Friday, 19 May 2017

মমতার ছেঁড়া খাতা

যেটাকে আপনারা আদর করে scrap book বলে ডাকছেন পাতি বাংলায় তাকেই হাঁড়ির খবর বলে! দিলাম......
নাম: মমতা সিনহা( নামটা নিয়ে যথেষ্ট দুঃখ ছিলো আগে; এখন আর নেই। কারণ রীনা মিনা টিনা অনেক হয়। কিন্তু মমতা এক রাজ্যে মাত্র দুটোই থাকতে পারে)
পেশা: সেলাই করা...জুতো সেলাই থেকে শুরু করে মানুষের ছিঁড়ে যাওয়া স্বপ্ন অবধি সঅঅব।
ডাকনাম: মোনা 
জন্মদিন: 4th aug

এবার আসি প্রিয় দের তালিকায়। প্রথমেই বলি "প্রিয়" শব্দটাই আমার খুব প্রিয়। কেমন একটা ইয়ে ইয়ে ভাব। শুনলেই কাছে ঘেঁষতে ইচ্ছে করে!
প্রিয় রং: ভ্যারি করে...লাল কমদামী গাড়ি, কালো বেশিদামী গাড়ি, গোলাপী লিপস্টিক, হলুদ শাড়ি, নীল জিন্স, সাদা শার্ট, ভায়োলেট দেয়াল 
প্রিয় পোশাক: আগে স্কার্ট ছিলো...এখন বুড়ি হয়েছি বলে আর পড়িনা। সব পোশাকেই স্বচ্ছন্দ।
প্রিয় গান: মান্না দে, জগজিত্ সিং এর সব গান; রবীন্দ্র সঙ্গীত, সফট লাভ সং, ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট যুগের গান সব....সব...প্রচুর গান ভালোবাসি 
প্রিয় সিনেমা: অনেক আছে.....Never been kissed, তামিল গীতাঞ্জলি, যে কোনো লাভ স্টোরি
প্রিয় অভিনেতা: আমার আশেপাশের কয়েকজন মানুষ, সিনেমাবালাদেরকে হার মানায়। এছাড়া বাংলা হিন্দি ইংরাজীর অনেকজনকেই ভালো লাগে।
প্রিয় অভিনেত্রী: আমার থেকে 12 বছরের ছোট একটি মেয়ে। ওর পাক্কা অভিনয়ে আমি গোহারান হেরে গেছি। এমনিতে জুলিয়া রবার্টস কে ভীষণ ভালো লাগে। আর হিন্দি বাংলা সিনেমার অনেকজনকে।
প্রিয় ব্যক্তিত্ব: আমি নিজে(সবসময় নিজেকে নিয়ে মেতে থাকি )
প্রিয় শিক্ষক: আমার ভুল গুলো 
প্রিয় বই ও লেখক: অনেক প্রিয় বই অনেক প্রিয় লেখক। পড়তে ভীষণ ভালোবাসি।ভালো লাগার পরিসর টা অনেক বড় 
প্রিয় খাবার: ফুচকা, আলু কাব্লি, জল দুধ ডিম অরেঞ্জ 
অনেক অনেক 
ভালোবাসার মানুষজন: আমি, বার্বি (আমার মেয়ে), কর্তা মশাই...আরো অনেকে 
সব থেকে কাছের মানুষ: আমি আর আমার ডায়রি....বাকি সবার সাথে একটা প্রচ্ছন্ন দূরত্ব 
জীবনে যাদের প্রভাব আছে: সব থেকে বেশি প্রভাব মায়ের....বাকি অনেকে আছে কিন্তু অল্প অল্প 
নেশা: বই পড়া, আড্ডা দেওয়া 
শখ: রান্না করতে ভালোবাসি, সবাইকে ধরে খাওয়াই আর জোর করে ভালো বলাই 
প্রিয় বন্ধু: আমি আর আমার ডায়রি 
প্রিয় বান্ধবী: ছোটবেলার সব বান্ধবীরা এখন কেমন যেন বদলে গেছে। তবু কয়েকজনকে মিস করি খুব(হকি...তুই কোথায়? )
অবসর বিনোদন: চোখ বন্ধ করে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা। মানে কল্পনা করা আর কি!
জীবনটা কেমন হলে ভালো হত: অনেক কিছুই মনে হয় 
সব থেকে আনন্দের দিন: যেদিন সকলের কাছে প্রমাণ হল যে আমি বাঁজা নই 
সব থেকে দুঃখের দিন: অনেক আছে 
প্রথম প্রেম ও তার অভিজ্ঞতা: ওটাই প্রথম ওটাই শেষ.....বাকি সব অ্যাডজাস্টমেন্ট 
জীবনসঙ্গীর মূল্যায়ন: আমার আরেকটি সন্তান 
জীবনের তিনটে চরম ভুল যা এখন কষ্ট দেয়: 1) কাছের মানুষ কে নিজেই দূরে সরিয়ে দেওয়া এই ভেবে যে আমার সঙ্গে থাকলে ওর বিপদ হবে 
2) বহুদিন পরেও অন্য মানুষের মধ্যে তারই ছায়া খুঁজে বেড়ানো......সারাজীবন প্রচুর ভুল অত কি লেখা যায়?
মন খারাপের সঙ্গী: ডায়রি 
ভালোবাসা সম্পর্কে মতামত: সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন 
প্রিয় ক্যাপশন: আমি বৃষ্টি বিহীন বৈশাখী দিন, চোখে আমার তৃষ্ণা, For gods sake, hold your tongue and let me love ( সব কিছুর জন্য ওই ভদ্রলোকই দায়ী। যত গান কবিতা গল্প উপন্যাস সব মনে হয় আমার জন্যই লিখে গেছেন)
নিজের কথা: কনফিউসিং ক্যারেক্টার। যখন যেটা অ্যাচিভ করে নিই সেটার ড্রব্যাক গুলো দেখতে পাই। আর দূরের জিনিসটা ভালো লাগে। জীবনে অনেক কিছুই করা বাকি রয়ে গেছে...করতে চাই। একটা ছেলে যে টানা চার বছর পেছন পেছন ঘুরে বেরিয়েছিল তাকে একটা চুমু খেতে চাই, ছোট বেলার এক বন্ধুর সঙ্গে তিস্তার জলে পা ডুবিয়ে বসে চাঁদ দেখতে দেখতে বিয়ার খেতে চাই, আর্থ্রাইটিস হবার পরে যদিও পাহাড়ে চড়া নিষেধ তবু এক বন্ধুর সঙ্গে খুব ছোট হলেওএকটা ট্রেকিং এ যেতে চাই, ছোট বেলার ইচ্ছা ছিলো পুলিশ হবার..হতে চাই, বাবা স্পোর্টসের জগত্ থেকে তুলে ঘরে বসিয়ে দিয়েছিলো..ওটাও, এক বন্ধু কলেজে বলেছিল...মেয়েদের কত জালা বুকে ব্যাথা হলে হাতও বোলাতে পারে না..তাকে জায়গা মত ঝেড়ে একটা লাথ কষাতে চাই, অনেক এমন পাবলিক আছে যাদের কে তেড়ে খিস্তি দিতে চাই.....আরো অনেক...
পাঁচটি কথায় নিজেকে মূল্যায়ন: ভালোবাসা, ভালোবাসা, ভালোবাসা, ভালোবাসা এবং ভালোবাসা( আমি ভালোবাসার জন্যই জন্মগ্রহণ করেছি)



পার্থ প্রতীম বিদ

এটা অকপটে র জন্য
অনেক পথ অনেক ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে এই সফলতার জন্য অভিনন্দন আপনারা যারা এর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত। কিছুদিন যুক্তি পাল্টা যুক্তি পোস্ট দেখে দুঃখ পাওয়ার যন্ত্রনা এই সফলতার ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে গেল। সুধা দিদিমনির গিফট পাঠান বই টা পড়লাম। মনে হল এটা শুধুমাত্র ম্যাগাজিন নয় অনেক জনের মিলিত প্রয়াস। খুব ভাল লাগল।এটাতে একটা লাভ হল, যেটা আমার মনে হয়, গ্রুপ নষ্ট হয়ে গেলেও এই বই রযে যাবে গ্রুপ অক্ষত রয়ে যাবে।
কিছু লেখা খুবই অসাধারণ লাগল।
তুষারবাবুর " যক্ষা", রুদ্র রবির লেখা ,অভিজিৎবাবুর ,সালমা হক , কুনাল বাবু , আসাদুল্লাহ খান , বৈশাখী mam, রত্না mam, আরো অনেক আছে। সুব্রত গোস্বামী ,সুদীপা কুন্ডু , " নদীরত ট"
ভাল লেগেছে।

একটা কথা বলার ছিল পরের বার দেখবেন যাতে একই রকমের গল্প পরপর যেন না থাকে। একই বিষয়বস্তু পরপর পড়তে কেমন লাগে। যায় হোক পরের বার আরো ভালো কিছুর আসায় থাকলাম।

Thursday, 18 May 2017

শ্রাবণী মণ্ডল

আমি 'অকপট' এর এক নামমাত্র সদস্য। আমি কখনও কোন post এই group এ দিই নি, তবে প্রতিটা post খুব মন দিয়ে পড়ি। আমার ভাই Bappaditya Mandal একটি 'অকপট সাহিত্য পত্রিকা' আমাকে দিয়েছে।
আমি পড়ছি।এককথায় অসাধারণ। আজ আমি স্কুলে পত্রিকাটির কথা বলছিলাম।দিদিরা প্রত্যেকেই খুব প্রশংশা করেছেন।আমার সহকর্মী আারা দি পত্রিকাটা নিয়েই (কিনে) নিলেন। তারপর খুব মন দিয়ে একেবারে সম্পাদকীয় থেকে পড়া শুরু করলেন আর বারবার শেহনাজ আলম দি' র প্রশংশা করছিলেন।

সঙ্গে নতুন শব্দ গুলি underline করছিলেন। যেমন 'নিব্যুঢ়চিত্ত' শব্দটির অর্থ দিদি জানতে চেয়েছেন। শেহনাজ দি একটু জানাবেন। এগিয়ে চলো 'অকপট সাহিত্য পত্রিকা'....এগিয়ে চলো অকপটুগণ। শুভকামনা রইল।

Wednesday, 17 May 2017

অকপটে ধন্যবাদ জ্ঞাপন


 (১) 

পেশা হিসাবে কেউ উড়োজাহাজ চালান তো কেউ আবার তার শৌচাগার পরিষ্কার করেন। সেটা যোগ্যতার বিষয়, কিন্তু দুটোই সমগুরুত্বপূর্ন কারণ একটার বিনে অন্যটা মুখ থুবড়ে পড়বে। একটা মেলবন্ধনই বা তালমিলই অগোছালো কিছুকে সিস্টেমে রুপান্তরিত করতে পারে। তাই অকপট পরিবারের প্রতিজন সদস্য সমান কৃতিত্বের অধিকারী। এটা আমাদের বৃহত্তর অকপট পরিবারের জন্য সাফল্যের একদম প্রাথমিক ধাপ, কারণ আমরা তরঙ্গের দুনিয়া থেকে রোদ, জল, ঘাম, বাতাসেরপৃথিবীতে নিজেদেরকে নিয়ে আসতে পেরেছি। আজ আমরা বলতেই পারি হ্যাঁ আমরা সেই অকপটুদল, যারা শুধুই ঘরে বসে আসমানি চাঁদোয়া বুনিনি। আমরা নক্সীকাঁথা বুনছি একটি একটি করে সেলাইয়ের ফোঁড়ে, রঙিন স্বপ্নের সুতো দিয়ে। শত শত উজ্জ্বল চোখের তারায় পিছলে পরা স্বপ্নেরা জোট বেঁধেছে আগামীকে ভালো কিছু উপহার দেওয়ার জন্য।
ওই দিনের কিছু কথা অকপটে।
শুরুটা ঠিক কোথা থেকে করবো তা নিয়ে ধন্দে আছি।
মনে হল শুরুটা পেশাদারিত্ব দিয়েই করা উচিত। জয়শ্রী প্রেসের বসাক বাবুকে প্রথমেই ধন্যবাদ দিই, কারণ তিনি অত্যন্ত পেশাদারঢঙে ডুবিয়ে না দিলে মহামায়া প্রেসের মালিক মাইতিদার মত একজন সদাহাস্য সুজন দাদাকে পেতাম না। তাকে ঠিক কিভাবে ধন্যবাদ দেওয়া যায় বা অদৌ ধন্যবাদ দিয়ে ওনার প্রতি কৃতজ্ঞতারাশি অক্ষরের ভাষায় প্রকাশ করা যায় কিনা জানিনা। পরে চলে আসে ওনার অফিসের ডিটিপিকারী দাদাটি। একটা মানুষ যেভাবে নব্য ও জেনুইন আনাড়ীদের সাথে করে ও সহ্য করে একটা ভীষন রকম বন্ধু সুলভ ধুর কি আছে, এক্ষুনি ঠিক করে দিচ্ছিপরিবেশে কিভাবে কাজটা শেষ করিয়ে নিতে হয় সেটা শিক্ষণীয়। শনিবার বেলা দুটোর সময়েও পত্রিকার সূচীপত্র টাইপ হচ্ছে কম্পিউটারে, এটা শুধু পেশাদারীত্ব দিয়ে হয়না, অন্যের আবেগকে হৃদয় দিয়ে অনুভব না করলে এই পেশাদারীত্ব আসেনা।
একটু নির্লজ্জভাবেই অকপট স্বীকারোক্তি করাই যায়, যে ঘর বা সংসারের দৈনন্দিন কাজকর্মে আমি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কুঁড়ের শিরোপা পাওয়ার হকদার। এক তো অকর্মা তাই গোদের উপরে বিষফোঁড়া ল্যাপটপে খুটখাট। মায়ের ভাষাতে কি যে করিস, সারাটা দিন কে জানে! অফিস থেকে ফিরে বউ বাচ্চা টিভি সমাজ কথাবার্তা কিচ্ছু নেই, ওই শয়তানের হাতবাক্স খুলে বসে পরলি!" তাই ওইদিন প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত অকপট পরিবারের সামনের সারিতে ভালমন্দসবটা মিলিয়ে মায়ের উপস্থিতি ও অপলকভাবে গোটা বিষয়টা উপভোগ করাটা আমার জন্য সেরা পরিতৃপ্তি ছিল।
এবার আসি অনুষ্ঠানে।
প্রেস থেকে বই নিয়ে অবন মহলে পৌঁছালাম সকাল নটার আশেপাশে। পৌছেই দেখি আমাদের প্রবাল দা (Prabal Devangan Chakraborty), তাঁর দেবাঙ্গন NGO এর দুজন ভাইবোন সহ দায়িত্বে থাকা মিউজিক সিস্টেম বাকি সকল কিছু নিয়ে ইতিমধ্যেই উপস্থিত। দাদা মানে বড়, তাঁকে ধন্যবাদ দেওয়া যায়না, তাঁকে অনুসরণ করতে হয়, যে কিভাবে দায়িত্ব সামলাতে হয় আর সময় জ্ঞান কাকে বলে! সাথের ওই মেয়েটি নামটা ভুলে গেছি, কি অপূর্ব ধৈর্য্য আর মমতা সহকারে, আরো দুজন বন্ধুর সহযোগে ফুল দিয়ে গোটা মঞ্চটা সাজালো সেটা যারা দেখেছেন তারা প্রত্যেকেই অবগত। আমরা দখল করলাম দুটো গ্রিনরুমের দ্বিতীয়টা, প্রথমটা আমাদের গায়ক দলের জন্য বরাদ্দ রইলো। ঐদিনের ঐ ছালওঠা গরমে গ্রিনরুমের বাতানুকুল যন্ত্রের ঠান্ডা বাতাসটুকুই প্রাথমিক তৃপ্তির শুরুটা করে দিয়েছিল, সেটার রেশ অক্ষুন্ন রাখতে যথারীতি একমুখ হাসি নিয়ে ঘর্মাক্ত ফিরোজভাই (Firoz Akhter) হাজির। কিছু মানুষের চেহারার ধাঁচটাই এমন ভাবে তৈরি যে দেখলেই মনে ভরষা তৈরি হয়। ফিরোজ ভাইও দেবাঙ্গনের দাদা-দিদির সাথে হাত লাগালেন আমাদের অকপটের ফুলের লোগো তৈরীতে।
পশ্চিমবঙ্গের সেই গলার মত স্থানটা, ইটাহার নামক জায়গাটা সম্ভবত তার আশেপাশেই হবে। অকপটের প্রতি কতটা টান থাকলে লোকাল বাসে প্রায় বাদুড়ঝোলা হয়ে ঝুলতে ঝুলতে নির্ঘুম অবস্থায় কোলকাতা আসতে হয় বেলা নটার মধ্যে মঞ্জুর ভাইকে (Manjur Hossain)আসলে সেই মনের ভালবাসা, ভালবাসাতেই একমাত্র বিজয় সম্ভব, যুদ্ধে তো দখল করা যায় না। ইতিমধ্যে একটা গর্জিয়াস পাঞ্জাবিতে শোভিত হয়ে সুব্রতদা, (Subrata Mondal) বৌদি (Ratna Mondal) আর শেহনাজও এসে গেছে। এদিকে আমার তিন দস্যি, মা, রুমি (Rumi) আর কুহেলীর(Kuheli) পেটে ছুঁচোয় ডন-বৈঠক দিতে শুরু করেছে। অতএব হালকা প্রাতরাশের ব্যবস্থা করে ফিরতেই দেখি প্রেক্ষাগৃহ কতৃপক্ষ মূলদ্বারটি খুলে দিয়েছেন। এই একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোক, যিনি প্রেক্ষাগৃহের ভারপ্রাপ্ত ছিলেন, অত্যন্ত বিশ্রীরকমের কটূভাষী ও সোজাসাপ্টা বাক্যবাণ নিক্ষেপ করেন অনবরত, কিন্তু একজন ব্যাবসাদার হিসাবে নিজের সংস্থাতে এমন একজন মানুষ পেলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করতাম।
আগেরদিন সোজা হাসপাতাল থেকে কোলকাতা এসেছিলাম, অনুষ্ঠানের জন্য পোশাক পরিবর্তনের সময় বা মানসিকতা কোনটাই ছিলনা সেই মুহুর্তে। শেহনাজকে কাঁচি আর সেলোটেপ আনতে বলেছিলাম আগেরদিন, তার কাছ থেকে সেই দুটো নিয়ে মূল দ্বারে অকপটের জিরাফওয়ালা স্বাগতমপোস্টারটি সাঁটতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম কাঁচিতে ধার নেই। শেহনাজকে শুধাতে বললো এ কাঁচি সুব্রতদার, উনিই দিয়েছেন। বুঝলাম সুব্রতদার ওই রকম গোঁফ বৃদ্ধির কারন কি! যাই হোক আমার সাথী মঞ্জুর অত্যন্ত নিপুণতার সাথে বারংবার সেলোটেপের খেই হারিয়ে নীল ফ্লেক্সটা সাঁটা শেষ করার পর একটু ধুম্রপান করতে সাইড পানে আসতেই দেখি গলাতে সেই চিরপরিচিত ঢঙে ক্যামেরা ঝুলিয়ে আমাদের অভিজিৎ দা (Abhijit Mukherjee) সাথে আপনজন তনুশ্রী ম্যাডাম (Tanusree Ghosh)
এই নিয়ে সম্ভবত দ্বিতীবার আলাপ অভিজিৎদার সাথে, এই মানুষটার ব্যাক্তিত্বের মধ্যে একটা চার্ম আছে। একটা মানুষ যে কতটা নিপাট নির্বিরোধী হয়ে নিজের প্যাশনের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখাতে পারেন, সেটা অভিজিৎ দাকে দেখে শিক্ষণীয়। সমস্ত অনুষ্ঠানের যাবতীয় মুহূর্তগুলোকে কি দারুণ দারুণ এঙ্গ্যেল থেকে সময়কে বন্দি করে আমাদের উপহার দিয়েছেন, তার জন্য আলাদা করে তারিফ করতে হয়। টাকা নিলেই পেশাদার হওয়া যায় কি? ফোটোগ্রাফির শখ অনেকেরই থাকে, জানিনা কতজন, অভিজিৎ দার মত ছবি তোলেন।

ক্রমশ......


কুণাল ভট্টাচার্য্য

গত রবিবার খুব সুন্দর একটি দিন কাটালাম,অকপট সাহিত্য পত্রিকার উদ্বোধন হলো,অকপটুদের কাছে এই দিনটি গর্বের দিন।
কিন্তু এমন একটি দিনের নেপথ্যে একটি গল্প লুকিয়ে আছে,কিছুতেই হার না মানার গল্প,আর এই কঠিন গল্পটি খুব সহজ করে লিখে ফেলেছেন শেহনাজ আলম,তন্ময় হক,সুব্রত মন্ডল।

গল্পটি আপনি ছাপার অক্ষরে খুঁজতে গেলে ভুল করবেন,এটি অনুভবের গল্প, যা সবাই লিখতে পারে না,আবার অনেকেই অনুভব করতে পারে না। যারা পারে তাদের জন্যে কোনো প্রশংসাই যথেষ্ঠ নয়।

Monday, 15 May 2017

আসাদুল্লাহ খান

কিছু ভীষণভাবে মনে রাখার দৃশ্য।গতকাল অকপট সাহিত্য পত্রিকার উদ্বোধনের সময়কার দৃশ্য।তিনজন অকপটুর নিরলস প্রচেষ্টার ফসল এই @অকপট সাহিত্য পত্রিকা।Subrata Mondal দাদা,Tanmay Haque ভাই ও শেহনাজ আলম দিদিভাই-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সত্যিই কোন ভাষা নেই।পত্রিকার আগামীর পথ প্রশস্ত হোক।

Friday, 12 May 2017

পত্রিকা উদ্বোধনের ঘোষণা

অনিবার্য কারণবশত #অকপট_সাহিত্য_পত্রিকা এর উদ্বোধন স্থান পরিবর্তিত হলো....
আমন্ত্রণ পত্র
***********
বহু প্রতীক্ষার অবসানে, অবশেষে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত শুভদিন। একঝাঁক নতুন লেখকদের স্বপ্নের পুঁজিতে সাওয়ার হয়ে আগামী ১৪ই মে, রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ছাপার অক্ষরে আত্মপ্রকাশ করবে অকপট সাহিত্য পত্রিকা এর প্রথম তথা কবিপক্ষ সংখ্যা, এক নতুন স্বপ্নের পথচলা শুরু।
অনুষ্ঠান স্থান: অবন মহল (CLT Hall), AMRI Hospital Building, ঢাকুরিয়া, কোলকাতা।
সময়: সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১ টা
উক্ত আনন্দমুখর উৎসবে অকপট গ্রুপ, অকপট ফাউন্ডেশন এবং অকপট সাহিত্য পত্রিকার অকপটু পরিষদ ও সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে সমস্ত অকপটু সাহিত্যপ্রেমী শুভ্যানুধায়ীদের আমন্ত্রণ জানাই।
আপনাদের উপস্থিতি ও শুভকামনা আমাদের পাথেয় ও একান্ত কাম্য।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : হলে কোনোপ্রকার এন্ট্রি ফি বা টিকিট লাগবে না.....
ধন্যবাদান্তে,
শেহনাজ আলম
সম্পাদক, অকপট সাহিত্য পত্রিকা