র পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাটাও ideological !!

তো যাই হোক, কথা হচ্ছে, আপনার/আমার চিন্তাধারার সঙ্গে মেলে না এমন voices গুলোর আমরা সমালোচনামূলক বিরোধিতা করবো, যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করবো; কিন্তু post এর পিছনে কোন "ষড়যন্ত্রের গন্ধ" শুকতে যাবো না ; অর্থাত আমাদের মতবিরোধ- মতানৈক্য হতে পারে কিন্তু যিনি post করেছেন তার প্রতি আমরা কোন ব্যাক্তিগত আক্রমনের পথে হাটবো না; এখানে কোনো "আমরা-ওরা" lobby নেই, তাই কোনো post কেই "আমরা-ওরা" দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখবো না, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা !! এই community-র সবাই শিক্ষিত, রুচিশীল; তাই রুচিহীনভাবে ব্যাক্তিগত আক্রমনের পথে না গিয়ে আমরা সবাই পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শনের নৈতিক অবস্থানে অটল থাকবো --এটুকুই শুধু বলার "

********************************

এটা প্রাপ্তমনস্কদের ঠেক, সুতরাং ইনহিবিশন ঝেড়ে পুঁছে আসুন, সানফ্রানসিসকো থেকে সানী লিওনি সব একই ব্রম্ভ্বে কেন্দ্রীভূত। বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাতে চাই আমরা, যেখানে ক্রমশঃ মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান । এখানে সকলেই পাঠক আর সকলেই সমালোচক অকপটে। সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি । আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন সমাজ। চোখে আঙুল দিয়ে ভুল গুলো ধরিয়ে দিই। ৬ ইঞ্চি লিঙ্গ থেকে ৫৬ ইঞ্চি ছাতি, সব খবরই দিন। যৌনতায় মাখামাখি হোক না, শুধু পর্ন না হলেই হলো।

পাতি বাংলায় কথা গ্রুপটা হচ্ছে পাড়ার ঠেকের মত বা চণ্ডীমন্ডপের আড্ডা। সেখানে কেও মাল খেয়ে এসে বাওয়ালি করলে যেমন ঘাড় ধরে তাকে বাড়ি পাঠানো হয়, এখানেও ঠিক তাই হবে। এখানে প্রানখোলা আলোচনা করুন অকপটে। সকলে মনের চাপ হালকা করে আনন্দ করি । নিজেদের সমৃদ্ধ করি।

বুদ্ধির ঘরে ধোঁয়া দিয়ে বা চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলতে তুলতে, একটু জটা খৈনি ঠোটের বামপাসে গুঁজে দু দণ্ড সুখ দুখের গপ্পো গাছা করতে ইচ্ছা করলে তাই ই করুন । এখানে লেখক-সাহিত্যিক-কবি বা বুদ্দজিবী বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হবার দরকার নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই, মা মনে আসবে যখন মনে আসবে, সেটাই লিখুন তখনি লিখুন । চপ শিল্প থেকে তোলা শিল্প, যেটা যানেন, সেই বিষয়েই জ্ঞান ঝাড়ুন। অন্যের লেখায় আপনার মতামত দিন অকপটে।

তনিমা তহমিনার কথায়ঃ-
********************************

আপনি আপনার ধর্মকে ভালোবাসেন, ধর্মের অপমান সহ্য করতে পারেন না, ধর্মের নামে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করেন অন্য ধর্মকে খাটো করে, গালাগাল দিয়ে। খুব ভালো , আপনি সাচ্চা ধার্মিক উপাধি পেয়ে গেলেন। কিন্তু মশায়, ধর্ম পালন ক'বেলা করেন? ধর্ম কী তা বোঝেন তো? আপনার ধর্ম যেভাবে জীবন যাপন করতে বলেছে সেভাবে করেন?

এসবের কিছুই করেন না। কারণ কোনো ধর্মে অন্য ধর্মকে খাটো করা, গালাগাল দেয়া , অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষকে হেয় করার আদেশ,নির্দেশ, উপদেশ কিছুই নেই। ধর্ম প্রচার, অন্য ধর্মকে হেয় করার আগে খাঁটি ধার্মিক হয়ে নিন; কাজে দেবে। যদ্দিন ভিন্ন ধর্মকে, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষকে সম্মান, শ্রদ্ধা করতে পারবেন না , তদ্দিন ধর্ম নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। লেবু বেশী কচলালে তিতা হয়ে যায়।

অন্য ধর্মকে আক্রমণ করে যদি নিজ ধর্মকে মহান করতে চান তবে ভুল ট্র্যাকে আছেন আপনি। ধর্মের মত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কটু কথা বলে নিজ ধর্মকে অপমান করে চলেছেন, সাথে নিজের মানটাও খোয়াচ্ছেন।সময় থাকতে ঠিক ট্র্যাক খুঁজে নিন। কোনো ব্যাপারেই বাড়াবাড়ি ঠিক নয়।

**************************************
পুনশ্চঃ- ল্যাচ্ছোর
**************************************
অকপট ভাষ্য সর্বদাই কঠিন পাচ্য, এবং ইহা যুগে যুগে স্বীকৃত ও প্রমানিত। তাহা না হলে গ্যালিলিও থেকে আধুনা কালিবুর্গি কাওকেও বেঘোরে প্রান হারাতে হতো না। মনুষ্য জাতি আত্মবিশ্লেষনে বড্ড আত্মশ্লাঘা অনুভব করে। তাহাদের শুধু পছন্দ অন্যের দ্বারা স্তুতি, আত্মস্তুতি। অন্যথা হইলেই খ্বর্গহস্ত, একা একা হইলে সামান্য অপেক্ষা, দলগঠনের তরে। কারন বরাহের দল সর্বদায় দল বেঁধে যাওয়া পছন্দ করে। প্রসঙ্গত বরাহ বিষ্ণুর অন্যতম অবতার। যদিও আমরা নিজেদের শার্দুলরুপেই দেখে থাকি, আরশিতে ও ভার্যার সম্মুখে। কিন্তু একটা কথা, জলজ সর্পের বিষ থাকে না, কিন্তু সাপের যে নামেই ভয়। ওই টুকুই।

যাদের অম্লশূল, মসালাদার খাবার দেখে তাদেরও লোভ হয়, কিন্তু রসনাশিক্ত হবার আগেই গুহ্যদেশ শিক্ত হয়ে উঠে। অপকট ভাষ্য ও তাই, খাবার দরকার নেই, ঝাঁঝেই তুরুক নৃত্য শুরু হয়ে যায়। সুতরাং উপনিত ফলাফল নিখাদ বক্ষশূল। খালি পেটে বমন করিলে কি হয়? দুর্গন্ধ যুক্ত তেতো পিত্ত উদগিরন হয়। যাহা বমনকারিও সহ্য করিতে অক্ষম। এর পর রয়েছে চক্ষুশূল ও চর্মশূল। সঠিক মলমের পর্যাপ্ত যোগান না থাকিলে, পলায়ন ব্যাতিত উপায়ন্তর থাকে না। যদিও কাহারো কাহারো চুলকাইয়া সুখানুভূতি লভিতে হয়, কারন ঈশ্বর বৃহন্নলাদিগকে প্রকৃতিগত ভাবেই নির্বীজ করিয়া রাখিয়াছেন। ইহাতে আমি আপনি নিতান্তই অসহায়।

এখানে এডিটিং-এর মাতব্বরি নেই, সেন্সরশিপের দোহায় নেই । কেবল অহেতুক গালি ও ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয় । কারো কোন পোস্টে ব্যক্তি আক্রমণ, কদর্য বা অশালীন ভাষা প্রয়োগ বা সাম্প্রদায়িকতা, ধর্ম ও জাতি নিয়ে বিদ্বেষমূলক পোস্ট একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় । আর সেটা হলে পত্রপাঠ বিদায়। পোষ্টের, পোষ্টকারির নয় যদি না জনরোষ সৃষ্টি হয়। আমরা সকলের সুবুদ্ধি, সংযম ও সুবিবেচনা যুক্ত যুক্তি-তক্কের ওপর অত্যন্ত আস্থাশীল ।

কাকেশ্বর কুচকুচে থেকে ফ্যাতারু হয়ে ফের মজন্তালি সরকার, অকপটে বলে ফেলুন মনের কথা। কারন এখানে কোন ঘচাং ফুঃ নেই। তবে সেচ্ছাচার আর স্বাধীনতার ফারাকটা সকলকেই বুঝতে হবে কিন্তু। অকপট মানে অবাধ স্বাধীনতা, কিন্তু সেচ্ছাচার নৈচ নৈব চ............ 
পচন না ধরলে ডাক্তারবাবুও কি সুস্থ সবল অঙ্গচ্ছেদ করেন!

ঈশ্বরের কথায় স্বরণে আসিলো, যে তিনি নিজেই তো ব্যাক্তি স্বাধীনতার চরম বিরোধী, না হইলে আদমকে নিষিদ্ধ ফলের শর্ত কেন দিতেন? সব দিলেই, শুধু একটি অধিকার দিলেন না, কোন মানে হয়? ডিনামাইটের মত কিউরিওসিটির বীজ তো ঈশ্বর নিজেই স্বহস্তে বুনেছিলেন। এ তো গেল আব্রাহামীয়। সনাতনেও এই ধরনের ঘটনা আকছার। উদাহরন ভুঁড়ি ভুঁড়ি, সে না হয় আরেকদিন দেওয়া যাবে। তাই পরমেশ্বরও অকপট সহ্য করতে পারেন না।

সেখানে আমরা মনুষ্য তো ... 
ফূহ......

বাকি রইলো আইন। ধুশ। সে শালীও জং ধরা তলোয়ার নিয়ে চোখে কালো কাপড় বেঁধে ছিনাল পোজে দাঁড়িয়ে। উনি পটের বিবি, পটে আছেন অকপটে ওনারও এলার্জি।

আমরাও অকপটের প্রাক্টিস করছি মাত্র। ডাক্তার চিকিৎসার প্রাক্টিস করতে পারে স্বগর্বে, উকিলেরা পারে আইনের প্রাক্টিস করতে। সবই কি সফল?? উত্তর না। সফল হলে নামটা কি প্রাক্টিস হতো? তাহলে আমরা মানে উন্মাদের দল অকপটের প্রাক্টিস কেন পারবো না? আর করলেই গেল গেল রব কেন উঠে? আমাদের বিশেষ ছাপ মারা কোন জাত নেই, লিঙ্গ নেই, আমরা কেও বিশেষ হনু নই, আমাদের তেমন বলার মত মান ও নেই। আমাদের শুধু জান আছে। আমরা জানদার, অন্তত তেমনটাই মনে হয়। মন আছে বিলি করার মত। অনুভুতি আছে ভাগ করে নেবার মত। বাকিটা অন্যে বলবে। যদিও এও একপ্রকার আত্মস্তুত্বি।

পরিযায়ির দল আসবে যাবে, এটাই নিয়ম। আমরা ডেকে ডেকে নিয়ে আসবো, না পোষালে চলে যাবার সম্পূর্ন অধিকার রয়েছে, অকপটে। আমরা কোন স্বজাতী স্ববর্ণ স্বধর্মের মানুষকে কে আমন্ত্রন জানাচ্ছি না, আমরা মননশীলদের আমন্ত্রন জানাচ্ছি। যারা বিনিময় করতে জানি। মনের ভাব বিনিময় করেই দেখুন না। নিজেই দেখবেন , খাচার ভিতর অচিন পাখী কেমনে আসে যায়। নিজস্বতা নিয়ে স্বপ্রতিভ থাকুন। কাঠি করলে বিনিময়ে কাঠিই পাবেন।

ফ্লাইং কিস দিলে এঁটো করে হামি খাব সমবেতভাবে, তাও বিনামুল্যে। তাহলে মিছামিছি হয়রানি কেন! কেও বলে রাম তো কেও বলে হারাম। বলুক , নিশ্চিত অধিকার তো জুকারবাবাই দিয়ে রেখেছেন। কেও বলে আইসিস তো কেও বলে নির্বিষ। যেন স্ট্যাম্প মারতে না পরলে মোক্ষ লাভ নেই। আরে বাবা লাভজিহাদ তো সকল ধর্মেই স্বীকৃত। সেটাই না হয় করুন। বেশ ভালবাসাময় ওয়েদারে। কেমন হয় এটা যদি হয়।

করেই দেখুন কয়েকটা দিন। পাবলিক বাসে সাওয়ারি করলে কি অন্যের ঘামের গন্ধ সইতে হয় না? প্রাইভেট কার আর কজনের সামর্থে থাকে!! থাকি রসে বসে।
এটাই অকপট প্রাক্টিস। অন্তর্জালের এই যোগাযোগ মাধ্যমে গুনীজনের অভাব নেই । তাই ব্যাক্তিগত ইগো দেখিয়ে কে গেলো আর কে এলো সেদিকে বেশী গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো । তবে কাছের জনকে না হারাতে অকপট বদ্ধপরিকর ।

কখনও এমন দিন যেন অকপটের না আসে যে, সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মুড়িমিছরির একদড় করে সক্কলকে টেনেহিচড়ে গেদে ঢোকাতে হবে । আমরাতো রাজনীতি করতে বা প্রতিযোগিতা করতে আসি নি। একটা সুন্দর আলোচোনার মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রাসঙ্গিক রাখার অন্যতম প্রয়াস। Quality বজায় রাখতে গিয়ে Quantity জলাঞ্জলি গেলে যাক। বিতর্ক নেওয়ার মতো সহ্যশক্তি আছে কি আমাদের ? সেটা যাচাই করেই কোন বিতর্কে অংশগ্রহন করাটাই বুদ্ধিমান ও অকপটচিত কাজ বলেই আমাদের বিশ্বাস। নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে যেটাই করবো ,সেটাই বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে । অকপটের তখনই স্বয়ংসম্পূর্ন হবে যখন, যেকোন বিষয়ে "কোন প্রমাণ ছাড়া অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার " প্রবনতা বন্ধ হবে, তবেই অকপট চরিত্রের অধিকারী বা অধিকারিনী হওয়া সম্ভব।

কারো ধামাধরা নয় এই গ্রুপ। রাম- রহিমের একটাই কাঁথা।

থাকুক যুক্তি থাকুক তর্ক, আর থাকুক দেদার মজা।