Monday, 24 August 2015

অকপট কথা


উন্মাদের সাথে অনেকে মিলে লেখা

আপনি কি ঘটে চলা কোন রাজনিতীর ঘটনা পরম্পরায় খুশী? বা বিতৃষ্ণ!! বা আহ্লাদিত?? ধর্মের ভারী ভারী বানী গুলো ব্যাখ্য করতে পারছেন না? বা আপনার ব্যাখ্যা আর সকল কে জানাতে চান? নতুন কোনো গল্প পড়লেন? সদ্য দেখা কোনো ফিল্মের বিষয় নিয়ে আপনার মতামত ভাগ করতে চাইছেন ? সামাজিক অবক্ষয় আপনার মনে নারা দিয়ে যাচ্ছে? কোন একটা বিষয় কে যুক্তির জালে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধতে চাইছেন? বা কোন যুক্তি কে খন্ডন করতে চাইছেন, তর্ক দিয়ে?

চেনা অচেনা গানের সুর চোখ বুজলেই শুনতে পাচ্ছেন ? একা ঘরে বসে সঙ্গী পাচ্ছেন না? আপনার মাথায় একটা গল্পের প্লট ঘুরঘুর করছে? বা মাঝরাত্রে কবিতা পেয়েছে? প্রেমে পাগল হয়ে যাচ্ছেন, আর বলার লোক নেই? মনের মধ্যে আদিরসের সঞ্চার হয়েছে? বৃহন্নলার রমন সুখে ঘৃতাহুতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রবল আদিরসাত্বক ঢামালি সহকারে? নিশ্চই আপনার ভবম হাজামের মত অবস্থা??

তাহলে আর ভাবনা কেন? আপনি সঠিক গন্তব্যেই তো এসেছেন। মন খুলে আপনার মনের ভালো লাগা মন্দ লাগা চিৎকার করে ব্যাক্ত করুন, সাদা কালো অক্ষরে। ভালো লাগলে গৌরিসেন হয়ে যান, মন খুলে প্রশংসা করুন  অপছন্দ হলে? মনের ঝাল মিটিয়ে নিন চুটিয়ে সুললিত খিস্তি সহকারে ।

এটা ফেসবুক, পুরাকালের চণ্ডীমণ্ডপ বা রক কালচারের এক আধুনিক রূপ। এখানে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়। রোজ তো আমরা রাজনিতী-শিক্ষা- শিল্প প্রভৃতি বিষয়ের সমালোচনা করে চলেছি । এখন দিনকাল পাল্টে গেছে । নবরত্ন সভার এক রত্ন হবার সকলেই যোগ্য দাবিদার। এখন সবাই আঁতেল সবাই তর্ক রত্ন, যুক্তি থাকনা কমবেশি অকপটে।

জ্ঞানী হলে যুক্তি দিয়ে গপ্পো বা প্রবন্ধ লিখুন, আর তার্কিক হলে আর অন্যের লেখা কে খন্ডন করুন। আর জ্ঞানপাপী হলে চুলকিয়ে আমোদ করুন। কুমরোপটাস কে পছন্দ হলে মেঘমুলুকে ঝাপসা রাতে আবৃত্তি করতে করতে মজারু জোকসের তালে তালে নাচতে নাচতে হাসতে থাকুন, হাসতে হাসতে তক্কো করুন । আমরা-ওরা আপাড়া-বেপাড়া, বেয়াড়া-আঁতেল, সক্কলের জন্য একটাই হুঁকো, দাও টান গড়গড়ায়, ভরা বাজারে না বলতে পারা কথাগুলো কে দিন প্রসব করে অকপটে। গলার থুরি পেনের জোরের পরীক্ষা করে নিন, কিসমে কিতনা হ্যায় দম।
কারো কোন পোস্টে ব্যক্তি আক্রমণ, কদর্য বা অশালীন ভাষা প্রয়োগ বা সাম্প্রদায়িকতা, ধর্ম ও জাতি নিয়ে বিদ্বেষমূলক পোস্ট ছারা যা খুশি করতে থাকুন।

আমাদের আসরাফুল ভাইয়ের কথায়ঃ-
************************************ 
"
এটা অকপট community -- মন খুলে কথা বলার জায়গা !! তার মানে এখানে যে post গুলো থাকবে সেটা সবার মনোঃপুত নাও হতে পারে, আপনার/আমার ideology-র সঙ্গে নাও মিলতে পারে -- এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে যে আমদের সবার চিন্তাধারা কোন না কোন ideology-র দ্বারা প্রভাবিত; যেমন atheism বা apoliticality এর মতো চিন্তাধারাও ideology-র উর্দ্ধে নয়, কেননা mainstream socio-religious/political ideology-র পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাটাও ideological !!

তো যাই হোক, কথা হচ্ছে, আপনার/আমার চিন্তাধারার সঙ্গে মেলে না এমন voices গুলোর আমরা সমালোচনামূলক বিরোধিতা করবো, যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করবো; কিন্তু post এর পিছনে কোন "ষড়যন্ত্রের গন্ধ" শুকতে যাবো না ; অর্থাত আমাদের মতবিরোধ- মতানৈক্য হতে পারে কিন্তু যিনি post করেছেন তার প্রতি আমরা কোন ব্যাক্তিগত আক্রমনের পথে হাটবো না; এখানে কোনো "আমরা-ওরা" lobby নেই, তাই কোনো post কেই "আমরা-ওরা" দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখবো না, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা !! এই community-র সবাই শিক্ষিত, রুচিশীল; তাই রুচিহীনভাবে ব্যাক্তিগত আক্রমনের পথে না গিয়ে আমরা সবাই পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শনের নৈতিক অবস্থানে অটল থাকবো --এটুকুই শুধু বলার "

********************************

এটা প্রাপ্তমনস্কদের ঠেক, সুতরাং ইনহিবিশন ঝেড়ে পুঁছে আসুন, সানফ্রানসিসকো থেকে সানী লিওনি সব একই ব্রম্ভ্বে কেন্দ্রীভূত। বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাতে চাই আমরা, যেখানে ক্রমশঃ মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান । এখানে সকলেই পাঠক আর সকলেই সমালোচক অকপটে। সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি । আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন সমাজ। চোখে আঙুল দিয়ে ভুল গুলো ধরিয়ে দিই। ৬ ইঞ্চি লিঙ্গ থেকে ৫৬ ইঞ্চি ছাতি, সব খবরই দিন। যৌনতায় মাখামাখি হোক না, শুধু পর্ন না হলেই হলো।

পাতি বাংলায় কথা গ্রুপটা হচ্ছে পাড়ার ঠেকের মত বা চণ্ডীমন্ডপের আড্ডা। সেখানে কেও মাল খেয়ে এসে বাওয়ালি করলে যেমন ঘাড় ধরে তাকে বাড়ি পাঠানো হয়, এখানেও ঠিক তাই হবে। এখানে প্রানখোলা আলোচনা করুন অকপটে। সকলে মনের চাপ হালকা করে আনন্দ করি । নিজেদের সমৃদ্ধ করি।

বুদ্ধির ঘরে ধোঁয়া দিয়ে বা চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলতে তুলতে, একটু জটা খৈনি ঠোটের বামপাসে গুঁজে দু দণ্ড সুখ দুখের গপ্পো গাছা করতে ইচ্ছা করলে তাই ই করুন । এখানে লেখক-সাহিত্যিক-কবি বা বুদ্দজিবী বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হবার দরকার নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই, মা মনে আসবে যখন মনে আসবে, সেটাই লিখুন তখনি লিখুন । চপ শিল্প থেকে তোলা শিল্প, যেটা যানেন, সেই বিষয়েই জ্ঞান ঝাড়ুন। অন্যের লেখায় আপনার মতামত দিন অকপটে।

তনিমা তহমিনার কথায়ঃ-
********************************

আপনি আপনার ধর্মকে ভালোবাসেন, ধর্মের অপমান সহ্য করতে পারেন না, ধর্মের নামে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করেন অন্য ধর্মকে খাটো করে, গালাগাল দিয়ে। খুব ভালো , আপনি সাচ্চা ধার্মিক উপাধি পেয়ে গেলেন। কিন্তু মশায়, ধর্ম পালন ক'বেলা করেন? ধর্ম কী তা বোঝেন তো? আপনার ধর্ম যেভাবে জীবন যাপন করতে বলেছে সেভাবে করেন?

এসবের কিছুই করেন না। কারণ কোনো ধর্মে অন্য ধর্মকে খাটো করা, গালাগাল দেয়া , অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষকে হেয় করার আদেশ,নির্দেশ, উপদেশ কিছুই নেই। ধর্ম প্রচার, অন্য ধর্মকে হেয় করার আগে খাঁটি ধার্মিক হয়ে নিন; কাজে দেবে। যদ্দিন ভিন্ন ধর্মকে, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষকে সম্মান, শ্রদ্ধা করতে পারবেন না , তদ্দিন ধর্ম নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। লেবু বেশী কচলালে তিতা হয়ে যায়।

অন্য ধর্মকে আক্রমণ করে যদি নিজ ধর্মকে মহান করতে চান তবে ভুল ট্র্যাকে আছেন আপনি। ধর্মের মত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কটু কথা বলে নিজ ধর্মকে অপমান করে চলেছেন, সাথে নিজের মানটাও খোয়াচ্ছেন।সময় থাকতে ঠিক ট্র্যাক খুঁজে নিন। কোনো ব্যাপারেই বাড়াবাড়ি ঠিক নয়।

**************************************
পুনশ্চঃ- ল্যাচ্ছোর
**************************************
অকপট ভাষ্য সর্বদাই কঠিন পাচ্য, এবং ইহা যুগে যুগে স্বীকৃত ও প্রমানিত। তাহা না হলে গ্যালিলিও থেকে আধুনা কালিবুর্গি কাওকেও বেঘোরে প্রান হারাতে হতো না। মনুষ্য জাতি আত্মবিশ্লেষনে বড্ড আত্মশ্লাঘা অনুভব করে। তাহাদের শুধু পছন্দ অন্যের দ্বারা স্তুতি, আত্মস্তুতি। অন্যথা হইলেই খ্বর্গহস্ত, একা একা হইলে সামান্য অপেক্ষা, দলগঠনের তরে। কারন বরাহের দল সর্বদায় দল বেঁধে যাওয়া পছন্দ করে। প্রসঙ্গত বরাহ বিষ্ণুর অন্যতম অবতার। যদিও আমরা নিজেদের শার্দুলরুপেই দেখে থাকি, আরশিতে ও ভার্যার সম্মুখে। কিন্তু একটা কথা, জলজ সর্পের বিষ থাকে না, কিন্তু সাপের যে নামেই ভয়। ওই টুকুই।

যাদের অম্লশূল, মসালাদার খাবার দেখে তাদেরও লোভ হয়, কিন্তু রসনাশিক্ত হবার আগেই গুহ্যদেশ শিক্ত হয়ে উঠে। অপকট ভাষ্য ও তাই, খাবার দরকার নেই, ঝাঁঝেই তুরুক নৃত্য শুরু হয়ে যায়। সুতরাং উপনিত ফলাফল নিখাদ বক্ষশূল। খালি পেটে বমন করিলে কি হয়? দুর্গন্ধ যুক্ত তেতো পিত্ত উদগিরন হয়। যাহা বমনকারিও সহ্য করিতে অক্ষম। এর পর রয়েছে চক্ষুশূল ও চর্মশূল। সঠিক মলমের পর্যাপ্ত যোগান না থাকিলে, পলায়ন ব্যাতিত উপায়ন্তর থাকে না। যদিও কাহারো কাহারো চুলকাইয়া সুখানুভূতি লভিতে হয়, কারন ঈশ্বর বৃহন্নলাদিগকে প্রকৃতিগত ভাবেই নির্বীজ করিয়া রাখিয়াছেন। ইহাতে আমি আপনি নিতান্তই অসহায়।

এখানে এডিটিং-এর মাতব্বরি নেই, সেন্সরশিপের দোহায় নেই । কেবল অহেতুক গালি ও ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয় । কারো কোন পোস্টে ব্যক্তি আক্রমণ, কদর্য বা অশালীন ভাষা প্রয়োগ বা সাম্প্রদায়িকতা, ধর্ম ও জাতি নিয়ে বিদ্বেষমূলক পোস্ট একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় । আর সেটা হলে পত্রপাঠ বিদায়। পোষ্টের, পোষ্টকারির নয় যদি না জনরোষ সৃষ্টি হয়। আমরা সকলের সুবুদ্ধি, সংযম ও সুবিবেচনা যুক্ত যুক্তি-তক্কের ওপর অত্যন্ত আস্থাশীল ।

কাকেশ্বর কুচকুচে থেকে ফ্যাতারু হয়ে ফের মজন্তালি সরকার, অকপটে বলে ফেলুন মনের কথা। কারন এখানে কোন ঘচাং ফুঃ নেই। তবে সেচ্ছাচার আর স্বাধীনতার ফারাকটা সকলকেই বুঝতে হবে কিন্তু। অকপট মানে অবাধ স্বাধীনতা, কিন্তু সেচ্ছাচার নৈচ নৈব চ............ 
পচন না ধরলে ডাক্তারবাবুও কি সুস্থ সবল অঙ্গচ্ছেদ করেন!

ঈশ্বরের কথায় স্বরণে আসিলো, যে তিনি নিজেই তো ব্যাক্তি স্বাধীনতার চরম বিরোধী, না হইলে আদমকে নিষিদ্ধ ফলের শর্ত কেন দিতেন? সব দিলেই, শুধু একটি অধিকার দিলেন না, কোন মানে হয়? ডিনামাইটের মত কিউরিওসিটির বীজ তো ঈশ্বর নিজেই স্বহস্তে বুনেছিলেন। এ তো গেল আব্রাহামীয়। সনাতনেও এই ধরনের ঘটনা আকছার। উদাহরন ভুঁড়ি ভুঁড়ি, সে না হয় আরেকদিন দেওয়া যাবে। তাই পরমেশ্বরও অকপট সহ্য করতে পারেন না।

সেখানে আমরা মনুষ্য তো ... 
ফূহ......

বাকি রইলো আইন। ধুশ। সে শালীও জং ধরা তলোয়ার নিয়ে চোখে কালো কাপড় বেঁধে ছিনাল পোজে দাঁড়িয়ে। উনি পটের বিবি, পটে আছেন অকপটে ওনারও এলার্জি।

আমরাও অকপটের প্রাক্টিস করছি মাত্র। ডাক্তার চিকিৎসার প্রাক্টিস করতে পারে স্বগর্বে, উকিলেরা পারে আইনের প্রাক্টিস করতে। সবই কি সফল?? উত্তর না। সফল হলে নামটা কি প্রাক্টিস হতো? তাহলে আমরা মানে উন্মাদের দল অকপটের প্রাক্টিস কেন পারবো না? আর করলেই গেল গেল রব কেন উঠে? আমাদের বিশেষ ছাপ মারা কোন জাত নেই, লিঙ্গ নেই, আমরা কেও বিশেষ হনু নই, আমাদের তেমন বলার মত মান ও নেই। আমাদের শুধু জান আছে। আমরা জানদার, অন্তত তেমনটাই মনে হয়। মন আছে বিলি করার মত। অনুভুতি আছে ভাগ করে নেবার মত। বাকিটা অন্যে বলবে। যদিও এও একপ্রকার আত্মস্তুত্বি।

পরিযায়ির দল আসবে যাবে, এটাই নিয়ম। আমরা ডেকে ডেকে নিয়ে আসবো, না পোষালে চলে যাবার সম্পূর্ন অধিকার রয়েছে, অকপটে। আমরা কোন স্বজাতী স্ববর্ণ স্বধর্মের মানুষকে কে আমন্ত্রন জানাচ্ছি না, আমরা মননশীলদের আমন্ত্রন জানাচ্ছি। যারা বিনিময় করতে জানি। মনের ভাব বিনিময় করেই দেখুন না। নিজেই দেখবেন , খাচার ভিতর অচিন পাখী কেমনে আসে যায়। নিজস্বতা নিয়ে স্বপ্রতিভ থাকুন। কাঠি করলে বিনিময়ে কাঠিই পাবেন।

ফ্লাইং কিস দিলে এঁটো করে হামি খাব সমবেতভাবে, তাও বিনামুল্যে। তাহলে মিছামিছি হয়রানি কেন! কেও বলে রাম তো কেও বলে হারাম। বলুক , নিশ্চিত অধিকার তো জুকারবাবাই দিয়ে রেখেছেন। কেও বলে আইসিস তো কেও বলে নির্বিষ। যেন স্ট্যাম্প মারতে না পরলে মোক্ষ লাভ নেই। আরে বাবা লাভজিহাদ তো সকল ধর্মেই স্বীকৃত। সেটাই না হয় করুন। বেশ ভালবাসাময় ওয়েদারে। কেমন হয় এটা যদি হয়।

করেই দেখুন কয়েকটা দিন। পাবলিক বাসে সাওয়ারি করলে কি অন্যের ঘামের গন্ধ সইতে হয় না? প্রাইভেট কার আর কজনের সামর্থে থাকে!! থাকি রসে বসে।
এটাই অকপট প্রাক্টিস। অন্তর্জালের এই যোগাযোগ মাধ্যমে গুনীজনের অভাব নেই । তাই ব্যাক্তিগত ইগো দেখিয়ে কে গেলো আর কে এলো সেদিকে বেশী গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো । তবে কাছের জনকে না হারাতে অকপট বদ্ধপরিকর ।

কখনও এমন দিন যেন অকপটের না আসে যে, সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মুড়িমিছরির একদড় করে সক্কলকে টেনেহিচড়ে গেদে ঢোকাতে হবে । আমরাতো রাজনীতি করতে বা প্রতিযোগিতা করতে আসি নি। একটা সুন্দর আলোচোনার মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রাসঙ্গিক রাখার অন্যতম প্রয়াস। Quality বজায় রাখতে গিয়ে Quantity জলাঞ্জলি গেলে যাক। বিতর্ক নেওয়ার মতো সহ্যশক্তি আছে কি আমাদের ? সেটা যাচাই করেই কোন বিতর্কে অংশগ্রহন করাটাই বুদ্ধিমান ও অকপটচিত কাজ বলেই আমাদের বিশ্বাস। নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে যেটাই করবো ,সেটাই বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে । অকপটের তখনই স্বয়ংসম্পূর্ন হবে যখন, যেকোন বিষয়ে "কোন প্রমাণ ছাড়া অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার " প্রবনতা বন্ধ হবে, তবেই অকপট চরিত্রের অধিকারী বা অধিকারিনী হওয়া সম্ভব।

কারো ধামাধরা নয় এই গ্রুপ। রাম- রহিমের একটাই কাঁথা।

থাকুক যুক্তি থাকুক তর্ক, আর থাকুক দেদার মজা।